গোলাপের চা কি সত্যিই স্বাস্থ্যকর
Published: 3rd, October 2025 GMT
গোলাপ ফুল অ্যান্টি–অক্সিডেন্টে ভরপুর। তাই এর পাপড়ি বা কলির নির্যাস গ্রহণ করলে বেশ কিছু উপকার মিলবে। তবে গোলাপের চায়ের থেকেও এসব উপকার বেশি পাবেন এই নির্যাস দিয়ে তৈরি করা অন্যান্য পানীয়ে। কারণ, চা তৈরির প্রক্রিয়ায় কিছু পুষ্টি উপাদান হারিয়ে যেতে পারে।
ক্যাফেইনের হিসাব-নিকাশকোনো কোনো পানীয়ে থাকা অতিরিক্ত ক্যাফেইন আমাদের দেহে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। গোলাপ চায়ে সাধারণত কোনো ক্যাফেইন থাকে না। তাই ক্যাফেইনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ও নেই।
রাতে ভালো ঘুম হওয়ার জন্য সাধারণত বিকেলের পর চা-কফি খেতে নিষেধ করা হয়। ক্যাফেইন না থাকায় গোলাপ চায়ের ক্ষেত্রে অনিদ্রার ভয় নেই। চাইলে সন্ধ্যায়ও গোলাপ চা খেতে পারেন।
ক্যাফেইনবিহীন গোলাপ চা থেকেই আপনি সতেজতার অনুভূতি পাবেন। মিটবে আপনার দেহের পানির চাহিদাও। তবে কোনো কোনো গোলাপ চা এমনভাবে তৈরি করা হতে পারে, যাতে ক্যাফেইন যোগ করা হয় আলাদাভাবে। গোলাপ চা কেনার সময় বিষয়টি খেয়াল রাখুন।
দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি কমাতেগোলাপ চা খেলে ত্বক হয় সতেজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক য ফ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
‘খুব শিগগির পাবনা-ঢাকা সরাসরি রেল চলাচল শুরু হবে’
খুব শিগগির ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ সচিব ফাহিমুল ইসলাম শোভন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচরের খাস চরে এক সমাবেশে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে বেড়া উপজেলার খয়েরচর, ঢালারচর, কাজীরহাট সরেজমিন পরির্দশন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহছানুল হক ও বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফাহিমুল ইসলাম শোভন।
আরো পড়ুন:
নতুন সূচিতে সেবা, ট্রেন পাওয়া যাবে সোয়া ৪ মিনিট পরপর
যৌথ ব্যবস্থাপনায় যুক্ত হচ্ছে ঢাকা, রাজশাহী ও সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতাল
এ সময় তাদের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাসুদ খন্দকারসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি ও রাজনীতি দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ দুই সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা পাবনা-ঢাকা-পাবনা সরাসরি রেল যোগাযোগ চালু, জ্বালানি ব্যয় ও সময় হ্রাস এবং বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থার নিশ্চিত করার জন্য কাজিরহাট ফেরিঘাট-খয়েরচর চালু করা, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংযোগ সড়ক চালুর প্রস্তাব, ঢালার চর থেকে পদ্মা রেল সেতুর সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ঢালারচর-রাজবাড়ী রেল ব্রিজ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাবিত প্রকল্পস্থল সরেজমিন পরির্দশন করেন।
পরে দুই সচিব সাংবাদিকদের বলেন, প্রকল্পস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করে তাদের নতুন অভিজ্ঞতা হয়েছে। মানুষের দাবি এবং তাদের অভিজ্ঞতা সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলে জানানো হবে। তবে এখানে অনেক আশার আলো রয়েছে বলে তারা জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে পাবনা-কাজীরহাট-দৌলতদিয়া দ্বিতীয় যমুনা সেতু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি এলাকার মানুষ মনে রেখে এখনো আশায় বুক বেধে আছে। আমরা মানুষের প্রত্যাশার কথা সরকারের কাছে তুলে ধরতে এই সরেজমিন পরির্দশনের অনুরোধ করেছি। আশা করছি, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মানুষের পালস বুঝে কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরবেন। আশা করি এ সব প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়ন হবে।’’
ঢাকা/শাহীন/বকুল