পুরুষের ব্যাগ যেভাবে নারীদের হলো
Published: 7th, October 2025 GMT
সময়টা সম্ভবত ১৪৯৭ সাল। নিজের অন্যতম বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘দ্য লাস্ট সাপার’ আঁকছিলেন লেওনার্দো দা ভিঞ্চি। ১৫ বাই ২৯ ফুটের বিশাল এই ছবির কাজ করতে গিয়ে প্রায়ই ভর করত একঘেয়েমি। তা দূর করতে ছোট ছোট কাগজে নানা রকম স্কেচ আঁকতেন শিল্পী। সে সময়ই খেয়ালের বশে একটি ব্যাগের স্কেচ আঁকেন ভিঞ্চি।
সম্ভবত একটা পুরুষদের ব্যাগের নকশা এঁকেছিলেন শিল্পী। ভুরু কোঁচকাবেন না, সে যুগে নারীরা নন, ব্যাগ ব্যবহার করতেন পুরুষেরা। তাঁদের পোশাকের ওপর কোমরের বেল্টের সঙ্গে জুড়ে নিতেন নানা নকশার ব্যাগ। পুরুষদের সামাজিক এবং দাপ্তরিক আধিপত্য প্রকাশ করত এসব ব্যাগ। ব্যাগের যত দাম, তত সুনাম।
৫০০ বছরেরও বেশি পুরোনো ভিঞ্চির সেই স্কেচ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ২০১২ সালে ব্যাগটির একটি সীমিত সংস্করণ তৈরি করে বিলাসবহুল চামড়াপণ্যের ইতালীয় ব্র্যান্ড গেরারদিনি। দামের মতো ব্যাগটির নাম ছিল প্রেশাস (মূল্যবান)।
অবশ্য পুরুষদের ব্যাগের নকশা থেকে তৈরি হলেও ব্যাগটির আসল গ্রাহক ছিলেন নারীরা। কেননা ৫০০ বছরের পথপরিক্রমায় ব্যাগ তত দিনে হয়ে উঠেছে নারীর একচ্ছত্র ব্যবহার্য পণ্য।
অথচ কিছুকাল আগেও পুরুষদের অনুষঙ্গ ছিল ব্যাগ। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে রাখার জন্য ব্যাগ ব্যবহার করতেন তাঁরা। নারী সঙ্গীর জিনিসগুলোও পুরুষের ব্যাগে থাকত। ব্যাগ হয়ে উঠেছিল পুরুষদের সামাজিক মর্যাদার প্রতীক।
তাহলে কীভাবে নারীদের হাতে এসে উঠল হাতব্যাগ? সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কীভাবে হয়ে উঠল তাদের অন্যতম এক ফ্যাশন অনুষঙ্গ। কীভাবে সেগুলোতে যুক্ত হলো বিলাসিতা। কেমন করে এমনটি হলো, সে গল্পই আজ জানব।
লেওনার্দো দা ভিঞ্চির স্কেচ থেকে বানানো ব্যাগ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র করত
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়ির সহিংসতা তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি এইচআরএফবির
খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও অপরাধীদের জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)।
মঙ্গলবার সংগঠনটির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই দাবি জানান। সাক্ষাৎ শেষে মানবাধিকার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এইচআরএফবি জানায়, খাগড়াছড়ি জেলায় এক মারমা কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে বলপ্রয়োগ ও সংঘর্ষের সময় তিনজন আদিবাসী তরুণ নিহত হন। পাশাপাশি স্থানীয় আদিবাসী নাগরিকদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনার বিষয়ে প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া প্রতিনিধিদল সহিংসতার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি অপরাধীদের জবাবদিহি এবং অতিরিক্ত বলপ্রয়োগকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন, গুইমারায় শান্তি ও আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, আদিবাসীদের জীবন ও সাংস্কৃতিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রতিনিধিদল ওই এলাকার পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য অবিলম্বে সরকারের কার্যকর হস্তক্ষেপ ও পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। পাশাপাশি প্রধান উপদেষ্টার উদ্যোগ ও নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনকে নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোর টেকসই সমাধানের উপায় খোঁজার জন্য একটি জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের আহ্বান জানান।
সাত সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশের (এইচআরএফবি) স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) নির্বাহী পরিচালক সারা হোসেন, ব্লাস্টের পরিচালক মাহবুবা আখতার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ও এইচআরএফবির সদস্য ইফতেখারুজ্জামান, কাপেং ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও এইচআরএফবির সদস্য পল্লব চাকমা, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী ও এইচআরএফবির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য জাকির হোসেন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও এইচআরএফবির সদস্য বনশ্রী মিত্র নিয়োগী, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ।