অ্যাপল ওয়াচে আলাদা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
Published: 6th, November 2025 GMT
জনপ্রিয় বার্তা বিনিময় মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ এবার প্রথমবারের মতো চালু করেছে অ্যাপল ওয়াচের জন্য স্বতন্ত্র বা স্ট্যান্ডঅ্যালোন অ্যাপ। নতুন এই সংস্করণে ব্যবহারকারীরা আর আইফোনের ওপর নির্ভর না করে সরাসরি অ্যাপল ওয়াচ থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। এর ফলে ঘড়ি থেকেই চ্যাট দেখা, বার্তার উত্তর দেওয়া, ভয়েস মেসেজ পাঠানো ও কলের ব্যবস্থাপনা এখন আরও সহজ হয়ে যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, নতুন এই সংস্করণে যুক্ত হয়েছে ভয়েস মেসেজ রেকর্ড ও পাঠানোর সুবিধা, কলের পূর্ণাঙ্গ নোটিফিকেশন দেখা, বড় আকারের বার্তা পড়া, ইমোজি রিঅ্যাকশন পাঠানো এবং ছবি ও স্টিকার আরও স্পষ্টভাবে দেখার সুযোগ। এসব পরিবর্তনের ফলে অ্যাপল ওয়াচে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা এখন অনেকটাই অ্যাপলের নিজস্ব মেসেজিং অ্যাপের সমপর্যায়ে পৌঁছেছে।
হোয়াটসঅ্যাপ তাদের এক ব্লগ বার্তায় জানিয়েছে, ‘বার্তা পড়া ও উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি এবার প্রথমবারের মতো অ্যাপল ওয়াচের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হয়েছে ব্যবহারকারীদের বহুদিনের প্রত্যাশিত নানা সুবিধা।’ এই নতুন অ্যাপটি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হবে অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ ৪ বা তারপরের মডেল এবং ঘড়িতে থাকতে হবে ওয়াচওএস ১০ বা তারপরের সংস্করণ। নতুন সংস্করণে ব্যবহারকারীরা আইফোন হাতে না নিয়েই ঘড়িতে দেখতে পারবেন কে কল করছেন। ছোট বা বড়, সব ধরনের বার্তা সরাসরি অ্যাপল ওয়াচের পর্দায় পড়া যাবে। ঘড়ির মাধ্যমেই ভয়েস মেসেজ রেকর্ড করে পাঠানো সম্ভব হবে।
এ ছাড়া প্রাপ্ত বার্তায় দ্রুত ইমোজি রিঅ্যাকশন পাঠানোর সুবিধা যুক্ত হয়েছে। ছবি ও স্টিকারও এখন আগের তুলনায় অনেক বেশি স্পষ্টভাবে দেখা যাবে ঘড়ির ডিসপ্লেতে। ব্যবহারকারীরা বার্তা পড়ার সময় আগের আরও বেশি চ্যাট ইতিহাস একসঙ্গে দেখতে পারবেন, ফলে কথোপকথনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
হোয়াটসঅ্যাপ আরও জানিয়েছে, অ্যাপল ওয়াচে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে ভবিষ্যতে নতুন ফিচার যোগ করা হবে। ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত বার্তা ও কল সব সময়ই এন্ড–টু–এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকবে। এর আগে অ্যাপল ওয়াচ ব্যবহারকারীরা শুধু হোয়াটসঅ্যাপের নোটিফিকেশন দেখতে ও সীমিতভাবে প্রত্যুত্তর দিতে পারতেন। তবে নতুন স্বতন্ত্র অ্যাপ চালুর পর ঘড়িতেই এখন স্পষ্ট ছবি, স্টিকার ও পুরোনো চ্যাট ইতিহাস দেখা সম্ভব হচ্ছে। ফলে আইফোন ছাড়াই ঘড়ি থেকেই পাওয়া যাবে পূর্ণাঙ্গ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা।
উল্লেখ্য, হোয়াটসঅ্যাপের মালিকানা প্রতিষ্ঠান মেটা এরই মধ্যে অ্যান্ড্রয়েডভিত্তিক ওয়্যার ওএস মাধ্যমের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ চালু করেছে। সম্প্রতি তারা অ্যাপল ওয়াচের জন্য মেসেঞ্জার অ্যাপ বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর এবার হোয়াটসঅ্যাপের স্বতন্ত্র সংস্করণ চালু করল।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প ব যবহ র ব যবহ র র স স করণ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথমবারের মতো সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ করলো এনআরবিসি ব্যাংক
টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব অর্থায়নকে গুরুত্ব দিয়ে প্রথমবারের মতো ‘সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট-২০২৪’ প্রকাশ করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। গ্লোবাল রিপোর্টিং ইনিশিয়েটিভ (জিআরআই) স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী প্রণীত প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘অন্তর্ভূক্তিমূলক অর্থায়নে সবুজ আগামী’।
বুধবার (৫ নভেম্বর) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদনের মোড়ক আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এসময় ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশীদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খানসহ সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ড. তৌহিদুল আলম খান বলেন, “জিআরআই গাইডলাইন্স অনুসরণ করে সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট প্রকাশ এনআরবিসি ব্যাংকের আর্থিক স্থিতি, পরিবেশগত দায়িত্ববদ্ধতা এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।”
তিনি আরো বলেন, “ভবিষ্যতে গ্রিন ব্যাংকিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাত, সামাজিক কল্যাণে অতিক্ষুদ্র খাত এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সহযোগিতা ও অর্থায়ন বাড়ানো হবে।”
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এনআরবিসি ব্যাংক পরিবেশ, সামাজিক উন্নয়ন ও সুশাসনকে প্রাধান্য দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ২০২৪ সালে ব্যাংকটি গ্রিন ও সাসটেইনেবল ফাইন্যান্সিং খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি-দক্ষ প্রযুক্তি, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সবুজ স্থাপনা এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষি উদ্যোগে অর্থায়নের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক কৃষক ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়নে সরাসরি অবদান রাখছে।
রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, টেকসই ব্যাংকিং মানেই শক্তিশালী ও ভালো ব্যাংকিং। এনআরবিসি ব্যাংকের এই পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের সুফল গ্রাহক, ঋণগ্রহীতা ও শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন। স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীল ব্যাংকিং সেবার কারণে সবুজ অর্থায়ন প্রকল্পগুলো গুরুত্ব পাবে, এতে উদ্যোক্তাদের দীর্ঘমেয়াদে খরচ কমবে এবং মুনাফা বাড়বে। আমানতকারী এবং শেয়ারহোল্ডাররা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন যে, তাদের জমানো অর্থ ও বিনিয়োগ পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে না।
ঢাকা/ইভা