বাংলাদেশ ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নাম বা লোগো ব্যবহার করে বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা অ্যাপস তৈরি করে ঋণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক এসব ফাঁদে না পড়ার জন্য সতর্ক করেছে।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক সতর্কবার্তা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, এর সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বা আইএমএফের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। জনসাধারণকে সতর্ক করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এর মাধ্যমে জনসাধারণ আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে পারেন বা বিভিন্ন আইনগত ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এ জন্য এসব ওয়েবসাইট বা অ্যাপসে নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ কোনো তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের নাম কিংবা লোগো ব্যবহার করে https://dbbloan.

com, https://bblloan.com ও https://www.bdloan71.com নামে ঋণ দেওয়া–সংক্রান্ত ভুয়া অ্যাপ ও ওয়েবসাইট চালানো হচ্ছে। যার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। এসব অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ, মোবাইল নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বরের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে জনসাধারণ আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে পারে বা বিভিন্ন আইনগত ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। আর্থিক ক্ষতি ও আইনি ঝুঁকি এড়ানোর লক্ষ্যে সবাইকে এ–জাতীয় ভুয়া অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে যেকোনো ধরনের সংবেদনশীল তথ্য দেওয়া ও আর্থিক লেনদেন না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানিয়েছে, পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন, ২০২৪–এর ১৫ (২) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া জনসাধারণ থেকে বিনিয়োগ নেওয়া বা ঋণ দেওয়ার উদেশ্যে যেকোনো ধরনের অনলাইন বা অফলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করা একটি অপরাধ। এ জন্য কোনো ব্যক্তি ৫ বছর কারাদণ্ড বা ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এ ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিহারের জন্য সবাইকে নির্দেশ দেওয়া যাচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর থ ক সতর ক ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৫০ বিলিয়ন ডলার

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। 

তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম ৬) পদ্ধতি অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।

আরো পড়ুন:

ইসলামী ব্যাংকে ‘অবৈধ’ নিয়োগ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম বাড়ল

রবিবার (৫ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)।

এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর দিন শেষে রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার এবং গত ৭ সেপ্টেম্বর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ  ছিল ২৫ দশ‌মিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। 

গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে আকুর ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার।

এরপর কমলেও ১৭ সেপ্টেম্বর রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এর ১৮ দিন পর তা অতিক্রম করে রিজার্ভ ৩১ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ, যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভুয়া অ্যাপে ঋণের প্রলোভন: বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা
  • পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের একীভূতকরণের চ্যালেঞ্জ 
  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৩১ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার
  • শাপলা না দিলে নির্বাচন কমিশনের ওপর আমাদের আস্থা থাকবে না: সারজিস
  • বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১.৫০ বিলিয়ন ডলার
  • আইএমএফের প্রতিনিধিদল আসছে এ মাসে, রাজস্ব আয়ের শর্ত পূরণ হয়নি