যে ১২টি লক্ষণ বলে দেবে আপনার বন্ধুত্ব একতরফা
Published: 4th, August 2025 GMT
লক্ষণগুলো হলো
সব সময় আপনিই তাঁকে ফোন করেন। তিনি নিজে কখনোই আপনার খোঁজ নেন না।
দেখা করার উদ্যোগটা সব সময় আপনিই নেন।
আপনি তাঁর জন্মদিন বা যেকোনো বিশেষ দিন মনে রাখলেও, তিনি আপনারটা মনে রাখেন না।
সাধারণ একটা মেসেজের জবাব দিতেও তিনি অনেক সময় নেন।
মাঝেমধ্যে তিনি একেবারে উধাও হয়ে যান। কিছুদিন পর এমনভাবে ফিরে আসেন, যেন কিছুই হয়নি।
আপনার সাফল্যে তিনি আন্তরিকভাবে খুশি হন না।
প্রয়োজন ছাড়া যোগাযোগ করেন না।
প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পালন করেন না।
আপনার ব্যক্তিগত জীবন বা কাজের খোঁজ নেন না।
তাঁর সঙ্গে সময় কাটালে আপনি আনন্দিত না বরং ক্লান্ত বোধ করেন।
আপনি তাঁর সঙ্গে খোলামেলা কথা বলতে ভয় পান।
উপকার করলে, তার কৃতজ্ঞতা বা উপকার ফেরত পাওয়ার আশা করতে পারেন না।
আরও পড়ুনযে ৯ কারণে ‘ইয়াং শেল্ডন’ শিশু–কিশোরদের জন্য শিক্ষণীয়২ ঘণ্টা আগেওপরের প্রায় সব লক্ষণই কি মিলে গেছে?উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে যা করতে পারেন—
নিজে থেকে ফোন বা মেসেজ দেওয়া কমিয়ে দিন এবং দেখুন বন্ধুটি উদ্যোগ নেয় কি না।
দেখার করার উদ্যোগ নেওয়া বন্ধ করুন। বন্ধুকে বলুন, তুমি যেদিন দেখা করতে চাইবে, সেদিন দেখা হবে। এরপর অপেক্ষা করুন। তিনি উদ্যোগ নিলে নেবেন, না নিলে দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।
তিনি আপনার জন্মদিন বা বিশেষ কোনো দিন মনে না রাখলে তাঁকে আগে থেকেই জানিয়ে দিন যে আপনার বিশেষ দিনটি সামনেই আসছে। এরপরও তিনি যদি কোনো উদ্যোগ না নেন বা আপনাকে সামান্য শুভেচ্ছা না জানান, তাহলে এমন বন্ধুত্ব না থাকাই ভালো।
তাঁর ছোটখাটো প্রয়োজনে পাশে থাকা কমিয়ে দিন। একদিন তাঁকে ‘না’ বলেন দেখুন। এরপর তাঁর আচরণ লক্ষ করুন। তিনি যদি দূরে সরে যান, তাহলে বুঝে নেবেন তিনি আপনাকে বন্ধু মনে করেন না। এমন একতরফা বন্ধুত্ব থেকে নিজেই সরে আসুন।
আরও পড়ুনহাত কেন কাঁপে, চিকিৎসা কী১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আপন র
এছাড়াও পড়ুন:
মিস মেক্সিকোকে কটাক্ষ, বেরিয়ে গেলেন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীরা
আগামী ২১ নভেম্বর থাইল্যান্ডে বসতে যাচ্ছে মিস ইউনিভার্সের ৭৪তম আসর। তার আগে বিতর্কে জড়িয়েছে প্রতিযোগিতাটি। মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) ব্যাংককে আয়োজিত প্রি-পেজেন্ট অনুষ্ঠানে এক প্রতিযোগীকে ‘ডামি’ বলে মন্তব্য করেন থাই বিচারক নাওয়াত ইতসারাগ্রিসিল। এরপর মেক্সিকোর ওই প্রতিনিধি ফাতিমা বোসসহ কয়েকজন প্রতিযোগী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
প্রি-পেজেন্ট অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে লাইভ চলছিল। এ ভিডিওতে দেখা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরী প্রতিযোগীরা নাওয়াত ইতসারাগ্রিসিলের সামনে সারিবদ্ধভাবে বসে আছেন। মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে তিনি বলেন, “সব প্রতিযোগীকে আয়োজক দেশের প্রচার করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
হাসপাতালে জিতু কমল
‘ফ্যামিলি ফিউড বাংলাদেশ’ নিয়ে ফিরছেন তাহসান
সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করে নাওয়াত বলেন, “সাবধান থাকবেন, আপনারা এখন থাইল্যান্ডে আছেন। আপনারা একটি খেলার মধ্যে আছেন।” এরপর মিস মেক্সিকো ফাতিমা বোসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। তার ভাষ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের উদ্দেশ্যে আয়োজিত একটি ফটোশুটে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ফাতিমা। মেক্সিকোর পেজেন্ট পরিচালক তাকে কোনো কিছু পোস্ট না করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মেক্সিকোর প্রতিযোগী ফাতিমা দাঁড়িয়ে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু নাওয়াত তাকে বাধা দিয়ে বলেন, “সে (ফাতিমা) যেন মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেন যে, থাইল্যান্ড সম্পর্কে পোস্ট দিতে রাজি।”
এরপর অন্য এক প্রতিযোগী প্রশ্নটি আবার বলার অনুরোধ করেন। কিন্তু তা বলতে অস্বীকৃতি জানান। নাওয়াত বলেন, “আমি শুধু মিস মেক্সিকোকেই প্রশ্নটি করেছি। কারণ তার কর্মকাণ্ড নিয়ে অভিযোগ পেয়েছি।” ফাতিমা এই অভিযোগ অস্বীকার করলেও নাওয়াত আবারো একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, “ফাতিমা তার দেশের পেজেন্ট পরিচালকের নির্দেশে কাজ করছেন এবং সে একজন ‘ডামি’ (পুতুল)।”
নাওয়াত যখন এভাবে কথা বলে যাচ্ছেন তখনো দাঁড়িয়ে ফাতিমা। ফলে নাওয়াত জানতে চান সে কেন এখনো দাঁড়িয়ে আছেন। জবাবে ফাতিমা বলেন, “কারণ আমারও একটি কণ্ঠ আছে। আপনি আমাকে একজন নারী হিসেবে সম্মান দিচ্ছেন না।”
এরপর নাওয়াত নিরাপত্তা কর্মীদের ডেকে পাঠান। এসময় অন্যান্য প্রতিযোগীরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ফাতিমা অডিটোরিয়াম ত্যাগ করার সময়ে বলেন, “নারী হিসেবে আমাদের প্রতি আপনাদের সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। আমি একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, এটি আমার দোষ নয়। আপনারা আমার সংগঠনের সঙ্গে সমস্যা করছেন।” তারপর অন্য প্রতিযোগীরাও ফাতিমার সঙ্গে উঠে দাঁড়ান। তখন নাওয়াত বলেন, “যারা প্রতিযোগিতা চালিয়ে যেতে চান, তারা বসেন।” এতে মেয়েরা বিভ্রান্ত হয়ে পরস্পরের দিকে তাকাতে থাকেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে ফাতিমা ও আয়োজক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গণমাধ্যম পিপল। কিন্তু তারা কেউই মন্তব্য করতে রাজি হননি। ঘটনার পরের দিন আয়োজক কর্তৃপক্ষ ইনস্টাগ্রামে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়েছে, “আমরা সমস্ত অংশগ্রহণকারী, কর্মী এবং সংশ্লিষ্টদের প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান, নিরাপত্তা ও সততা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (এমজিআই) এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মি. মারিও বুকারোর নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল থাইল্যান্ডে যাচ্ছেন। এই আয়োজনের লক্ষ্য, সমন্বিত প্রচেষ্টা চালানো, সকল প্রতিনিধির জন্য নিরাপদ ও পেশাদার পরিবেশ নিশ্চিত করা।”
ঢাকা/শান্ত