সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জনের দাফন সম্পন্ন
Published: 6th, August 2025 GMT
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের পূর্ব জগদীশপুর এলাকায় মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে নিহত সাতজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) বিকেলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকায় ছয়জনের এবং পার্শ্ববর্তী হাজিরপাড়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে একজনের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে, দুপুরে একই পরিবারের সাতজনের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছায়। এসময় স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। হৃদয়বিদারক সেই দৃশ্য দেখতে ভিড় করে আশপাশের হাজারো মানুষ।
আরো পড়ুন:
ঘরে ৭টি লাশ, পাশে শুয়ে বৃদ্ধ বাবা
এক পরিবারে একই দিনে সাত কবরের শোক
উল্লেখ্য, বুধবার ভোরে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ফয়জুন নেসা (৮০), খুরশিদা বেগম (৫৫), কবিতা বেগম (৩০), লাবনী বেগম (৩০), রেশমি আক্তার (১০), মীম আক্তার (২) ও লামিয়া আক্তার (৯)।
নোয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের চৌমুহনী স্টেশনের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘‘দুর্ঘটনাকবলিত মাইক্রোবাসটিতে এক প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা ছিলেন। ওমানফেরত ওই প্রবাসীকে নিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ ১১ জন ছিলেন। এর মধ্যে দুর্ঘটনার পর ওমানফেরত ওই প্রবাসী এবং মাইক্রোবাসের চালকসহ চারজন বের হয়ে যান। অন্য সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা মাইক্রোবাসের পেছনের সিটগুলোতে ছিলেন।’’
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
রায়েরবাজারে গণকবর দেওয়া ১১৪ মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ
জুলাই–আগস্টের গণ–অভ্যুত্থানের সময় রায়েরবাজারে গণকবর দেওয়া ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. মোস্তাফিজুর রহমান আজ সোমবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইফতেখার হাসান।
পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার হাসান প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই–আগস্ট আন্দোলন চলাকালে অজ্ঞাতপরিচয় ১১৪টি মরদেহ দাফন করা হয়েছিল রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে। এই শহীদদের পরিচয় জানার জন্য তাঁদের মরদেহ উত্তোলন প্রয়োজন। এ জন্য লাশ উত্তোলনের অনুমতি চেয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে আবেদন করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।
ঢাকার সিএমএম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এসিএমএম) শামসুদ্দোহা সুমন প্রথম আলোকে বলেন, জুলাই–আগস্ট আন্দোলন চলাকালে যাঁরা মারা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১১৪ জনের পরিচয় জানা যায়নি। তাঁদের গণকবর দেওয়া হয়েছিল রায়েরবাজারে। তাঁদের পরিচয় জানা এবং আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের জন্য নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ উত্তোলন প্রয়োজন। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, বেওয়ারিশ লাশগুলো জুলাই-আগস্টে দাফন করেছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম, যারা নাম-পরিচয় না জানা মরদেহ দাফন করে। সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, রায়েরবাজার কবরস্থানে তারা জুলাইয়ে ৮০ জনের ও আগস্টে ৩৪ জনের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছিল।