নগ্ন ও অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়, অস্কারজয়ী অভিনেত্রী বললেন...
Published: 6th, November 2025 GMT
‘অন্তরঙ্গ দৃশ্য’—এই শব্দ দুটিই আলোচনার জন্য যথেষ্ট। সিনেমায় অন্তরঙ্গ দৃশ্য থাকলে কখনো সেন্সর নিয়ে ঝামেলা হয়, কখনো আবার মুক্তির পরে শুরু হয় পক্ষে-বিপক্ষে তুমুল আলোচনা। অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং নিয়ে অনেক ঘটনা আছে। অনেক অভিনেত্রী এ ধরনের দৃশ্য নিয়ে অস্বস্তির কথা জানিয়ে কেউ অভিযোগ করেছেন, শুটিংয়ে সহ–অভিনেতার বাড়াবাড়ির কথা। মিটু ঝড় শুরুর পর পশ্চিমা সিনেমা দুনিয়া পর্দায় অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিং ইনটিমেসি কো-অর্ডিনেটরের সাহায্য নেয়। তবে অস্কারজয়ী অভিনেত্রী জেনিফার লরেন্স জানালেন, নতুন সিনেমা ‘ডাই মাই লাভ’–এর অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিংয়ে কোনো ইনটিমেসি কো-অর্ডিনেটরের সাহায্য নেননি তিনি।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন সহ-অভিনেতা রবার্ট প্যাটিনসনের সঙ্গে তিনি সম্পূর্ণ নিরাপদ বোধ করেছেন। লিন রামজি পরিচালিত এই সিনেমায় লরেন্স অভিনয় করেছেন এক নারীর ভূমিকায়, যিনি সন্তানের জন্মের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
লরেন্স বলেন, ‘আমাদের কোনো ইনটিমেসি কো–অর্ডিনেটর ছিল না—অথবা থাকলেও আমরা তেমন ব্যবহার করিনি। আমি রবার্টের সঙ্গে খুবই নিরাপদ বোধ করেছি। সে মোটেও বিকৃতমনা নয়, বরং সুকি ওয়াটারহাউসের প্রেমে একেবারে মগ্ন। আমরা বেশির ভাগ সময় নিজেদের সন্তান আর সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেছি। কোনো অস্বস্তিকর ভাবই ছিল না।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নরসিংদীতে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার আরও ৩
নরসিংদীর রায়পুরায় ১ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় চাচাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রায়পুরা উপজেলার সাপমারা এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিন আসামি হলেন নিহত দুজনের আপন চাচা মো. আবদুল আওয়াল (৬০), তাঁর মেয়ে শাহনাজ বেগম (২৮) ও তাঁর স্বামী শিপন শিকদার (৩২)। পরে আজ তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে গত শনিবার বেলা পৌনে একটার দিকে রায়পুরার পশ্চিম পাড়ায় দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন হলেন ওই এলাকার মৃত আবু তাহের মিয়ার ছেলে হুরুন আলী ওরফে হুরা (৩০) ও শাকিল মিয়া (২২)। তাঁরা দুজনই এলাকায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন।
পুলিশ বলছে, জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত দুই ভাইয়ের মা জোসনা বেগম ১১ জনকে আসামি করে রোববার রায়পুরা থানায় মামলা করেন। ঘটনাস্থল থেকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আওয়ালের স্ত্রী শরীফা বেগম (৫২) এবং দুই মেয়ে আরজিনা আক্তার (২২) ও আসমা আক্তারকে (১৮) থানায় নেওয়া হয়েছিল। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ছাড়া মঙ্গলবার দুপুরে মামলার অন্যতম আসামি আওয়ালের ছেলে শিপন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই চারজন বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কারাগারে আছেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ জানান, জোড়া হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় ১১ জন এজাহারভুক্ত আসামির মধ্যে ৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।