তিন শিক্ষার্থীর ওপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে সোয়া পাঁচটা পর্যন্ত কয়েক শ শিক্ষার্থী ওই বিক্ষোভে অংশ নেন।

শিক্ষার্থীদের অবরোধের ফলে চৌমুহনী চৌরাস্তার সঙ্গে যুক্ত চৌমুহনী–চট্টগ্রাম মহাসড়ক, চৌমুহনী–ঢাকা মহাসড়ক, চৌমুহনী–মাইজদী মহাসড়ক ও চৌমুহনী–লক্ষ্মীপুর মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা সড়কের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন চত্বরে অবস্থান করে বিক্ষোভ প্রদর্শন ও সমাবেশ করেছেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী ফেরার পথে যাত্রীবাহী বাসটি চৌমুহনী পৌঁছালে পেছনের সিটে বসা একদল দুর্বৃত্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তিন শিক্ষার্থীর ওপর চড়াও হয় এবং হামলা করে। শিক্ষার্থীরা এ সময় হামলার কারণ জানতে চাইলে হামলাকারীরা উল্টো তাঁদের বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে।

হামলার শিকার শিক্ষার্থীরা হলেন অনিমেষ দেবনাথ, সৌমেন বড়ুয়া ও কাজী সাওদাজ জামান। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, তাঁদের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে এসে চৌমুহনী অতিক্রমের সময় কোনো কারণ ছাড়াই দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অনিমেষ দেবনাথ বাদী হয়ে গতকাল রাতে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজনকে আসামি করে মামলা করেন।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী আজ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন। এরপর বেলা সাড়ে তিনটা থেকে চৌমুহনী চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস থেকে বাস নিয়ে চৌমুহনী মোড়ে এসে বিক্ষোভে অংশ নেন।

প্রায় এক ঘণ্টা শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান করে যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীদের অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন।

বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.

হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, একই ধরনের ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে লক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা একটি বার্তা দিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। কিছু সময় তাঁরা সড়কে অবস্থান করে পরে ক্যাম্পাসের দিকে ফিরে গেছেন। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাঁদের কর্মসূচি পালন করেছেন।

পরিদর্শক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘গতকাল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। আমরা বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই তাঁদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সড়ক অবর ধ কর ছ ন চ ম হন

এছাড়াও পড়ুন:

গ্যাস নেওয়ার সময় বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, আহত ৪

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার সময় একটি বাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাসের চালকের সহকারী, ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীসহ কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় বাসটি ছাড়াও এর পাশে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগের মীম সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রামগতি-লক্ষ্মীপুর রুটে চলাচলকারী আজাদ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী খালি বাস গ্যাসের জন্য কেন্দুরবাগের মীম সিএনজি ফিলিং স্টেশনে আসে। গ্যাস নেওয়ার সময় হঠাৎ বিকট শব্দে বাসটির সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এতে বাসটি এবং এর পাশে থাকা একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া চারজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

আহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার কেন্দুরবাগ বাজার এলাকার সিএনজিচালক মো. রেজু মিয়া (৬৫), বাসের চালকের সহকারী মো. বেচু মিয়া (২৬), মোহাম্মদ আরমান (২৩) ও ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী মো. জাবেদ হোসেন (৪০)।

চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা আবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বাসে গ্যাস ভর্তির প্রায় শেষ পর্যায়ে গিয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আহত কাউকে পাননি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা কয়েকজন আহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছেন। তাঁদের কারও অবস্থা গুরুতর নয়।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে কোনো যাত্রী ছিল না। ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশকে বিস্ফোরণের বিষয়টি জানানো হয়। খবর পেয়ে বাসটি জব্দ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নোয়াখালীতে বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, আহত ৪
  • গ্যাস নেওয়ার সময় বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, আহত ৪