বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চুরি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় কালাম খান (৪৮) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপজেলার ছোট জামুয়া নামক স্থানে কালাম খান ও তার ভাই লুৎফর খানের ওপর হামলা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কালাম খানকে মৃত ঘোষণা করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় নিহতের লুৎফর খানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আরো পড়ুন:

খুলনায় বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলে ও পুত্রবধূ গ্রেপ্তার

শেরপুরে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর পুকুর থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

নিহত কালাম খান মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়নের ডেপুয়ার পাড় গ্রামের ওয়াজেদ আলী খান ওরফে কালু খানের ছেলে।

কালাম খানের প্রতিবেশী ও চিংড়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন খান বলেন, ‘‘সুপারি চুরিকে কেন্দ্র করে একই বংশের সোহেল খান ও কালাম খানের পরিবারের লোকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে গত রাতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সোহেল খান ও তার লোকজন কালাম খান এবং তার বড় ভাই লুৎফর খানকে মারপিট করে। এদের মধ্যে কালাম খান মারা গেছেন। লুৎফর খানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’

মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

মতলুবর রহমান বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’’

ঢাকা/শহিদুল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত ল ৎফর খ ন

এছাড়াও পড়ুন:

গুমের দুই মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী জেড আই খান পান্না

আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আজ রোববার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই নিয়োগ দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ মোট ১৭ জন আসামি। এর মধ্যে ১০ জন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই আসামিদের প্রথম সাতজন র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে এবং শেষের তিনজন র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁদের আজ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

এ মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ সাত আসামি পলাতক।

আরও পড়ুন১৩ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে২ ঘণ্টা আগে

অন্যদিকে, জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম করে রাখার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় শেখ হাসিনাসহ ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী। তাঁদেরও আজ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।

এ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১০ আসামি পলাতক।

এই দুই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে জেড আই খান পান্নাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তা৩ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ