যদি এভাবেও বলা হয় নিজেদের পাতা ফাঁদে বাংলাদেশ! তাহলে ভুল হবে না নিশ্চয়ই। স্পিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাকাল করার ভাবনা থেকে মিরপুরের ২২ গজকে বাংলাদেশ চেনা রূপে সাজিয়েছিল। কিন্তু ড্যারেন স্যামির মস্তিষ্ক খেল দেখাল।
স্পিনের বদলায় স্পিন দিয়েই ঘায়েল করলো প্রতিপক্ষ শিবিরকে। তাইতো প্রথম ম্যাচে বাজেভাবে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা আনতে পারে ক্যারিবীয়নারা। আজ সিরিজে শেষ ম্যাচ একই মাঠ মিরপুরে। দুপুর দেড়টা থেকে শুরুর অপেক্ষায় থাকা সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচকে ঘিরে একটাই প্রশ্ন, উৎকণ্ঠা আজ কী অপেক্ষা করছে মিরপুরে?
একদিনে আগেই বাংলাদেশ ম্যাচ হারলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছে। ম্যাচ টাইয়ের পর প্রথমবার সুপার ওভার খেলতে পারে। সুপার ওভারে অবশ্য সুপার ফ্লপ ছিল স্বাগতিকরা। ম্যাচ পরিস্থিতি বোঝার ঘাটতি, বোলিং পরিবর্তনে আনাড়িপনা, সুপার ওভারে ভুল ব্যাটসম্যান নির্বাচন- সর্বোপরি অতীতের সকল ব্যর্থতা আর বিতর্ককেই ছাপিয়ে গেছে মেহেদি হাসান মিরাজের দল। তবুও আশা দেখিয়েছেন অধিনায়ক, ‘‘আমরা পরের ম্যাচের দিকে তাকিয়ে আছি।’’ দু’দলেরই সামনে সুযোগ সিরিজ নিশ্চিতের, পাশাপাশি র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার সুযোগের।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ৩৫টি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। ১৮টিতে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশ করেছে। জয় পাওয়া সিরিজে তিন ম্যাচের সিরিজ আছে ২৪টি। এর বাইরে ৫, ৪, ২ ও ১ ম্যাচের সিরিজ আছে ১১টি।
তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে এগারবার। ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশও আছে ১১টি। এছাড়া তিন ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতেছে দুইটি।
বাংলাদেশ আজ জিতলে জিতবে ৩৬তম ওয়ানডে সিরিজ। ১-১ সমতায় থাকা সিরিজের পারফরম্যান্স, অতীত রেকর্ড একেবারেই খারাপ নয়। তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানোর রেকর্ড আছে ৬টি। সিরিজ জয়ের কীর্তি ৫টি। এছাড়া পিছিয়ে থেকে সিরিজ জয়ের রেকর্ড আছে ২টি, সিরিজ নিশ্চিতের পর শেষ ম্যাচ হেরেছে ৪টি।
অতীতেও বলা, পরিসংখ্যান কেবলই একটি সংখ্যা। যা শুধু আত্মবিশ্বাস দিতে পারে। বাংলাদেশের জন্য এই মুহূর্তে এসব পরিসংখ্যান খুব একটা মাইনে রাখবে না। মাঠের ২২ গজে পারফরম্যান্সই এখন বড় বিষয়। বছরের শেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলতে নেমে দল কতটা জয়ের জন্য লড়তে পারেন, জান দিয়ে খেলতে পারেন সেটাই দেখার। এ বছর ওয়ানডেতে রেকর্ড খুবই বাজে। ১০ ম্যাচে মাত্র ২ জয় পেয়েছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে আজ নিজেদের সেরা ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। বিশেষ করে ব্যাটসম্যানদের রান করতে হবে। স্পিনাররা আবার কঠিন পরীক্ষা নেবে বলার অপেক্ষা রাখে না। দেখার বিষয়, স্পিন-স্পিন আক্রমণে শেষ হাসিটা কারা হাসতে পারে?
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতের ছেলে ও মেয়ে ক্রিকেটাররা কি সমান বেতন পান
বিসিসিআই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড। ২০২২ সালের অক্টোবরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের তৎকালীন সচিব জয় শাহ ঐতিহাসিক এক ঘোষণা দিয়েছিলেন। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নারী ক্রিকেটারদের ছেলেদের সমান ম্যাচ ফি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন বর্তমান আইসিসি চেয়ারম্যান।
এত দিন পর বিষয়টি সামনে টেনে এনেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। কারণ? চলমান নারী বিশ্বকাপে ভারতের বাজে পারফরম্যান্স। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তানকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে হারমানপ্রীত কৌরের দল। সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, এমন বাজে পারফরম্যান্সের পর ভারতের ছেলে ও মেয়েদের জাতীয় দলের সমান পারিশ্রমিক পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সমর্থকদের একাংশ।
মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচ হেরে প্রথম পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কায় ভারত