লেখার কাজটি মানুষ শুরু করেছিল কীভাবে?
Published: 8th, October 2025 GMT
ভাবনা-চিন্তাকে প্রকাশ করার জন্য প্রাচীন কাল থেকেই নানা উপায় খুঁজতে শুরু করেছিলো মানুষ। এর মধ্যে একটি অন্যতম উপায় হলো লেখা। সর্বপ্রথম মানুষ লেখার প্রচলন শুরু করেছিলো নিজের হাতের আঙুল ব্যবহার করে। পরে ধীরে ধীরে কাঠ কিংবা শক্ত কোনো হাতিয়ার ব্যবহার করে তারা লিখতে শুরু করে।
মধ্যযুগে এসে মানুষের লেখার কাজে পাখির পালকের নিচের অংশ ফালি করে তা চেঁছে তীক্ষ্ণ করে লেখার কাজে ব্যবহার করা শুরু করে। এর নাম দেয় কুইল পেন। স্টিল ডিপিং পেনকে বারবার চেঁছে তীক্ষ্ণ করতে হতো, যা অনেকটা সময় সাপেক্ষ্য ব্যাপারও ছিলো। এর সঙ্গে আলদা কালির দোয়াত প্রয়োজন হতো।
আরো পড়ুন:
বদরুদ্দীন উমর মারা গেছেন
কুমিল্লায় মাটি খুঁড়তেই বেড়িয়ে এলো প্রাচীন স্থাপনা
আঠারো শতকের দিকে এসে আবিষ্কার হয় ‘স্টিল ডিপিং পেন’। এই পেন আবিষ্কার হলে কুইল পেনের প্রচলন কমে যায়। কুইল পেন ব্যবহার করতেও দোয়াত প্রয়োজন হতো।
এরপর পরে আসে ফাউন্টেন পেনের যুগ। নিউ ইয়র্কের ইনস্যুরেন্স এজেন্ট লুইস এডসন ওয়াটারম্যান ১৮৮৪ সালে নিয়ে আসেন প্রথম বাণিজ্যিক ও ব্যবহারিক ফাউন্টেন পেন। এর পেন ব্যবহার করা মানুষের জন্য সহজ ছিলো। কারণ এতে এতে কালি ধরে রাখার নিজস্ব কন্টেইনার ছিলো। তাই লেখার সময় একে বারবার কালির দোয়াতে ডুবিয়ে কালি নিতে হতো না। শেষ হয়ে গেলে আবার তা পূর্ণ করে নেবার সুযোগ ছিলো।
১৯ শতকের শেষের দিক থেকে কাগজে কালি প্রয়োগের পদ্ধতি হিসেবে লেখার যন্ত্রের মধ্যে ‘বল পয়েন্ট’ ব্যবহার শুরু হয়। এই কলমে, কালি একটি পাতলা টিউবে স্থাপন করা হয় যার শেষে একটি ছোট বল দ্বারা অবরুদ্ধ করা হয়, যাতে এটি টিউবে পিছলে না যায় বা কলম থেকে পড়ে না যায়।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব যবহ র কর ব যবহ র ক
এছাড়াও পড়ুন:
দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন
ফেরান তোরেসের দুর্দান্ত জোড়া গোল আর শুরুর দিকেই রবার্ট লেভানদোভস্কির আঘাত; সব মিলিয়ে দুই বছর পর ন্যু ক্যাম্পে ফিরে এসে একেবারে রাজকীয় ভঙ্গিতেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিল বার্সেলোনা। ১০ জনের বিলবাওকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লা লিগায় টানা তিন জয়ের আনন্দে ভাসল কাতালানরা।
নবায়ন কাজের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর ন্যু ক্যাম্পে এটি ছিল বার্সার প্রথম ম্যাচ। শুরুতেই যেন সেই অপেক্ষার সব ক্ষত মুছে দিলেন লেভানদোভস্কি। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে বল কাড়ার পর নিচু শটে উনাই সিমোনকে পরাস্ত করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
দ্রুততম ৪৪ গোলে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল
এরপর দানি ওলমোর প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয় বিলবাওয়ের রক্ষণ দেয়াল। লামিন ইয়ামালের শটও রুখে দেন সিমোন। অন্যদিকে আক্রমণে উঠেও সুযোগ নষ্ট করেন উনাই গোমেজ ও নিকো উইলিয়ামস। আয়েরিক লাপোর্তের হেডও পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
এরপর ফেরান তোরেস ও ফিরমিন লোপেজও গোলের খোঁজে সক্রিয় হন। গার্সিয়া চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেই বিলবাওয়ের নিশ্চিত গোল ঠেকান।
হাফটাইমের ঠিক আগে ইয়ামালের দারুণ বাঁকানো পাসে সুযোগ পান তোরেস। নিচু শটে সিমোনকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। সিমোন ছুঁয়ে দিলেও গোল ঠেকাতে পারেননি।
বিরতির পর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় লোপেজ দারুণ এক প্রচেষ্টায় সোজা শটে তৃতীয় গোলটি করেন। ৫৪ মিনিটে লোপেজের ওপর বিপজ্জনক ট্যাকল করে ওইহান সানসেট লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বিলবাওয়ের দুর্ভাগ্য আরও ঘনীভূত হয়।
এরপর ডানি ভিভিয়ান হুমকি তৈরি করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে ওলমোর শটও অল্পের জন্য বাইরে যায়। ভিভিয়ান পরে আরেকবার হেডে গোল করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তবে গার্সিয়ার গ্লাভসে আটকে যায় বল।
অবশেষে ৯০ মিনিটে ইয়ামালের সূক্ষ্ম পাস ধরে ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ম্যাচের শেষ শব্দটি লিখে দেন ফেরান তোরেস।
দুই বছর পর ঘরের মাঠে ফিরল বার্সেলোনা। আর তোরেস-ইয়ামালরা যেন সেই আনন্দকে ফুটিয়ে তুললেন মাঠজুড়ে গোলের আতশবাজিতেই।
ঢাকা/আমিনুল