কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) ভারতের বিহার রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ চলছে। প্রথম দফায় রাজ্যটির ২৪৩টি বিধানসভার আসনের মধ্যে ১২১ টি আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। 

রাজ্যটির ১৮টি জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই আসনগুলো। স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে শতকরা ২৭.

৬৫ শতাংশ। এই নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিপক্ষ ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট এবং বিরোধী মহাজোট। 

আরো পড়ুন:

নেপাল ও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের দল ঘোষণা, নেই ছেত্রী

এনডিএ জোটের শরিক দলগুলো হলো- বিজেপি, জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ), হিন্দুস্থানী আওয়াম মোর্চা, বিকাশশীল ইনসান পার্টি। 

অন্যদিকে মহাজোটের শরিক দলগুলো হলো- রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি), কংগ্রেস, সিপিআইএমএল, সিপিআইএম, সিপিআই। যদিও এবারের নির্বাচনে এক্স ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে দেশটির ভোট কুশলী এবং রাজনৈতিক নেতা প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টি। 

প্রথম দফায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ কোটি ৭৫ লাখ ১৩ হাজার ৩০২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ কোটি ৯৮ লাখ ৩৫ হাজার ৩২৫ জন, নারী প্রার্থী ১ কোটি ৭৬ লাখ ৭৭ হাজার ২১৯ জন। 

প্রথম দফায় মোট ১৪১৪ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হবে। এর মধ্যে পুরুষপ্রার্থী ১১৯২ এবং নারী প্রার্থীর সংখ্যা ১২২। এদফায় হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে। এছাড়াও নির্বাচনী ময়দানে রয়েছে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজেপি প্রার্থী সম্রাট চৌধুরী (তারাপুর কেন্দ্র), কৃষিমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা (লক্ষ্মীসরাই কেন্দ্র), স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পান্ডে (সিওয়ান কেন্দ্র), জনশক্তি জনতা দল প্রার্থী তেজ প্রতাপ যাদব (মহুয়া কেন্দ্র), লোকসংগীত শিল্পী বিজেপি প্রার্থী মৈথিলী ঠাকুর (আলিনগর কেন্দ্র), ভোজপুরি সুপারস্টার আরজেডি প্রার্থী কেশরী লাল যাদব (ছাপরা), আরেক ভোজপুরি সুপারস্টার জন সুরজ পার্টি প্রার্থী রিতেশ পান্ডে (কারগাহার কেন্দ্র)। এছাড়াও বিহারের রাজনীতিতে বাহুবলী পরিচিত আরজেডি প্রার্থী ওসামা সাহাব (রঘুনাথপুর কেন্দ্র) এবং জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিং (মোকামা কেন্দ্র) থেকে লড়াই করছেন। 

এদিন সকালে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ কুমার যাদব, উপ মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী, রাজ্যটির দ্বিতীয় উপ মুখ্যমন্ত্রী রাজীব সিনহা, মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং, রাজীব রঞ্জন সিং প্রমুখ।

দ্বিতীয় দফায় ১২২ আসনে ভোট হবে ১১ নভেম্বর। ভোট গণনা আগামী ১৪ নভেম্বর। 

আগামী ২২ নভেম্বর রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগে নির্বাচন এবং সরকার গঠন সম্পর্কিত সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। 

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম খ যমন ত র ব ধ নসভ আরজ ড

এছাড়াও পড়ুন:

‘কেজিএফ’ সিনেমার কাশিম চাচা মারা গেছেন

কন্নড় অভিনেতা হরিশ রায় মারা গেছেন। এ অভিনেতার মৃত্যুর খবর জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। ৫৫ বছর বয়সে ক্যানসারে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ক্যারিয়ারজুড়ে অনেক জনপ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। তবে ‘কেজিএফ’ ছবিতে কাশিম চাচা চরিত্রে অভিনয় করে আলাদা পরিচিতি পান তিনি।

আরও পড়ুনট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে, ১০ ছবিতে চিনে নিন ‘কেজিএফ’ অভিনেত্রীকে২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

দীর্ঘদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন হরিশ রায়। সবশেষ বেঙ্গালুরুর কিদওয়াই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানেই মৃত্যু হয় এ অভিনেতার।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী দীর্ঘদিন ধরে থাইরয়েড ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল তাঁর। এরপর সেটি ছড়িয়ে পড়ে তাঁর পাকস্থলীতে।
চিকিৎসার ব্যয় এতটাই বেশি ছিল যে হরিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, প্রতিটি সার্কেলে তিনটি ইনজেকশন প্রয়োজন ছিল তাঁর। যেখানে একটি ইনজেকশনের দাম ৩ লাখ ৫৫ হাজার রুপি। এক সার্কেলের মোট খরচ দাঁড়াত ১০ লাখ ৫০ হাজার রুপি। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীদের ১৭ থেকে ২০টি ইনজেকশনের প্রয়োজন হতো, যার ফলে চিকিৎসার আনুমানিক খরচ প্রায় ৭০ লাখ রুপিতে পৌঁছেছিল। সেই ব্যয় বহন করতে গিয়ে তাঁর পরিবার হিমশিম খাচ্ছিল।

চলচ্চিত্রজীবনে কন্নড়, তামিল ও তেলেগু চলচ্চিত্রে হরিশ অভিনয় করেছেন। ‘কেজিএফ’ ফ্র্যাঞ্চাইজি ছাড়া তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘সামারা’, ‘বেঙ্গালুরু আন্ডারওয়ার্ল্ড’, ‘ওম’, ‘রাজ বাহাদুর’, ‘সঞ্জু ওয়েডস গীতা’, ‘স্বয়ংবর’, ‘নল্লা’।
এই অভিনেতার মৃত্যুতে চলচ্চিত্রজগতের অনেকেই গভীর শোক জানিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ