বাগেরহাটে প্রতিপক্ষের হামলায় কৃষক নিহত
Published: 5th, October 2025 GMT
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চুরি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় কালাম খান (৪৮) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ছোট জামুয়া নামক স্থানে কালাম খান ও তার ভাই লুৎফর খানের ওপর হামলা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালাম খানকে মৃত ঘোষণা করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের লুৎফর খানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আরো পড়ুন:
খুলনায় বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে ও পুত্রবধূ গ্রেপ্তার
শেরপুরে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর পুকুর থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
নিহত কালাম খান মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের ডেপুয়ার পাড় গ্রামের ওয়াজেদ আলী খান ওরফে কালু খানের ছেলে।
কালাম খানের প্রতিবেশী ও চিংড়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন খান বলেন, ‘‘সুপারি চুরিকে কেন্দ্র করে একই বংশের সোহেল খান ও কালাম খানের পরিবারের লোকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে গত রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহেল খান ও তার লোকজন কালাম খান এবং তার বড় ভাই লুৎফর খানকে মারপিট করে। এদের মধ্যে কালাম খান মারা গেছেন। লুৎফর খানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’
মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/শহিদুল/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত ল ৎফর খ ন
এছাড়াও পড়ুন:
আমি ব্যর্থ হয়েছি: বাঁধন
কখনো পরিবার, কখনো সমাজ—সবাই চেয়েছে তাকে নির্দিষ্ট ছাঁচে ঢালতে। কিন্তু বাঁধন ভেঙেছেন সেই ছাঁচ। হ্যাঁ, তিনি ব্যর্থ হয়েছেন ‘প্রত্যাশিত নারী’ হতে, অথচ সেই ব্যর্থতাকেই এখন মনে করছেন জীবনের বড় সাফল্য।
রবিবার (৫ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে নিজেকে ‘সমাজ আর একজন অস্বস্তিকর নারী’ আখ্যায়িত করেছেন বাঁধন। সেখানে তিনি খোলামেলা স্বীকার করেছেন নিজের ব্যর্থতার কথাও।
আরো পড়ুন:
আলোচনায় নুহাশ হুমায়ূনের ফেসবুক পোস্ট
বাগদানের পরও রাশমিকার প্রথম বিয়ে কেন ভেঙেছিল?
বাঁধন লিখেছেন, “আমি এমন একজন মেয়ে হতে চেয়েছিলাম, যে সবাইকে খুশি রাখবে। অনুগত, বাধ্য, শান্তভাবে মানিয়ে নেওয়া মেয়ে। কিন্তু আমি পারিনি। আমি ব্যর্থ হয়েছি। চেষ্টা করেছিলাম পরিবারের প্রত্যাশিত মেয়ে হতে, সমাজের বানানো ‘নারী’ হয়ে বাঁচতে। কিন্তু পারিনি। আর আজ, সেই ব্যর্থতার জন্যই আমি নিজেকে ধন্যবাদ জানাই।”
ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিয়ে এ অভিনেত্রী লেখেন, “আমি অন্য কারো স্ক্রিপ্টে বাঁচার জন্য জন্মাইনি। আমার কথা হয়তো অনেকের কাছে অস্বস্তিকর, আমার কাজ হয়তো অনেকের স্বস্তি ভেঙে দেয়। আমি সহজ নই, কিন্তু নির্মমও নই। আমি কাউকে আঘাত করি না, অসম্মানও করি না—যদিও অনেকেই আমার প্রতি তা করে।”
কয়েক দিন পরই ৪২ বছরে পা দেবেন এই অভিনেত্রী। বয়সের এ পর্যায়ে তিনি খুঁজে পেয়েছেন ভেতরের শান্তি। বাঁধনের ভাষায়, “চল্লিশের পর আমি নিজের সঙ্গে শান্তিতে আছি। এখন আমি বাঁচি আমার মতো করে—স্বাধীনভাবে, সৎভাবে, বিনা ক্ষমাপ্রার্থনায়। কেউ কষ্ট পেলে উপেক্ষা করুক, ব্লক করুক, ঘৃণা করুক—আমার কিছু যায় আসে না। কারণ, যত মানুষ আমাকে অস্বস্তিতে ফেলে, তার চেয়েও অনেক বেশি মানুষ আমাকে ভালোবাসে, বোঝে, আমার সত্যে শক্তি খুঁজে পায়। আর সবচেয়ে বড় কথা—আমি নিজেকে ভালোবাসি।”
তার পোস্টের শেষ লাইনগুলোতে উঠে এসেছে আত্মসম্মান আর আত্মবিশ্বাসের এক দৃঢ় উচ্চারণ, “আমি ভাঙা নই। আমি শুধু এমন এক পৃথিবীর কাছে অস্বস্তিকর, যে পৃথিবী এখনো আসল নারীকে ভয় পায়। ভালোবাসি তোমায়, আজমেরী হক বাঁধন। তুমি যে নারী হতে চেয়েছিলে, শেষ পর্যন্ত তুমি সেই নারীই হয়েছো।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত