কোন দেশে কত শুল্ক বসালেন ট্রাম্প
Published: 1st, August 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার নতুন নির্বাহী আদেশে নতুন আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন। ধারাবাহিকভাবে বাণিজ্য ঘাটতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে জানিয়ে নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ট্রাম্প।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, যেসব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্ক এখনো অসম তাদের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত (মূল্যভিত্তিক) শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পণ্যগুলোর ওপর শুল্ক হারের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সম্পর্ক জোরদার করতে সম্মত হয়েছে, তাদের জন্য কিছু ছাড় থাকছে, তবে তারা চুক্তি সম্পন্ন না করা পর্যন্ত পূর্ববর্তী শুল্কই কার্যকর থাকবে।
হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে নতুন এই নির্বাহী আদেশ অনুসারে কোন দেশে কত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে তার একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। তালিকা অনুসারে দেখে নেওয়া যাক কোন দেশে কত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ২০%
আফগানিস্তানে ১৫ %
আলজেরিয়ায় ৩০%
অ্যাঙ্গোলা ১৫%
বলিভিয়া ১৫%
বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা ৩০%
বতসোয়ানা ১৫%
ব্রাজিলে ১০%
ব্রুনেই ২
কম্বোডিয়া - ১৯%
ক্যামেরুন - ১৫%
চাদ - ১৫%
কোস্টারিকা - ১৫%
কোট দিভোয়ার (আইভরি কোস্ট) - ১৫%
কঙ্গো গণপ্রজাতন্ত্রী - ১৫%
ইকুয়েডর - ১৫%
ইকুয়েটোরিয়াল গিনি - ১৫%
ভারত - ২৫%
ইন্দোনেশিয়া - ১৯%
ইরাক - ৩৫%
ইসরায়েল - ১৫%
জাপান - ১৫%
জর্ডান - ১৫%
কাজাখস্তান - ২৫%
লাওস - ৪০%
ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ - ১০%
ফিজি - ১৫%
ঘানা - ১৫%
গায়ানা - ১৫%
আইসল্যান্ড - ১৫%
লেসোথো - ১৫%
লিবিয়া - ৩০%
লিচেনস্টেইন - ১৫%
মাদাগাস্কার - ১৫%
মালাউই - ১৫%
মালয়েশিয়া - ১৯%
মরিশাস - ১৫%
মল্ডোভা - ২৫%
মোজাম্বিক - ১৫%
মিয়ানমার (বার্মা) - ৪০%
নামিবিয়া - ১৫%
নাউরু - ১৫%
নিউজিল্যান্ড - ১৫%
নিকারাগুয়া - ১৮%
নাইজেরিয়া - ১৫%
নর্থ মেসেডোনিয়া - ১৫%
নরওয়ে - ১৫%
পাকিস্তান - ১৯%
পাপুয়া নিউগিনি - ১৫%
ফিলিপাইন - ১৯%
সার্বিয়া - ৩৫%
দক্ষিণ আফ্রিকা - ৩০%
দক্ষিণ কোরিয়া - ১৫%
শ্রীলঙ্কা - ২০%
সুইজারল্যান্ড - ৩৯%
সিরিয়া - ৪১%
তাইওয়ান - ২০%
থাইল্যান্ড - ১৯%
ত্রিনিদাদ ও টোবাগো - ১৫%
তিউনিসিয়া - ২৫%
তুরস্ক - ১৫%
উগান্ডা - ১৫%
যুক্তরাজ্য - ১০%
ভানুয়াতু - ১৫%
ভেনেজুয়েলা - ১৫%
ভিয়েতনাম - ২০%
জাম্বিয়া - ১৫%
জিম্বাবুয়ে - ১৫%
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।