অভিনয় ছেড়ে চাকরির খোঁজে হাসান মাসুদ
Published: 4th, October 2025 GMT
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা হাসান মাসুদ। একসময় সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। তবে হঠাৎ করেই তিনি আড়ালে চলে যান। বর্তমানে আর পর্দায় সেভাবে দেখা যায় না তাকে।
সম্প্রতি হানিয়া আমিরকে নিয়ে মন্তব্য করে আলোচনায় এলেও এবার নতুন কারণে খবরের শিরোনাম হয়েছেন এই অভিনেতা। জানালেন, অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছা নেই; এখন তিনি চাকরি খুঁজছেন।
গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসান মাসুদ বলেন, “আমি এখন একটা জব খুঁজছি। যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন— সাংবাদিকতা, প্রশাসন কিংবা অন্যকিছু। একটা সুযোগ পেলেই চাকরিতে ঢুকে যাব। অভিনয় থেকে একেবারেই হারিয়ে যাব।”
সাংবাদিকতা থেকে অভিনয়ে আসা এই অভিনেতা পুরনো পেশায় ফেরার সম্ভাবনার কথাও জানান। তার ভাষায়, “সাংবাদিকতায় ফেরার ইচ্ছে আছে। তবে সেটা নির্ভর করছে ভালো অফার পাওয়ার ওপর।”
দর্শকদের উদ্দেশেও একটি বার্তা দিয়েছেন হাসান মাসুদ। তিনি বলেন, “দর্শকদের কাছে আমার অনুরোধ— সবসময় সৎ থাকবেন, সত্য কথা বলবেন। এখন একটা প্রবণতা খুব বেড়েছে, তা হলো পরকীয়া। আমি চাই আপনারা এ ব্যাপার থেকে বিরত থাকবেন। তাহলেই জীবন অনেক ভালো কাটবে।”
১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন হাসান মাসুদ। সাত বছর পর ক্যাপ্টেন পদ থেকে অবসর নেন। এরপর ক্রীড়া সাংবাদিকতায় যুক্ত হন। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত বিবিসি বাংলার সঙ্গে কাজ করেছেন। সাংবাদিকতা ছাড়ার পর মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার মাধ্যমে শোবিজে প্রবেশ করেন। পরে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’সহ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
টেলিভিশন নাটকেও রেখেছেন তার শক্ত অবস্থান। ‘হাউস ফুল’, ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’, ‘এফডিসি’, ‘বউ’, ‘খুনসুটি’, ‘গ্রাজুয়েট’, ‘রঙের দুনিয়া’, ‘আমাদের সংসার’, ‘গণি সাহেবের শেষ কিছুদিন’, ‘বাতাসের ঘর’ ও ‘প্রভাতী সবুজ সংঘ’ ইত্যাদি জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
রাহাত//
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শ্বশুরবাড়িতে যুবককে ‘গলা কেটে হত্যাচেষ্টা’, পাশের ঘরে খোঁড়া হয়েছিল গর্ত
ফরিদপুরের সদরপুরে শ্বশুরবাড়িতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মুন্সি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ওই ব্যক্তির স্ত্রী লাবণী আক্তারকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার পর তাঁর শাশুড়ি শহিদা বেগম (৪৯) ও দাদিশাশুড়ি জনকী বেগম (৬২) পলাতক।
ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম ফরহাদ ব্যাপারী ওরফে ঠান্ডু (৩৫)। তিনি সদরপুর উপজেলার ছলেনামা এলাকার ব্যাপারীডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। ঢাকায় তাঁর একটি ওয়ার্কশপের ব্যবসা রয়েছে। ভাষানচর ইউনিয়নের মুন্সি গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে লাবণী আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ফরহাদ ব্যাপারীকে রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাত দেড়টার দিকে স্ত্রী, শাশুড়ি ও দাদিশাশুড়ি মিলে কাস্তে দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করেন। হত্যাচেষ্টার আগে পাশের ঘরের বারান্দায় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছিল। এ সময় ফরহাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। এর আগেই ওই তিন নারী পালিয়ে যান। এলাকাবাসী আহত ফরহাদকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন এবং সদরপুর থানায় খবর দেন।
ফরহাদ ব্যাপারীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জমি কেনার জন্য ফরহাদ তাঁর স্ত্রী ও শাশুড়িকে ১১ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁরা জমি না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই ঘটনার জেরেই হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায়। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এই হত্যাচেষ্টা পূর্বপরিকল্পিত। টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ফরহাদের স্ত্রী লাবণীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।