গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আয়োজন করা হয় ‘এয়ারটেল আড্ডা কনসার্ট’।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নিজস্ব ক্যাম্পাসে বিকাল ৫টা থেকে মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান এয়ারটেল এর উদ্যোগে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

বাসের ধাক্কায় জাবি শিক্ষার্থী আহত, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

জাতিসংঘের ইয়াং উইমেন ফেলোশিপ পেলেন বাকৃবির মারজানা

কনসার্টে দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’ মঞ্চ মাতান তাদের জনপ্রিয় গান পরিবেশনের মাধ্যমে।এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গানের ব্যান্ড দল ছাড়াও অন্যান্য শিল্পীরা গান ও নৃত্য পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করে।

অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড.

মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক ও সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, রবি আজিয়াটা লিমিটেডের সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট (ইভেন্ট ডিজিটাল) মুস্তানসির কিবরিয়া ও কিশোয়ার জাহান ফেরদোস।

আয়োজকরা জানান, শরৎকে ঘিরে আয়োজন করা হয় এই কনসার্টের। এটি শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, বরং সুর আর উচ্ছ্বাসে ভরা এক অপরাজেয় সন্ধ্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এ আয়োজনকে বলা যায় গান ও আড্ডার এক মহোৎসব।

আয়োজন নিয়ে গ্রিন ইউনিভার্সিটির জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়দা আফিফা বলেন, “এ ধরনের কনসার্ট আয়োজন শিক্ষার্থীদের আনন্দের পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মকে ইতিবাচক হতে সাহায্য করবে। এই আয়োজনকে স্বাগত জানাই।”

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র ন ইউন ভ র স ট কনস র ট অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

লিও তলস্তয়ের গ্রামে

আমি এখন যে গ্রামে এসেছি, সেই গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা নাম গ্রামটির। এটি আসলে তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তিনি জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’ এবং অসংখ্য গল্প।

তলস্তয়কে আইন পড়তে কাজান শহরে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পড়তে তাঁর ভালো লাগেনি। জমিদারি ছিল, তাই রোজগারের চিন্তাও করতে হয়নি। মাঝখানে সন্তানদের পড়ালেখার জন্য আট বছর মস্কোতে একটি বাড়ি কিনে বসবাস করেছিলেন।

লিও তলস্তয় শেষ জীবনে আধ্যাত্মিকতার দিকে ঝুঁকেছিলেন এবং খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। একসময় গৃহত্যাগ করেছিলেন। ১৯১০ সালে ৮২ বছর বয়সে আস্তাপোভো রেলস্টেশনে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে একাকী, আত্মীয়, বন্ধু থেকে দূরে, নীরবে তিনি দেহত্যাগ করেন। এরপর তাঁকে ইয়াস্নায়া পলিয়ানায় এনে সমাহিত করা হয়।

ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে আমি যখন পৌঁছালাম, তখন রোদ ঝলমল করছে। গত কয়েক দিন খুব বৃষ্টি পড়েছে মস্কো শহরে। মস্কো থেকে আমাকে পাড়ি দিতে হয়েছে ২২০ কিলোমিটার। সরাসরি মস্কো থেকে তলস্তয়ের গ্রামে আসার কোনো ট্রেন বা বাস নেই। আমাকে ট্রেনে করে আসতে হয়েছে প্রথমে তুলা শহরে৷

ট্রেনে করে আসার পথে রাশিয়ার সবুজ গ্রামের যে রূপ আমি দেখেছি, তার তুলনা হয় না। পথের পাশে ফুটে আছে হলুদ বুনো ফুল আর হঠাৎ হঠাৎ করে একটা বা দুটো দোচালা বাড়ি। মাঝে পড়ে গেল একটা নদী, আবার এসে গেল ঘন সবুজ জঙ্গল। এমন অসামান্য প্রকৃতি যে দেশের আছে, সে দেশের প্রতি এমনিতেই মায়া জন্মে যায়।

রাশিয়ার ইয়াস্নায়া পলিয়ানা গ্রামে ১৮২৮ সালে লেখক লিও তলস্তয় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এটি তাঁদের পারিবারিক জমিদারির একটি অংশ। এখানে তলস্তয় জীবনের অনেকখানি সময় কাটিয়েছেন। এখানেই লিখেছেন অমর উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড পিস’, ‘আনা কারেনিনা’।মাঝখানে ধূসর লম্বা পথ আর দুপাশে ঘন বনানী

সম্পর্কিত নিবন্ধ