বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের (আইইউবি) একটি বিভাগে সহযোগী/সহকারী অধ্যাপক ও লেকচারার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। মোট পদসংখ্যা ৪। আবেদনের শেষ তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০২৫।

পদের নাম ও বিবরণ

১. সহযোগী অধ্যাপক (VLSI Design and Microelectronics)

পদসংখ্যা: ০১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বনামধন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (EE) বিষয়ে বিএসসি (৪ বছরের), মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি। মোট ৫টি প্রকাশনা থাকতে হবে, যার মধ্যে ৩টি অবশ্যই সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ে প্রকাশিত হতে হবে। সর্বনিম্ন সাত বছরের অভিজ্ঞতা, যার মধ্যে কমপক্ষে তিন বছর পিএইচডি সম্পন্নের পর সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

আরও পড়ুনপরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ৬৫ পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু২ ঘণ্টা আগে

২.

সহকারী অধ্যাপক (VLSI Design and Microelectronics)

পদসংখ্যা: ০১

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বনামধন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (EE) বিষয়ে বিএসসি (৪ বছরের), মাস্টার্স ও পিএইচ.ডি. ডিগ্রি। শীর্ষস্থানীয় পিয়ার-রিভিউড জার্নাল, কনফারেন্স এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে গবেষণা ও প্রকাশনা থাকতে হবে। পিএইচডি সম্পন্নের পর অন্তত দুই বছরের শিক্ষকতা বা গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

৩. লেকচারার বি (Electrical and Electronic Engineering)

পদসংখ্যা: ০২

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা: স্বনামধন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (EEE) বা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (EE) বিষয়ে বিএসসি (চার বছরের) এবং মাস্টার্স ডিগ্রি। পূর্ববর্তী শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ‘পিয়ার-রিভিউড জার্নাল’-এ গবেষণার অভিজ্ঞতা ও প্রকাশনা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ০৩ নভেম্বর ২০২৫বেতন–ভাতা

বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী।

বিভাগ

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ

আবেদনের শেষ তারিখ

১৪ নভেম্বর ২০২৫

বিস্তারিত তথ্য এবং আবেদন করার জন্য ভিজিট করুন

আরও পড়ুনসংগীত ও শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ বাদ দেওয়ার বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিল অন্তর্বর্তী সরকার১৫ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য পদস খ য প রক শ বছর র সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় ঢাবিতে মানবেন্দ্র লারমাকে স্মরণ

সাবেক আইনপ্রণেতা ও বিপ্লবী নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় এক স্মরণসভায় তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।

স্মরণসভার শুরুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন এম এন লারমার ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন জাতীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা।

মানবেন্দ্র লারমা গরিব মেহনতি মানুষের নেতা উল্লেখ করে স্মরণসভায় সাংবাদিক সোহরাব হাসান বলেন, ‘তিনি কেবল পাহাড়ি মানুষের নেতা ছিলেন না। বিপ্লবী মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা সমগ্র নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছেন। তিনি বাহাত্তরের সংবিধানে আদিবাসী, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি সে সময় সংসদে দাড়িয়ে দৃঢ় কণ্ঠে প্রতিবাদ করেছিলেন যে তিনি একজন চাকমা, একজন চাকমা কোনো দিন বাঙালি হতে পারেন না।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সদস্য দীপায়ন খীসা বলেন, ‘জুলাই সনদে আজকে আদিবাসী মানুষের কথা বলা নেই। অথচ কেবল মুখে বহুত্ববাদী, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা বলা হচ্ছে। বিগত সময়ের দলীয় সরকার নাহয় আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার প্রতিষ্ঠা করেনি। কিন্তু গণ–অভ্যুত্থান–পরবর্তী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময় পাহাড়ি আদিবাসীরা কমপক্ষে দুটি সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হয়েছেন। অন্যদিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যাকে রাজনৈতিভাবে সমাধানের লক্ষ্যে স্বাক্ষরিত পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের কথা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো উচ্চারণ করেনি।’

ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেক বলেন, ‘চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান যে চেতনা নিয়ে শুরু হয়েছিল, আজ সেই চেতনা মৌলবাদী শক্তির কাছে লুট হয়ে গেছে। সত্তরের দশকে নতুন বাংলাদেশে মহান নেতা মানবেন্দ্র লারমা সেই স্বপ্ন দেখছিলেন, যে স্বপ্ন একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার, গরিব মেহনতি তথা নিপীড়িত পাহাড়ি আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন বুনেছিলেন।’

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সহসাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে নিপীড়িত মানুষের অধিকারের কথা বলা হয়নি, নারী-পুরুষের বৈষম্য বিলোপ এবং মেহনতি মানুষের মৌলিক অধিকারের কথা তুলে ধরা হয়নি। সে সময় শোষিত মানুষের বন্ধু মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা তাঁদের হয়ে কথা বলেছেন। তিনি সংবিধান প্রণয়নের সময় শ্রমিক, গরিব ও আদিবাসী নিপীড়িত মানুষের কথা বলেছিলেন।

সাবেক সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাসদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে এ দেশের যত রাজনৈতিক দল আছে, তারা অন্য জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করার মতো মানসিকতা এখনো তৈরি করতে পারেনি। ভোটের আগে মুখে বললেও তা বাস্তবে বাস্তবায়ন করে না।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল কাফি রতন বলেন, ‘মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা জুম্ম জাতির জন্য ছাত্রজীবন থেকে অধিকারের কথা বলেছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সংবিধান যখন বাঙালি বলে আদিবাসী মানুষের পরিচয় করে দিতে চেয়েছিল, সেই সময় গণপরিষদে এম এন লারমা প্রতিবাদ করেছিলেন।’

স্মরণসভায় আরও বক্তব্য দেন লেখক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, সাংবাদিক সাইফুর রহমান, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা ও নারীনেত্রী শিরিন হক। স্মরণসভা শেষে গান, কবিতা পাঠ ও প্রদীপ প্রজ্বালনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ