জেন-জিদের এআই ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করলেন বিল গেটস
Published: 7th, August 2025 GMT
বর্তমানে আলোচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপ্রযুক্তি (এআই) সমাজের নানা ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আনছে। এআই-প্রযুক্তি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের কাজের ধরন বদলে দিয়েছে। এর ফলে অনেক পেশার কর্মীদের চাকরি হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি নতুন ধরনের চাকরির সুযোগও তৈরি হচ্ছে। আর তাই মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ভবিষ্যতের কাজের ধরন সম্পর্কে জেন-জি বা জেনারেশন জেড নামে পরিচিত তরুণ প্রজন্মকে সতর্ক করেছেন।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস জানিয়েছেন, বর্তমান বা ভবিষ্যতে চাকরি পাওয়ার জন্য শুধু এআইনির্ভর বিভিন্ন টুলের ব্যবহার শেখাই যথেষ্ট নয়। এসব প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ইতিমধ্যেই প্রাথমিক বা এন্ট্রি লেভেলের চাকরির বাজারের ভারসাম্যে গুরুতর ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এর ফলে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোনো শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক ও সংকুচিত কর্মসংস্থানের বাজারে চাকরির জন্য লড়াই করছেন।
বিল গেটস বলেন, ‘সাম্প্রতিক এই পরিবর্তিত সময়ে এআই টুলসের ব্যবহার যেমন আনন্দের, তেমনি কাজের। আমি একসময় পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে জানতে চাইলে সেই বিষয়ের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছে জিজ্ঞাসা করতাম। এখন আমি ডিপ রিসার্চ করে প্রশ্নের উত্তর জেনে অভিজ্ঞদের পাঠাই। তখন তাঁরা বলেন, তাঁদের আর দরকার নেই। এআইয়ের সব তথ্য সঠিক। এখন অনেক কিছু শেখার সুযোগ আছে। খান একাডেমির মতো সাইট থেকে শেখার সুযোগ আছে। এআই–প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। যদিও এসব জানলেই যে চাকরি নিশ্চিত হবে, বিষয়টি এমন নয়। আগ্রহ থাকতে হবে, পড়তে হবে এআই চ্যালেঞ্জের জন্য।’
আরও পড়ুনমেয়ের প্রতি বিল গেটসের বিরল ভালোবাসা২৬ জুলাই ২০২৫এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিল্প খাতে এআইয়ের ব্যবহারের কারণে প্রাথমিক স্তরের অনেক চাকরি বিলুপ্ত হওয়ায় প্রচলিত নবিশ বা প্রবেশ পর্যায়ে চাকরির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের পদের জন্য চাকরির বিজ্ঞাপন প্রায় ৩৫ শতাংশ কমে গেছে। আর তাই বিল গেটস তরুণদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মকে কৌতূহলী থাকতে ও নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে উৎসাহ দিয়েছেন।
আরও পড়ুনযেসব জীবনী অনুসরণ করেন বিল গেটস০৬ জুন ২০২৫বিল গেটস সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তরুণদের এআই–প্রযুক্তি সম্পর্কে নিজেদের জ্ঞান নিয়মিত হালনাগাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন। বিল গেটসের মতে, শুধু এআই জানলেই হবে না। বিভিন্ন কাজের পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া, মানসিক বুদ্ধিমত্তা এবং হাতে-কলমে দক্ষতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে প্রযুক্তি জানা ও সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করে কাজ করতে সক্ষম প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছেন অনেক নিয়োগকর্তা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুনযে পেশা ছাড়া প্রায় সব এআই দখল করে নেবে০২ এপ্রিল ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ল গ টস ব যবহ র র চ কর চ কর র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
জেন-জিদের এআই ব্যবহারের বিষয়ে সতর্ক করলেন বিল গেটস
বর্তমানে আলোচিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাপ্রযুক্তি (এআই) সমাজের নানা ক্ষেত্রে দ্রুত পরিবর্তন আনছে। এআই-প্রযুক্তি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কর্মীদের কাজের ধরন বদলে দিয়েছে। এর ফলে অনেক পেশার কর্মীদের চাকরি হুমকিতে পড়ার পাশাপাশি নতুন ধরনের চাকরির সুযোগও তৈরি হচ্ছে। আর তাই মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ভবিষ্যতের কাজের ধরন সম্পর্কে জেন-জি বা জেনারেশন জেড নামে পরিচিত তরুণ প্রজন্মকে সতর্ক করেছেন।
সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিল গেটস জানিয়েছেন, বর্তমান বা ভবিষ্যতে চাকরি পাওয়ার জন্য শুধু এআইনির্ভর বিভিন্ন টুলের ব্যবহার শেখাই যথেষ্ট নয়। এসব প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ইতিমধ্যেই প্রাথমিক বা এন্ট্রি লেভেলের চাকরির বাজারের ভারসাম্যে গুরুতর ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। এর ফলে সদ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরোনো শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতামূলক ও সংকুচিত কর্মসংস্থানের বাজারে চাকরির জন্য লড়াই করছেন।
বিল গেটস বলেন, ‘সাম্প্রতিক এই পরিবর্তিত সময়ে এআই টুলসের ব্যবহার যেমন আনন্দের, তেমনি কাজের। আমি একসময় পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে জানতে চাইলে সেই বিষয়ের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের কাছে জিজ্ঞাসা করতাম। এখন আমি ডিপ রিসার্চ করে প্রশ্নের উত্তর জেনে অভিজ্ঞদের পাঠাই। তখন তাঁরা বলেন, তাঁদের আর দরকার নেই। এআইয়ের সব তথ্য সঠিক। এখন অনেক কিছু শেখার সুযোগ আছে। খান একাডেমির মতো সাইট থেকে শেখার সুযোগ আছে। এআই–প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। যদিও এসব জানলেই যে চাকরি নিশ্চিত হবে, বিষয়টি এমন নয়। আগ্রহ থাকতে হবে, পড়তে হবে এআই চ্যালেঞ্জের জন্য।’
আরও পড়ুনমেয়ের প্রতি বিল গেটসের বিরল ভালোবাসা২৬ জুলাই ২০২৫এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিল্প খাতে এআইয়ের ব্যবহারের কারণে প্রাথমিক স্তরের অনেক চাকরি বিলুপ্ত হওয়ায় প্রচলিত নবিশ বা প্রবেশ পর্যায়ে চাকরির সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের পদের জন্য চাকরির বিজ্ঞাপন প্রায় ৩৫ শতাংশ কমে গেছে। আর তাই বিল গেটস তরুণদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তরুণ প্রজন্মকে কৌতূহলী থাকতে ও নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে উৎসাহ দিয়েছেন।
আরও পড়ুনযেসব জীবনী অনুসরণ করেন বিল গেটস০৬ জুন ২০২৫বিল গেটস সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তরুণদের এআই–প্রযুক্তি সম্পর্কে নিজেদের জ্ঞান নিয়মিত হালনাগাদ করার পরামর্শ দিয়েছেন। বিল গেটসের মতে, শুধু এআই জানলেই হবে না। বিভিন্ন কাজের পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া, মানসিক বুদ্ধিমত্তা এবং হাতে-কলমে দক্ষতা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে প্রযুক্তি জানা ও সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করে কাজ করতে সক্ষম প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছেন অনেক নিয়োগকর্তা।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
আরও পড়ুনযে পেশা ছাড়া প্রায় সব এআই দখল করে নেবে০২ এপ্রিল ২০২৫