উড়োজাহাজে করে ফিলিস্তিনিদের তাঁর দেশে পাঠানো গাজা ‘পরিষ্কার করার সুস্পষ্ট নীলনকশা’: দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী
Published: 18th, November 2025 GMT
দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোনাল্ড লামোলা গাজা থেকে তাঁর দেশে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরকে একটি ‘সুস্পষ্টভাবে পরিকল্পিত কার্যক্রম’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
জোবার্গগে গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের লামোলা বলেন, ‘মনে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের ফিলিস্তিন থেকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে দেওয়ার বৃহত্তর এক নীলনকশার অংশ হচ্ছে এটি।’
গত বৃহস্পতিবার সকালে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা থেকে ১৫৩ ফিলিস্তিনিকে নিয়ে প্রথম একটি চার্টার্ড বিমান দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের কাছের একটি বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসব ফিলিস্তিনির অনেকের কাছেই প্রয়োজনীয় ভ্রমণ নথি ছিল না। এতে দক্ষিণ আফ্রিকার কর্মকর্তারা পুরোপুরি ‘অপ্রস্তুত’ হয়ে পড়েন।
দক্ষিণ আফ্রিকার মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা চাই না আর কোনো ফ্লাইট আমাদের দিকে আসুক। কারণ, এটি গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করার একটি স্পষ্ট নীলনকশা।’
অন্তত দুটি উড়োজাহাজে করে কয়েশ শ ফিলিস্তিনিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাঠানো হয়। একটি অজ্ঞাত সংস্থার মাধ্যমে এসব ফ্লাইটের আয়োজন করা হয়েছিল। ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
ফিলিস্তিনিদের নিয়ে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় উড়োজাহাজ অবতরণের পর প্রায় ১২ ঘণ্টা দৌড়ঝাঁপ চলে। পরে ওই সব ফিলিস্তিনিকে অবশেষে উড়োজাহাজ থেকে নামিয়ে স্থানীয় একটি দাতব্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
এ ঘটনার পর ‘আল-মাজদ ইউরোপ’ নামে একটি সংস্থার পরিচালিত ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আরও তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কর্মীরা বলছেন, এ সংস্থার মাধ্যমে ইসরায়েল গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার (জাতিগত নির্মূল) প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে।
এই ফিলিস্তিনি যাত্রীরা ওই সংস্থাকে বেশ বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছেন। সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে দাবি করেছে, তারা ‘সংঘাতপূর্ণ অঞ্চল থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার’ কাজ সমন্বয় করে থাকে।
তবে এ সংস্থার সঙ্গে ইসরায়েলের যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা: ৩৫ মিনিট বন্ধ সব ফ্লাইট
দক্ষিণ কোরিয়ায় গত বৃহস্পতিবার কঠিন এক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন পাঁচ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির এ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা যেন সময়মতো কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন, এ জন্য নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুলিশ মোতায়েন, অফিস দেরিতে শুরুসহ নানা উদ্যোগের অন্যতম একটি ছিল পরীক্ষার জন্য আধা ঘণ্টার বেশি সময় সব ফ্লাইট বন্ধ রাখা।
দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ভর্তির হওয়ার জন্য অপরিহার্য এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ছিল। অধিকাংশ পরীক্ষার্থীই ২০০৭ সালে জন্ম নেওয়া। ওই বছরটিকে অনেক পরিবার সন্তান জন্মের জন্য শুভ হিসেবে বিবেচনা করেছিল। এর ফলে সে সময় জন্মহার বেড়ে গিয়েছিল।
বেলা ১টা ৫ থেকে ১টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ইনচন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ রাখা হয়েছিল। এর কারণ হলো, ওই সময় ছিল ইংরেজি পরীক্ষায় শ্রবণ (লিসেনিং) পরীক্ষা। পরীক্ষার শ্রবণ অংশের সময় পরীক্ষার্থীদের যেন কোনো বিরক্তি না হয়, তাই উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এ সিদ্ধান্তের কারণে ৬৫টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসহ মোট ১৪০টি ফ্লাইট উড্ডয়ন ও অবতরণ বন্ধ থাকে। ফ্লাইট ট্র্যাকারে দেখা গেছে, বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয় তিন হাজার মিটারের (৯ হাজার ৮৪৩ ফুট) নিচে বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করায় বেশ কিছু উড়োজাহাজ বিমানবন্দরের কাছে আকাশে চক্কর দিচ্ছিল।
আরও পড়ুনসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৬ সালে ভর্তির তথ্য, আবেদন শুরু ২১ নভেম্বর৪ ঘণ্টা আগেএই বছর ৫ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন