রংপুরে সিভিল সার্জনকে মবের হুমকির অভিযোগ বৈষম্যবিরোধী নেতার বিরুদ্ধে
Published: 13th, July 2025 GMT
রংপুরের সিভিল সার্জন শাহিন সুলতানাকে ‘মবের’ হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে।
আজ রোববার জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় এই হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সিভিল সার্জন।
তবে ইমরান আহমেদ বলেন, ‘তারাগঞ্জের একটা ইস্যু ছিল। এটা নিয়ে আমি আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে তুলেছি। আমাদের ছেলেদের ওপর একধরনের অন্যায় হয়েছে। এটা যেন সমাধান করে দেন, এভাবে বলছিলাম ওখানে। আমি বলছি, যদি আমাদের ওপর অন্যায় হয়, তাহলে মবেই ভালো ছিল।’
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রাধারানী মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আতাউর রহমান বুকে ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় চিকিৎসক সাবরিনা মুসরাত জাহান তাঁকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। এ সময় আতাউর রহমানের ছেলে তাহমিদ সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তারাগঞ্জের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে আরও চার থেকে পাঁচজনসহ চিকিৎসক সাবরিনাকে গালাগাল ও শরীরে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। এ ঘটনায় তাহমিদসহ অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে তারাগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন ওই চিকিৎসক।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আজ সকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের সভাপতিত্বে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া এই সভা চলে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। সভায় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের ভাষ্য, বেলা একটার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সালের বক্তব্যের আগে জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান আহমেদ তারাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা সাবরিনা মুসরাত জাহানের করা একটি মামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিত এক সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ‘ইমরান আহমেদ সিভিল সার্জনের মাধ্যমে তারাগঞ্জের মামলাটি তুলে দেওয়ার কথা বলছিলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক সিভিল সার্জনের মন্তব্য জানতে চান। সিভিল সার্জন তখন বলেন, “কেস (মামলা) বিচারাধীন। বিচারে যা হবে, তা–ই।” তখন ইমরান রেগে গিয়ে বলেন, “সিভিল সার্জন চাইলে কেস উঠতে পারে। মামলা তুলে না নিলে আমরা প্রকাশ্যে মব করব।”’
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন শাহিন সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, মবের হুমকি দেওয়ায় তিনি ও তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা–কর্মচারীরা শঙ্কিত।
তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, ‘কেউ কাউকে কোনো হুমকি দেননি। কথা–কাটাকাটি হয়নি। এসব গুজব কেন ছড়াচ্ছে, আমি জানি না।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইমর ন আহম দ স ভ ল স র জন চ ক ৎসক
এছাড়াও পড়ুন:
জাল টাকা নিয়ে সতর্ক করল বাংলাদেশ ব্যাংক
নগদ টাকার লেনদেনে জনসাধারণকে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বড় অঙ্কের লেনদেন ডিজিটাল মাধ্যমে সম্পন্ন করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। দেশে জাল টাকার অনুপ্রবেশ হচ্ছে—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পরামর্শ দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ গণমাধ্যমে বিপুল পরিমাণ নোট বাংলাদেশে প্রবেশসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের তথ্য জনসাধারণের মধ্যে উদ্বেগ ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী জাল নোট তৈরি, বহন ও লেনদেন করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জাল টাকার বিস্তার ও এর ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন এবং জাল টাকার প্রচলন রোধে নিয়মিতভাবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে তৎপর।
এ পরিপ্রেক্ষিতে নগদ লেনদেনে জনসাধারণকে অধিকতর সতর্কতা অবলম্বন ও জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধে পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে নোট গ্রহণের সময় নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যগুলো, যেমন জলছাপ, অসমতল ছাপা, নিরাপত্তা সুতা, রং পরিবর্তনশীল কালি ও ক্ষুদ্র লেখা যথাযথভাবে যাচাই করা। বড় অঙ্কের লেনদেন ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে সম্পাদন করা। নগদ লেনদেনে যথাসম্ভব ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করা। সন্দেহজনক নোট পেলে বা এ–সংক্রান্ত কোনো তথ্য অবগত হলে অবিলম্বে নিকটস্থ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সরাসরি অথবা জাতীয় জরুরি সেবা–৯৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করা।