হাত না মেলানো, বর্জনের হুমকি আর ম্যাচ রেফারির ক্ষমাপ্রার্থনা—এরপর সামনে কী
Published: 19th, September 2025 GMT
সন্ধ্যার পর দুবাইয়ের রাস্তায় ব্যস্ততা বেড়ে যায় বহুগুণ। পরশু সন্ধ্যায়ও যখন পাকিস্তান–সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচ নিয়ে ঘোর অনিশ্চয়তা, তখন সেটিই পাকিস্তান দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ কর্মকর্তাকে জানিয়েছিল দুবাইয়ের পুলিশ। পরে প্রায় ৪০ মিনিটের পথ পাড়ি দিয়ে তারা মাঠে গেছে, ম্যাচও খেলেছে।
এক দল মাঠে এসেছে ঠিক সময়ে, অন্য দল ম্যাচ রেফারি নিয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থেকে দেরিতে হোটেল ছাড়ায় ম্যাচ শুরু হয়েছে এক ঘণ্টা পর, এ রকম বিচিত্র ঘটনা সম্ভবত এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টেই কেবল কল্পনা করা যায়। অবশ্য এশিয়া কাপের অদ্ভুত কিছু করে দেখানোর ক্ষমতা নতুন কিছু নয়।
ভারত আর পাকিস্তান চিরবৈরী দুই প্রতিবেশী দেশ, যাদের প্রায় সব পর্যায়েই মুখ দেখাদেখি বন্ধ। গত মে মাসের রাজনৈতিক উত্তাপে খেলা বন্ধ করতে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এমন দুটি দলকেও বারবার একসঙ্গে মাঠে নামিয়ে দিতে পারে এই টুর্নামেন্ট।
এবারের এশিয়া কাপ মুখোমুখি বসিয়েছে আদর্শিকভাবে বিপরীত মেরুতে থাকা সাবেক দুই পিসিবি সভাপতি নাজাম শেঠি আর রমিজ রাজাকেও। উদ্দেশ্যটা যে ছিল এক! অ্যান্ডি পাইক্রফটকে পাকিস্তানের ম্যাচে ম্যাচ রেফারি থাকতে না দেওয়া। পিসিবি ও এসিসির প্রধান মহসিন নাকভীর ডাকে সাড়ে দিয়ে তাঁরাও পরশু পরামর্শ সভায় বসেছিলেন লাহোরে।
লাহোরে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে মহসিন নাকভি (মাঝে), নাজাম শেঠি (বাঁয়ে) ও রমিজ রাজা (ডানে).উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম দেখায় প্রেম নাকি ঝগড়া? আসছে ইয়াশ–তটিনীর ‘তোমার জন্য মন’
বাংলা ওটিটির নিয়মিত দর্শকেরা ভালো করেই জানেন—যে গল্পে থাকেন শিহাব শাহীন, সেখানে থাকে প্রেম, আবেগ, আর বাস্তব জীবনের মৃদু জটিলতা। এবার সেই নির্মাতা ফিরছেন নতুন এক প্রেমের গল্প নিয়ে। চরকি অরিজিনাল ফিল্ম ‘তোমার জন্য মন’ মুক্তি পাবে ৫ নভেম্বর রাত ১২টায় (৬ নভেম্বর)। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন সময়ের আলোচিত জুটি ইয়াশ রোহান ও তটিনী।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যায় চরকির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয় সিনেমাটির মোশন পোস্টার ও ট্রেলার। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা। কেউ লিখেছেন, ‘চরকির ফিল গুড রোমান্সে এবার নতুন জুটি!’ কেউ–বা বলেছেন, ‘ইয়াশ–তটিনীর কেমিস্ট্রি দেখতে মুখিয়ে আছি।’
নতুন প্রেম, নতুন জুটি
‘তোমার জন্য মন’–এর গল্পে মফস্সলে বেড়ে ওঠা দুই তরুণ–তরুণীর সম্পর্ক উঠে এসেছে। শিহাব শাহীন বলেন, ‘এটা একটা ফিল গুড রোমান্টিক গল্প। এর আগে চরকির সঙ্গে কী ধরনের গল্প করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু এবার গল্পটা আমি নিজেই নির্ধারণ করেছি। শুরু থেকেই জানতাম, এই গল্পটা আমি বানাতে চাই।’
গল্পের ভাবনা সম্পর্কে নির্মাতা বলেন, ‘আমাদের কিছু প্রবাদ আছে—“বৃক্ষ তোমার নাম কী ফলে পরিচয়”, “জন্ম হোক যথা তথা, কর্ম হোক ভালো”—এই ভাবনা থেকেই গল্পটা এসেছে। অনেক সময় মানুষের নাম বা পরিচয় বড় হয়ে ওঠে, কিন্তু আসলে মানুষ বড় হয় তার কাজেই। এই দর্শনটাই গল্পের কেন্দ্রে।’
পিউ আর রওনকের গল্প
এই সিনেমায় তটিনী অভিনয় করেছেন পিউ চরিত্রে। নির্মাতার অফিসে গল্প শুনেই তিনি কাজটি করার সিদ্ধান্ত নেন। সেই দিনের কথা মনে করে তটিনী বলেন, ‘গল্পটা অর্ধেক শুনে ভেবেছিলাম, এরপর কী হবে আন্দাজ করতে পারব, কিন্তু এমন মোড় নিল যে সেটা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। সেই বিস্ময়টাই আমাকে আকৃষ্ট করেছে।’ তটিনীর ভাষায়, ‘পিউ একটু আবেগপ্রবণ ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা মেয়ে। একটা ঘটনার পর সে নিজের জীবনের কিছু দিক বুঝে নেয়, আত্মোপলব্ধি ঘটে। এই চরিত্রটা অভিনয় করা আমার জন্য মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জিং ছিল।’