শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় যাত্রীবাহী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে উল্টে যায়। এতে নিখোঁজ হওয়ার আড়াই ঘণ্টা পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।

তিন মাস বয়সী ওই শিশুর নাম মো. সোহেল। সে উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডাকাবর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

আজ বৃহস্প‌তিবার দুপুরে উপজেলার খৈলকুড়া এলাকায় শেরপুর-ঝিনাইগাতী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিকেল চারটার দিকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলা দেড়টার দিকে ‘আকাশ বিকাশ’ পরিবহনের একটি বাস শেরপুর শহর থেকে ঝিনাইগাতীর উদ্দেশে যাচ্ছিল। এ সময় খৈলকুড়া এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি রাস্তার পাশের একটি বড় পুকুরে উল্টে পড়ে। বাসটিতে ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জন আহত হন এবং একটি শিশু নিখোঁজ হয়। শিশুটি মায়ের কোল থেকে ছিটকে পানিতে পড়েছিল। শিশুটির মা রুবেদা বেগম পানিতে ডুবে গেলেও সাঁতরে উঠে আসেন, তবে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টার পর শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন।

ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, আহত সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। নিখোঁজ শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব‌্যাপা‌রে মামলার প্রস্তু‌তি চল‌ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

নবীজির সময়েই নারীর অধিকার-সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল: ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আল-কোরআন পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান। নবীজির দিকনির্দেশনায় সেই সময়েও নারীর অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল।

রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্‌যাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সিরাতে রাসুল (সা.) এক কালজয়ী আদর্শ। আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর আদর্শের আলোকে সমগ্র পৃথিবী আলোকিত হয়েছিল, জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর হয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে আজকের যুগে আমরা বাইরের আচার-আচরণ ও বাহ্যিক জ্ঞানার্জনে যতটা মনোযোগী, অন্তরের চালচলন ও জীবনধারায় সিরাত ও সুন্নতের প্রভাব ততটা প্রতিফলিত হচ্ছে না।’

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ‘মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনাদর্শ ও চরিত্র থেকে আমরা কতটা শিক্ষা গ্রহণ করছি এবং কতটা তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হচ্ছি—এই আয়োজন তারই প্রতিফলন। আমাদের শিক্ষার্থীরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। মহানবী (সা.) বলেছেন, “জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলিম নর–নারীর জন্য জরুরি।” তাই জ্ঞানচর্চার মাধ্যমেই আমাদের জীবন হবে সমৃদ্ধ। নবীর আদর্শকে অনুসরণ করলে সততাই আমাদের শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো. রইছ উদ্‌দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ সাবিনা শরমীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আ. ছালাম খান এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. মোশাররাফ হোসেন।

প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়ভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদ্‌যাপন করেছে। অনুষ্ঠানে বিজয়ী প্রতিযোগী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ