কদিন আগে মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) চলতি মৌসুম শেষে ফুটবলকে বিদায় জানানোর কথা জানান ইন্টার মায়ামির স্প্যানিশ কিংবদন্তি সের্হিও বুসকেতস। এবার তাঁর পথ ধরে ফুটবল থেকে বিদায়ের সিদ্ধান্তের কথা জানালেন আরেক স্প্যানিশ তারকা জর্দি আলবাও। গতকাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় এমএলএসে চলতি মৌসুম শেষে পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা জানান আলবা।

নিজের ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিও বার্তায় আলবা বলেন, ‘সত্যিই আমার জীবনের একটি অর্থবহ অধ্যায় এখন শেষ করার সময় এসেছে। এই মৌসুম শেষে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।’

২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানানো আলবা ভিডিও বার্তায় যোগ করেন, ‘আমি অনুভব করছি এটি নতুন ব্যক্তিগত অধ্যায় শুরু করার এবং পেশাদার ফুটবলে এত বছর পর পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর জন্য সঠিক মুহূর্ত। আমি ইন্টার মিয়ামিতে নিজের সময় নিয়ে খুবই খুশি। সমর্থকদের সহায়তার জন্য এবং দলের সাফল্যের অংশ হতে পারার জন্য সত্যিই কৃতজ্ঞ। এখন আমার লক্ষ্য হলো মৌসুমটি যতটা সম্ভব ভালোভাবে শেষ করা এবং প্লে–অফে আমার সবকিছু উজাড় করে দেওয়া।’

আরও পড়ুনবড় অঙ্কের প্রস্তাব ফেলে যে কারণে মেসির মায়ামিতে জর্দি আলবা০২ আগস্ট ২০২৩

আলবা এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর তাঁর উদ্দেশে আবেগপ্রবণ মন্তব্য করেছেন লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ, নেইমারসহ অনেকেই। মেসির সঙ্গে আলবা বার্সেলোনায় লম্বা সময় খেলেছেন। বার্সায় থাকাকালে সময়ে তাঁরা একসঙ্গে পাঁচটি লা লিগা, একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ ও পাঁচটি কোপা দেল রে শিরোপা জেতেন। এরপর ২০২৩ সাল থেকে ইন্টার মায়ামিতেও জুটি বেঁধে খেলছেন তারা।

মেসি–আলবা যখন বার্সেলোনায় সতীর্থ ছিলেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

বছরে বিশ্বের এক–তৃতীয়াংশ নারী সঙ্গীর হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন

বিশ্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ নারী জীবনে কোনো না কোনো সময়ে স্বামী বা ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর হাতে শারীরিক অথবা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন—সংখ্যার হিসাবে এর পরিমাণ প্রায় ৮৪ কোটি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নতুন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ১৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রায় ৩১ কোটি ৬০ লাখ নারী ও মেয়েশিশু নিজের একজন ঘনিষ্ঠ সঙ্গীর হাতে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৬৮টি দেশের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।

এই সংখ্যা বিশ্বজুড়ে এই বয়সসীমার নারী ও মেয়েশিশুদের প্রায় ১১ শতাংশের সমান।

বুধবার প্রকাশিত এই প্রতিবেদনের সঙ্গে ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস একটি বিবৃতি দিয়েছেন।

বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতা মানবজাতির ওপর হওয়া প্রাচীনতম এবং সর্বব্যাপী অন্যায়। অথচ এখন পর্যন্ত এ নিয়ে সবচেয়ে কম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’

গেব্রেয়াসুস আরও বলেন, ‘কোনো সমাজই নিজেকে ন্যায্য, নিরাপদ বা সুস্থ বলতে পারে না, যখন তার অর্ধেক জনসংখ্যা ভয়ের মধ্যে বাস করে। এই সহিংসতা শেষ করা কেবল নীতিগত বিষয় নয়; এটি মর্যাদা, সমতা এবং মানবাধিকার–সংক্রান্ত বিষয়। প্রতিটি পরিসংখ্যানের পেছনে এমন একজন নারী বা মেয়ে রয়েছেন, যাঁর জীবন চিরতরে বদলে গেছে।’

নারীর প্রতি সহিংসতা মানবজাতির ওপর হওয়া প্রাচীনতম এবং সর্বব্যাপী অন্যায়, অথচ এখন পর্যন্ত এ নিয়ে সবচেয়ে কম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস, ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক

আগামী ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান দিবস পালিত হবে।

জাতিসংঘের ‘নারী ও মেয়েশিশুদের প্রতি সহিংসতা নির্মূলের আন্তর্জাতিক দিবস’–কে সামনে রেখে ডব্লিউএইচও এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১৬৮টি দেশের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করে ডব্লিউএইচও এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।

ছবি: প্রথম আলো গ্রাফিকস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অভিনয় ছেড়ে ধর্মে মনোযোগী অভিনেত্রী
  • বছরে বিশ্বের এক–তৃতীয়াংশ নারী সঙ্গীর হাতে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদন
  • উপকূলে বিপর্যস্ত নারীর জীবন