লক্ষণগুলো হলো

সব সময় আপনিই তাঁকে ফোন করেন। তিনি নিজে কখনোই আপনার খোঁজ নেন না।

দেখা করার উদ্যোগটা সব সময় আপনিই নেন।

আপনি তাঁর জন্মদিন বা যেকোনো বিশেষ দিন মনে রাখলেও, তিনি আপনারটা মনে রাখেন না।

সাধারণ একটা মেসেজের জবাব দিতেও তিনি অনেক সময় নেন।

মাঝেমধ্যে তিনি একেবারে উধাও হয়ে যান। কিছুদিন পর এমনভাবে ফিরে আসেন, যেন কিছুই হয়নি।

আপনার সাফল্যে তিনি আন্তরিকভাবে খুশি হন না।

প্রয়োজন ছাড়া যোগাযোগ করেন না।

প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পালন করেন না।

আপনার ব্যক্তিগত জীবন বা কাজের খোঁজ নেন না।

তাঁর সঙ্গে সময় কাটালে আপনি আনন্দিত না বরং ক্লান্ত বোধ করেন।

আপনি তাঁর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে ভয় পান।

উপকার করলে, তার কৃতজ্ঞতা বা উপকার ফেরত পাওয়ার আশা করতে পারেন না।

আরও পড়ুনযে ৯ কারণে ‘ইয়াং শেল্ডন’ শিশু–কিশোরদের জন্য শিক্ষণীয়২ ঘণ্টা আগেওপরের প্রায় সব লক্ষণই কি মিলে গেছে?

উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে যা করতে পারেন—

নিজে থেকে ফোন বা মেসেজ দেওয়া কমিয়ে দিন এবং দেখুন বন্ধুটি উদ্যোগ নেয় কি না।

দেখার করার উদ্যোগ নেওয়া বন্ধ করুন। বন্ধুকে বলুন, তুমি যেদিন দেখা করতে চাইবে, সেদিন দেখা হবে। এরপর অপেক্ষা করুন। তিনি উদ্যোগ নিলে নেবেন, না নিলে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।

তিনি আপনার জন্মদিন বা বিশেষ কোনো দিন মনে না রাখলে তাঁকে আগে থেকেই জানিয়ে দিন যে আপনার বিশেষ দিনটি সামনেই আসছে। এরপরও তিনি যদি কোনো উদ্যোগ না নেন বা আপনাকে সামান্য শুভেচ্ছা না জানান, তাহলে এমন বন্ধুত্ব না থাকাই ভালো।

তাঁর ছোটখাটো প্রয়োজনে পাশে থাকা কমিয়ে দিন। একদিন তাঁকে ‘না’ বলেন দেখুন। এরপর তাঁর আচরণ লক্ষ করুন। তিনি যদি দূরে সরে যান, তাহলে বুঝে নেবেন তিনি আপনাকে বন্ধু মনে করেন না। এমন একতরফা বন্ধুত্ব থেকে নিজেই সরে আসুন।

আরও পড়ুনহাত কেন কাঁপে, চিকিৎসা কী১ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

জয়পুরহাটে ৩ থানা ওসি শূন্য

জয়পুরহাটে ঘন ঘন বদলি ও প্রত্যাহারের কারণে প্রায় এক মাস ধরে জেলার তিন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেই। সদর, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) পদে থাকা কর্মকর্তারা ওসির দায়িত্ব পালন করছেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষিতে ২৯ সেপ্টেম্বর একযোগে এ জেলার পাঁচ থানার ওসির বদলি করা হয়। এর দুই দিন পর ১ অক্টোবর পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাবের স্বাক্ষরিত এক আদেশে সদর, পাঁচবিবি, কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর থানায় নতুন ওসি পদায়ন করা হয়। ওই চিঠিতে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ওসি শাহেদ আল মামুনকে জয়পুরহাট সদর থানার ওসি, জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার (ডিএসবি) পরিদর্শক কাওসার আলীকে পাঁচবিবি থানার ওসি, জেলা ওআর হেডকোয়াটার্সের পরিদর্শক মশিউর রহমানকে ক্ষেতলাল থানার ওসি, সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে কালাই থানার ওসি এবং সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মইনুল ইসলামকে আক্কেলপুর থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়।

যোগদানের ৩ মাস ১২ দিনের মাথায় চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি আক্কেলপুর থানার ওসি মইনুল ইসলাম ও ক্ষেতলাল থানার ওসি মশিউর রহমানের বদলি হয়। এরপর পুলিশ পরিদর্শক আরিফুল ইসলাম ক্ষেতলাল থানার ওসি হিসেবে যোগ দেন। এক মাসের মধ্যে আরিফুর রহমানকে প্রত্যাহার করলে মাহবুবুর রহমান সরকার ওসির দায়িত্ব পান।

আরো পড়ুন:

মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

শরীয়তপুরে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জয়পুরহাট সদর থানার ওসি শাহেদ আল মামুন ও পাঁচবিবি থানার ওসি কাওসার আলীকে বদলি করা হয়। আক্কেলপুর থানার সাবেক ওসি মইনুল ইসলামকে আবার পাঁচবিবি থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়। অক্টোবরে যোগদানের পর একটানা শুধু কালাই থানায় জাহিদ হোসেন ওসির দায়িত্বে রয়েছেন।

ওসি শাহেদ আল মামুন বদলির পর সদর থানার দায়িত্ব পান নূর আলম সিদ্দিক। তাকেও বদলি করা হয়। চলতি বছরের ৫ মে ক্ষেতলাল থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করা খন্দকার ফরিদ হোসেনকে এক মাস না যেতে তাকে সদর থানায় বদলি করা হয়। কিন্তু ২২ দিন পর তাকেও প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। তিন দিনের ছুটি শেষে এ বছরের গত ৪ জুলাই তাকে থানায় যোগদানের কথা ছিল। তবে তিনি সেদিন যোগদান করেননি। এদিকে ৫ জুলাই জয়পুরহাট জেলায় আসেন এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। ওইদিন দুপুরের দিকে খন্দকার ফরিদ হোসেন কর্মস্থলে হাজির হন। এরপর ওই দিনই প্রশাসনিক কারণের কথা উল্লেখ করে এসপি তাকে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করে অফিস আদেশ জারি করেন।

একইভাবে, আক্কেলপুর থানার সাবেক ওসি মইনুলের পর দায়িত্ব পাওয়া আনিসুর রহমানও প্রত্যাহার হন। এরপর দায়িত্ব পান পরিদর্শক (তদন্ত) মাসুদ রানা। কিন্তু বিভাগীয় মামলায় পদাবনতি দিয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) করে থানার দায়িত্ব থেকে গত ২৩ জুন তাকে সরিয়ে নেয়া হয়।

গত ১৩ জুন হাসমত আলী ক্ষেতলাল থানার ওসি হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০১২ সালে জয়পুরহাট থানার এসআই থাকাকালীন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরের মিছিল লাঠিচার্জ করেন। এ সময় গুলিতে শিবিরের এক কর্মী নিহত হন। পুরাতন ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ ঘটনার পর ২৬ জুন সকালে ওসি হাসমত আলী থানার পরির্দশক (তদন্ত) কামাল হোসেনকে দায়িত্ব বুঝে দিয়ে গোপনে থানা ছেড়ে চলে যান। পরে অবশ্য তাকে থানায় প্রত্যাহার দেখানো হয়।

পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাট সদর থানা, আক্কেলপুর থানা ও ক্ষেতলাল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদায়ন করা হয়নি। জয়পুরহাট সদর থানার পরির্দশক (তদন্ত) নাজমুল কাদের, আক্কেলপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল ইসলাম ও ক্ষেতলাল থানার পরির্দশক (তদন্ত) কামাল হোসেন এখন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্ব পালন করছেন।

পুলিশের একটি সূত্র বলছে, ঘন ঘন ওসি বদলি ও প্রত্যাহারের ঘটনায় বাইরে থেকে এ জেলায় অভিজ্ঞ কোনো কর্মকর্তা ওসি হয়ে আসার আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এ কারণে একমাস হলেও তিন থানায় ওসি পদায়ন করা যায়নি।

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আবদুল ওয়াহাব জানান, জেলায় এখন এমন অভিজ্ঞ কেউ নেই। আর ওসি পদের জন্য শর্ত থাকে। শর্ত পূরণ হলে থানায় ওসি করা হয়। আর ঢাকা (পুলিশ হেডকোয়াটার্স) থেকে কাউকে (অভিজ্ঞ পরিদর্শক) জেলায় এখনো দেয়া হয়নি। তবে শিগগিরই অভিজ্ঞ ওসি থানায় পদায়ন করা হবে। 

ঢাকা/বাকী/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এশিয়া কাপের প্রিলিমিনারি স্কোয়াডে সোহান-সৌম‌্য-সাইফ
  • হামলার পর সাঁওতালপাড়া ফাঁকা
  • নড়াইলে কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও হেনস্তার অভিযোগ, তদন্ত কমিটি
  • দমার চরের বিরল পানিকাটা
  • তেল উৎপাদন বাড়াতে যাচ্ছে ওপেক প্লাস
  • রাবির সাবেক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’র অভিযোগ
  • ‘আ. লীগ ক্ষমতায় এলে দেইখ্যা নেব’, ওসিকে ভারতীয় নম্বর থেকে হুমকি
  • সিরাজের ভুলের খেসারত কি দিতে হবে ভারতকে
  • জয়পুরহাটে ৩ থানা ওসি শূন্য