কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে নিহত ৫ নারীর দাফন সম্পন্ন
Published: 6th, November 2025 GMT
কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া পাঁচ নারীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৃথক দুইটি গ্রামে জানাজা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় শত শত মানুষ অংশ নেন।
এলাকাবাসী জানান, আজ সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চান্দিশকরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে তিন জনের এবং ফালগুনকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে দুইজনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
গাজীপুরে মহাসড়কে উল্টে পড়েছে ট্রাক, যানজটে দুর্ভোগ
নেত্রকোণায় বাসচাপায় অটোরিকশাচালক নিহত
এর আগে, বুধবার মধ্যরাতে তাদের মরদেহ চান্দিশকরা ও ফালগুনকরা গ্রামের বাড়িতে আনা হয়। এ সময় প্রিয়জনদের নিথর দেহ দেখে পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিহতরা হলেন- চান্দিশকরা গ্রামের বাসিন্দা উদয় পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা (২৮), মা রুমি বেগম (৬৫), বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী (২৪), শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী (৫৫) ও শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা (২৫)।
গত ৪ নভেম্বর রাতে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে কক্সবাজারের জন্য ভাড়া করা মাইক্রোবাসে রওনা দেন উদয় পাটোয়ারী, স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা, ছেলে সামাদ পাটোয়ারী, শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা ও শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশান। রাত আড়াইটার দিকে চৌদ্দগ্রাম থেকে মা রুমি বেগম, বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী এবং শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পীকে গাড়িতে তোলেন উদয় পাটোয়ারী।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় বিপরীত থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই পাঁচজন মারা যায়। আহত হন উদয় পাটোয়ারী, তার ছেলে ও শ্যালক। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। আহতদের মধ্যে শাহেদ মজুমদার লিশানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ঢাকা/তারেকুর/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত উদয় প ট য় র
এছাড়াও পড়ুন:
পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে জমি দখলের অভিযোগ, ৯৯৯-ফোন করে রক্ষা
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এক ব্যবসায়ীর জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের দাবি, এ সময় ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে প্রাচীর ভেঙে গাছপালা কেটে ফেলার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের বাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ ফোন করলে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।
গত মঙ্গলবার উপজেলার শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঁইগাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শুভডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঁইগাছা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে ব্যবসায়ী এমরানের সঙ্গে একই গ্রামের নওশের আলী ও তাঁর ভাই এবাদত হোসেনের মধ্যে সাড়ে ছয় শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে থানা ও আদালতে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিক মামলাও চলমান আছে। সম্প্রতি একটি মামলায় এমরানের পক্ষে রায় হয়। এরপর দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে ওই জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন আদালত।
আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গত মঙ্গলবার নওশের ও এবাদতের নেতৃত্বে ১২-১৩ জনের একটি দল দেশি অস্ত্র নিয়ে এমরানের বাড়ির পাশে ওই বিরোধপূর্ণ জমিতে যান। একপর্যায়ে সেখানে থাকা ইটের প্রাচীর ভেঙে লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছ কেটে ফেলে। এ সময় হামলাকারীরা বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিয়ে এমরানের পরিবারের সদস্যদের বাড়ির মধ্যে অবরুদ্ধ করে জমিটি দখলে নেয়।
এমরানের পরিবার জানায়, অবরুদ্ধ অবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। তাঁদের অভিযোগ, বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার পর একটি পক্ষ দলবল নিয়ে জমিটি দখল করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামাল হোসেন বলেন, তিনি এ ধরনের ঘটনার খবর পেয়েছেন। তবে এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।