স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে মহাসড়কে রবি শিক্ষার্থীদের শেকল ভাঙার গা
Published: 6th, August 2025 GMT
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ডিপিপি’র দ্রুত অনুমোদন ও পূর্ণ বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি করেছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। এ সময় তারা শেকল ভাঙার গান ও প্রতিবাদী পাঠদানের কর্মসূচি পালন করেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর সামনে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচির বিষয়ে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা প্রায় অর্ধমাস হলো আন্দোলন করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের ডিপিপি অনুমোদন হয়নি। আমরা পর্যায়ক্রমে আরো কঠিন কর্মসূচি দিকে যাব। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যহত থাকবে।”
আরো পড়ুন:
যবিপ্রবির সড়কে বেহাল দশা, দুর্ভোগ চরমে
‘নেতা হইছোস? সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করো?’
প্রতিষ্ঠার নয় বছর পেরিয়ে গেলেও ডিপিপি অনুমোদন না হওয়া গত ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে লাগাতার আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
তারা বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি ও অর্ধবেলা প্রশাসনিক কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে, যথাযোগ্য মর্যাদায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম প্রয়াণ দিবস পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সকাল সাড়ে ৯টায় অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ স্থাপিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) নজরুল ইসলামসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
ঢাকা/হাবিবুর/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৫ দাবিতে স্মারকলিপি দিতে যমুনা অভিমুখে ৮ দল
জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি, জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটসহ পাঁচ দাবিতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিতে যমুনা অভিমুখে যাচ্ছেন জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ আট দলের নেতারা।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকার পুরানা পল্টন মোড় থেকে এ পদযাত্রা শুরু হয়। পদযাত্রায় আট দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আগে দলগুলো পল্টন মোড়ে পৃথক মিছিল নিয়ে জড়ো হয়।
শাপলা চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন জামায়াত নেতাকর্মীরা। ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসের দুই অংশসহ অন্যদলগুলোর নেতাকর্মীরা আগ থেকেই পল্টন মোড়ে অবস্থান নেন।
পদযাত্রা শুরুর আগে পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলগুলোর শীর্ষ নেতারা গণভোট, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি ও জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সারা দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তথা নির্বাচনি পরিবেশ তৈরিসহ নানা বিষয়ে জোরালো বক্তব্য রাখেন।
দলগুলোর পাঁচ দফা দাবি হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে বা উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম–নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
আটটি দলের মধ্যে রয়েছে—জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা