যে ৪ ‘মানি রুল’ ধনীরা কাউকে বলেন না
Published: 6th, November 2025 GMT
১. আয় করার চেয়ে ‘ব্যয় করা’ কঠিন
কেমন অদ্ভুত শোনাল কথাটা, তাই না? এই ‘ব্যয়’ মানে ইচ্ছেমতো খরচ নয়, বরং ‘মানি ম্যানেজমেন্ট’ জানা। নিজের সব খরচের দায়িত্ব নেওয়া, জরুরি অবস্থার তহবিল রাখা, জমানো, সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করা। ধনীরা একেবারে ছোটবেলা থেকে তাঁদের শিশুদের এটি শেখান।
২. টাকা ‘ছাপানো’ শিখুনএর মানে হলো টাকা বানানো বা তৈরি করা শিখুন। আপনি হয়তো অর্থ আয় করতে জানেন, কিন্তু ধনী হতে গেলে আপনাকে টাকা দিয়ে টাকা বানানো জানতেই হবে। অর্থাৎ বিনিয়োগ করা শিখতে হবে। ধরুন, আপনি জীবনের প্রথম জমানো পাঁচ লাখ টাকা খরচ না করে, ফেলে না রেখে জমি কিনলেন। চুপচাপ অপেক্ষা করুন। নিজের কাজ করতে থাকুন। কয়েক বছর পর সুযোগ বুঝে সেই জমি বিক্রি করুন দ্বিগুণ লাভে।
আরও পড়ুনদুবাইয়ের শীর্ষ ধনী নন কোনো তেল ব্যবসায়ী, শেখ বা প্রিন্স, তাহলে কে তিনি০৬ অক্টোবর ২০২৫৩.‘ভ্যালু’ সৃষ্টি করুন
এমন কিছু তৈরি করুন, যা অন্যের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এমন দক্ষতা অর্জন করুন, বাজারে যার চাহিদা তুঙ্গে। সেটি সঠিক গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো ও বিক্রি করা শিখুন। সেদিন ইনস্টাগ্রাম স্ক্রল করতে করতে দেখলাম, একজন ষাটোর্ধ্ব ধনী ব্যক্তি মাইক্রোফোন হাতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ান আর বিভিন্ন তরুণদের জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি জীবনে কী করতে চান?’
তাঁদের কাছ থেকে ১ মিনিটে তিনি আইডিয়া শোনেন। যাঁর আইডিয়া পছন্দ হয়, তাঁকে পরদিন নির্দিষ্ট জায়গায়, নির্দিষ্ট সময়ে দেখা করতে বলেন। এভাবে তিনি কয়েক শ উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন। আর পুরো প্রক্রিয়াটি তিনি ভিডিও করে ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেন। এভাবে তিনি অন্যদের নিজেদের প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে সাহায্য করছেন আর নিজেও ধনী থেকে আরও ধনী হচ্ছেন।
আরও পড়ুনযে ৫ কৌশল আপনাকে ধনী হতে সাহায্য করবে০৬ ডিসেম্বর ২০২৪৪. ‘লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট’সম্পদ অর্জনই বড় কথা নয়, বরং প্রকৃত ধনীরা নিজেদের সম্পদ উপভোগ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন, রাজনীতিবিদ, চিত্রশিল্পী, লেখক, বিজ্ঞানী বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন বলেছেন, ‘যাঁর ধন আছে সে-ই ধনী নয়, বরং যিনি তা উপভোগ করতে জানেন, তিনিই প্রকৃত ধনী’।
তাই টাকা আয় করা, ‘মাল্টিপ্লাই’ করার সঙ্গে সঙ্গে এক এক করে বাকেট লিস্টে থাকা নিজের স্বপ্ন আর সাধ পূরণ করতে ভুলবেন না। কেননা জীবন একটাই।
সূত্র: মানি ম্যাক্সিমাইজিং অ্যাডভাইজরস
আরও পড়ুনবেতন নয়, আপনাকে ধনী করবে বিশেষ এই পদ্ধতি২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফিফপ্রোর একাদশ: মেসি–রোনালদোর জায়গা হয়নি, ইয়ামাল সর্বকালের সর্বকনিষ্ঠ
ক্যারিয়ারের গোধূলিবেলায়ও আলো ছড়াচ্ছেন লিওনেল মেসি আর ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বয়স তাঁদের থামাতে পারেনি। এবার ফিফপ্রোর বর্ষসেরা একাদশের প্রাথমিক তালিকায়ও ছিলেন দুজনই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জায়গা হয়নি চূড়ান্ত একাদশে। তরুণদের জোয়ারে হার মানতে হয়েছে ফুটবলের এই দুই কিংবদন্তিকে।
তাঁদের জায়গা না হলেও ইতিহাস গড়েছেন লামিনে ইয়ামাল। বার্সেলোনার এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফিফপ্রোর একাদশে জায়গা পাওয়া সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড়। বয়স মাত্র ১৮। এর আগে সবচেয়ে কম বয়সী ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে—২০১৮ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে যিনি জায়গা পেয়েছিলেন ফিফপ্রোর একাদশে।
২৬ জনের প্রাথমিক তালিকার মতো চূড়ান্ত একাদশেও চোখে পড়ে পিএসজির আধিপত্য। ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নদের মধ্য থেকে পাঁচজন জায়গা পেয়েছেন একাদশে। তাঁরা হলেন—জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (যিনি গত মৌসুম শেষে পিএসজি ছেড়ে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দিয়েছেন), আশরাফ হাকিমি, নুনো মেন্দেস, ভিতিনিয়া এবং উসমান দেম্বেলে।
আরও পড়ুনফিফপ্রোর সেরা একাদশের জন্য নির্বাচিত ২৬ জনে কারা আছেন২৮ অক্টোবর ২০২৫রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা থেকেও জায়গা পেয়েছেন দুজন করে খেলোয়াড়। রিয়াল থেকে জুড বেলিংহাম ও কিলিয়ান এমবাপ্পে, আর বার্সা থেকে লামিনে ইয়ামাল ও পেদ্রি। লিভারপুল থেকে একজন—ভার্জিল ফন ডাইক। চেলসি থেকে জায়গা পেয়েছেন কোল পালমার।
ফিফপ্রোর এই পুরস্কারে সেরা খেলোয়াড়েরা নির্বাচিত হন বিশ্বের পেশাদার ফুটবলারদের ভোটে। এ বছর প্রায় ২০ হাজার খেলোয়াড় ভোট দিয়েছেন। শর্ত ছিল—খেলোয়াড়দের অবশ্যই ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ৩ আগস্টের মধ্যে অন্তত ৩০টি অফিশিয়াল ম্যাচ খেলতে হবে।
এরপর ভোটের ভিত্তিতে গঠিত হয় চূড়ান্ত একাদশ—একজন গোলরক্ষক, তিনজন ডিফেন্ডার, তিনজন মিডফিল্ডার, তিনজন ফরোয়ার্ড এবং সর্বাধিক ভোট পাওয়া আরেকজন খেলোয়াড়, যিনি হতে পারেন যেকোনো পজিশনের।
ফিফপ্রোর সেরা একাদশ ২০২৫গোলরক্ষক: জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা (পিএসজি/ম্যানচেস্টার সিটি, ইতালি)
ডিফেন্ডার: ভার্জিল ফন ডাইক (লিভারপুল, নেদারল্যান্ডস), আশরাফ হাকিমি (পিএসজি, মরক্কো), নুনো মেন্দেস (পিএসজি, পর্তুগাল)
মিডফিল্ডার: জুড বেলিংহাম (রিয়াল মাদ্রিদ, ইংল্যান্ড), কোল পালমার (চেলসি, ইংল্যান্ড), পেদ্রি (বার্সেলোনা, স্পেন), ভিতিনিয়া (পিএসজি, পর্তুগাল)
ফরোয়ার্ড: উসমান দেম্বেলে (পিএসজি, ফ্রান্স), কিলিয়ান এমবাপ্পে (রিয়াল মাদ্রিদ, ফ্রান্স), লামিনে ইয়ামাল (বার্সেলোনা, স্পেন)