শেষ হাসি কে হাসবেন, মোদি নাকি ট্রাম্প
Published: 14th, August 2025 GMT
ভারতের ওপর প্রথমে ২৫ শতাংশ, পরে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ মার্কিন বাণিজ্য শুল্ক আরোপের ঘটনায় ভারতের রাজনীতিতে মৃদু ভূকম্পন শুরু হয়েছে।
এখন আলাপ-আলোচনা চলছে, সত্যি সত্যি যদি এই হারে ভারতের রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়, তাহলে অর্থনীতিতে বড় রকমের চাপ পড়বে। সবচেয়ে বড় চাপ আসবে কৃষি খাতে। রাজনীতিতেও তার প্রভাব অনিবার্য। এমনকি মোদির গদি নিয়েও টান পড়তে পারে।
যে প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি, তা হলো ট্রাম্প-মোদির বন্ধুত্ব বা ‘ব্রোমান্স’ সত্ত্বেও হঠাৎ কী এমন ঘটল যে ট্রাম্প তাঁর প্রিয় বন্ধুকে এই বিপদ ফেলে দিলেন?
দুটি কারণ সামনে এসেছে। ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওপর ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চাপ বাড়াতে চান। রাশিয়ার তেল কিনে ভারত এ যুদ্ধ জিইয়ে রেখেছে। অতএব ভারতকে সে পথ থেকে সরে আসতে তার ওপরই চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুনট্রাম্প-সি কারও সঙ্গে সম্পর্ক টিকল না, একলা চলবেন মোদি?১০ আগস্ট ২০২৫সমস্যা হলো ভারতের চেয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে অনেক বেশি তেল কেনে চীন। কই, তার ওপর তো কোনো নিষেধাজ্ঞা বা বাণিজ্য শুল্ক আরোপ করা হয়নি। এই সেদিন ট্রাম্প বাণিজ্যচুক্তি সম্পন্ন করতে চীনকে আরও ৯০ দিনের রেয়াত দিয়েছেন।
অন্যদিকে যুদ্ধ না থামালে রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত শুল্কের কথা ট্রাম্প বলেছেন বটে, কিন্তু আরোপ করেননি। উল্টো কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই তাঁকে নিজ দেশে ডেকে আনছেন আলোচনায় বসতে।
দ্বিতীয় সম্ভাব্য কারণ, ঝিকে মেরে বউকে শায়েস্তা করার মতো ট্রাম্প ভারতকে শাস্তি দিয়ে ‘ব্রিকস’-কে থামাতে চান। ব্রিকস, মানে ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে গঠিত বিকল্প অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জোট, যার একটা বড় লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ছড়ি ঘোরানোয় বাধা দেওয়া।
এই জোট বিশ্বজুড়ে ডলারের চলতি আধিপত্য রোধে বিকল্প ‘কারেন্সি’ও চালু করতে চায়। সে কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, এটা কিছুতেই হতে দেওয়া যেতে পারে না। কিন্তু তাঁর এ যুক্তির শুভংকরের ফাঁকিটা হলো ভারত নয়, রাশিয়া ও চীন এই দুই দেশ ব্রিকসের প্রধান দুই খুঁটি। ট্রাম্প তাদের ওপর চাপ না প্রয়োগ করে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর চাপ প্রয়োগ করছেন। তাতে লাভ কী?
শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। হোয়াইট হাউস, ওয়াশিংটন, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
চার সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ কারণে চট্টগ্রাম, মোংলা, কক্সবাজার ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী এতথ্য জানান।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উত্তর অন্ধ্র প্রদেশ এবং দক্ষিণ উড়িষ্য উপকূলের অদূরে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
আরো পড়ুন:
সাগরে লঘুচাপ, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
সাগরে নিখোঁজ জেলের মরদেহ উদ্ধার
উকূলীয় এলাকা দিয়ে যে কোনো সময় দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ কারণে পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের চার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সব মাছধরা ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। কিছুটা উত্তাল রয়েছে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। নদ-নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবা সুখী বলেন, “উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত লঘুচাপটি আজ সকাল ৬টা নাগাদ একই এলাকায় অবস্থান করছিল। লঘুচাপের কারণে উপকূলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।”
ঢাকা/ইমরান/মাসুদ