বরগুনার আমতলীতে গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতির শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে রেজাউল করিম (৪০) নামের এক ব্যক্তি বাসচাপায় নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আরেক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের ঘটখালী গ্যাসপাম্প–সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

রেজাউল করিম উপজেলার ডালাচারা এলাকার বাসিন্দা ও আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া কামিল মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর দলের নেতা-কর্মীরা তাঁর মরদেহ নিয়ে বরিশাল-কুয়াকাটা সড়কের ঘটখালী এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন। পরে বাস আটকের খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা গেছে, গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে গতকাল শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করেন ইসলামী আন্দোলনের আমতলী শাখার নেতা-কর্মীরা। সন্ধ্যার আগে কর্মসূচি শেষ হয়। সেখান থেকে রেজাউল মোটরসাইকেলে আবদুল হক নামের এক ব্যক্তিকে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে ঘটনাস্থলে মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয় বিপরীত দিক থেকে আসা কুয়াকাটাগামী ছন্দা পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই রেজাউল নিহত হন। সেই সঙ্গে আবদুল হক আহত হন। খবর পেয়ে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কটির প্রায় পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত পৌনে ৯টার দিকে ওই বাস ও এর কর্মীদের মহিপুর থানায় আটকের খবর পেয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন তাঁরা।

ইসলামী আন্দোলনের আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ‘ঘাতক বাসচালকের কঠোর শাস্তি দাবি করছি আমরা।’

এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জ উল অবর ধ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোণায় জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির অর্ধশত কর্মী-সমর্থক 

নেত্রকোণা সদর উপজেলার আমতলা ইউনিয়ন বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছেন। 

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর বাজারে আয়োজিত পথসভায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য ও সাবেক পৌর বিএনপি নেতা সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে তারা জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। এসময় তাদের ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন নেত্রকোণা-১ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা এনামুল হক। সাইদুর রহমান বিশ্বনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

আরো পড়ুন:

যেকোনো মূল্যে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তারেক 

বিএনপি উড়ে এসে জুড়ে বসেনি: মির্জা ফখরুল 

সাইদুর রহমান বলেন, “ছাত্র রাজনীতি থেকে বিএনপির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, মোটা অঙের টাকা দিতে না পারায় দলে মূল্যায়ন পাইনি। এখন ত্যাগীদের বাদ দিয়ে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে হাইব্রিডদের দলে জায়গা দেওয়া হচ্ছে। তাদের অপকর্মের কারণে দলের জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই ইনসাফভিত্তিক দল জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দিয়েছি। আমার সঙ্গে আরো ৫০ জন কর্মী-সমর্থক যোগ দিয়েছেন। এই ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।”

এ বিষয়ে জানতে জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আনোয়ারুল হকের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী মোবাইলে জানান, তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে আছেন এবং নেতাকর্মীদের এই যোগদানের বিষয়টি তার জানা নেই।

আমতলা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মাহফুজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- দলটির সাবেক জেলা আমির ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের টিম সদস্য মাওলানা এনামুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা মাহবুবুর রহমানসহ জেলা ও উপজেলা জামায়াতের শীর্ষ নেতারা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা এনামুল হক বলেন, “বিগত ১৬ বছর আমরা অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছি। আমাদের ওপর চাঁদাবাজি, লুট, গুম, খুনসহ এমন কোনো নির্যাতন বাকি রাখেনি স্বৈরাচার সরকার। গত বছরের ৫ আগস্টের পর কি চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে? যারা এখন ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে তাদের বলি, নিজেদের সংশোধন করুন।”

তিনি আরো বলেন, “বিভিন্ন দল ও মতের মানুষ আজ জামায়াতের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে যোগদান করছে। আমতলায় বিএনপির ৫০ জন নেতাকর্মীর এই যোগদান তারই প্রমাণ।”

ঢাকা/ইবাদ/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোণায় জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপির অর্ধশত কর্মী-সমর্থক