এই প্রজন্ম কিমচিতে আছে, কাচ্চিতেও আছে
Published: 5th, August 2025 GMT
ছয়টা বাজলেই অফিস থেকে বেরিয়ে পড়ে সাচিকো। এরপর জিম, সনা নেওয়া শেষে হেঁটে বাড়ি ফেরা। একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যালরি তাকে খরচ করতেই হবে। কারণ, খাবার উপভোগের জন্য ক্ষুধা লাগতে হবে। বাসার কাছেই সুপারমার্কেট। সেখান থেকে রোজ তাজা বাজার। কোনো দিন মুরগি, কোনো দিন মাছ। সঙ্গে নানা রকম সবজি। বাড়ি ফিরে রান্না চড়াবে। প্যানে অল্প তেলে পাতলা স্টেক পিসের দুপাশ ঠিক একই রকম বাদামি হবে। সবজিও সেদ্ধ কিংবা সামান্য সতে হবে। ফিশ সস, লাল চিনি কিংবা আরও নানা কিছুর মিশ্রণে তৈরি হবে সস। রোজ একই রুটিন, খাবারগুলো নতুন। আর এত সব আয়োজন শুধুই নিজের জন্য।
কতক্ষণ ধরে শুধু এই ক্লিপগুলো দেখছিলাম, মনে নেই। কোন দেশের সিরিজ জানি না। মন্তব্য পড়ে মনে হলো জাপানিজ কিংবা কোরিয়ান। ‘সাচিকো ইটস’ নামে সার্চ দিলেই চলে আসবে। এই ক্লিপগুলোতে দেখা বেশির ভাগ খাবারই আমার পরিচিত নয়। উপকরণ, রান্নার পদ্ধতিও অচেনা। তবু সাচিকোর সঙ্গে রাতের খাবারের আমন্ত্রণ পেলে জীবন ধন্য হয়ে যাবে মনে হচ্ছিল!
অবশ্য যে খাবারগুলো মিলেনিয়াল আমার অচেনা, ঢাকার জেন–জির কাছে সেগুলো এখন ডালভাত। এক যুগ আগে সাউথ কোরিয়ায় খেয়ে আসা কিমচি যে ঢাকায় একসময় এত জনপ্রিয় হবে, বুঝিনি। কিংবা কাঁচা মাছ দিয়ে বানানো সুশি! অবশ্য কাঁচা মাছ বললে একটু অবিচার হয়। সুশি তৈরির মাছ বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করা হয়। তবু ভাবুন তো, রান্না করলেও মাছের গন্ধ থাকে বলে তরকারিতে একটু লেবুপাতা ছেড়ে দেওয়া কিংবা মাছটাই একটু ভেজে রান্না করা বাঙালি রেস্তোরাঁয় গিয়ে ভাতের ওপর একটুকরো কাঁচা মাছ বসানো সুশি খাচ্ছে!
সুশি তৈরির মাছ বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুত করা হয়.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তান ম্যাচের আগে রুমের দরজা ও ফোন বন্ধ করে ঘুমাতে বললেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার
মাঠের বাইরে কথার লড়াই চলে। থাকে নানা ঘটনাপ্রবাহও। অথচ মাঠে তেমন কোনো লড়াই-ই হয় না। ভারত–পাকিস্তান ম্যাচ মানে এখন গল্পটা এমনই। এবারের এশিয়া কাপে দুই দলের মুখোমুখি হওয়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল গত মে মাসে দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায়।
গত রোববার গ্রুপ পর্বের ম্যাচটা শেষ হতেই শুরু হয় নতুন বিতর্ক। ম্যাচের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতের ক্রিকেটাররা। ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব তখন জানান, সিদ্ধান্তটা তাঁরা নিয়েছেন সরকার ও বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করে। এই ঘটনার জের ধরে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করে পাকিস্তান—তিনি ক্ষমা চাওয়ার পর সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এক ঘণ্টা পর ম্যাচ খেলতে নামে সালমান আগার দল।
এসবই মাঠের বাইরের ঘটনা। এসবের ভিড়ে মাঠের খেলায় মনোযোগ ধরে রাখাটা নিশ্চয়ই কঠিন হয় ক্রিকেটারদের জন্যও? আগামীকাল দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে আজ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমারকে করা হয়েছিল প্রশ্নটি। উত্তরে সহজ এক মন্ত্রের কথা বলেছেন সূর্য, ‘রুমের দরজা বন্ধ করে দাও, মুঠোফোন বন্ধ রাখো আর ঘুমাও (হাসি)।’
আরও পড়ুনশ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ দেখে নিন২ ঘণ্টা আগেকিন্তু কাজটা যে কঠিন সেটাও বলেছেন সূর্য, ‘এটা বলা সহজ। কিন্তু কখনো কখনো করা কঠিন। কারণ, আপনি বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করেন, রাতে খেতে যান, আশপাশে অনেক মানুষের সঙ্গেও দেখা হয়। তবে বিষয়টি আপনার ওপর, আপনি কী শুনে বা মাথায় রেখে অনুশীলন বা ম্যাচে যেতে চান।’
পাকিস্তান ম্যাচ সামনে রেখে সতীর্থদের বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন সূর্যকুমার