বিয়েতে কনে মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে নানা রকমের উপহার পেয়ে থাকেন। বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রীর সঙ্গে গৃহপালিত পশু উপহার দেওয়ারও চল রয়েছে। যেমন আমাদের দেশে গ্রাম অঞ্চলে কনেকে বাবার বাড়ির পক্ষ থেকে গরু উপহার দেওয়া হয়। কিন্তু বিয়েতে খাটাশ উপহার দেওয়ার গল্প শুনেছেন?

বিয়েতে কনেকে ১০০ খাটাশ উপহার দিয়েছেন বাবা। কনের বাবার নাম হং চি তাম। ভিয়েতনামের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাসিন্দা তিনি। হং চি তাম বলেন,‘‘ আমার সন্তানরা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং তারা পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার মেয়েকে এমন সম্পদ উপহার দিয়েছি যাতে সেও আয় করতে পারে। কনে চাইলে খাটাশগুলো পালন করতে পারে অথবাবা বিক্রিও করতে পারে।’’

আরো পড়ুন:

ভিন্ন ধর্মের একটি বিয়ে নিয়ে গাইবান্ধায় শোরগোল

যীশুখ্রিষ্টকে বিয়ে করে কুমারী থাকার শপথ নিচ্ছেন নারীরা

কনেকে দেওয়ার একশো খাটাশের বাজারমূল্য ৭০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮৫ লাখ টাকা। এই প্রাণীগুলো বিশ্বের সবচেয়ে দামি কফি কোপি লুয়াক উৎপাদনের জন্য বিশেষভাবে মূল্যবান।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, কনে যে শুধু খাটাশ উপহার পেয়েছেন তা নয়, তার পাওয়া উপহারগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে ২৫টি সোনার বার, ২০ হাজার ডলার নগদ, ৩০০ মিলিয়ন ডং মূল্যের কোম্পানির শেয়ার এবং একাধিক উচ্চমূল্যের সম্পত্তি। 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপহ র দ

এছাড়াও পড়ুন:

২২ দিন মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে উৎপাদন বাড়বে: উপদেষ্টা 

ডিম ছাড়া ও প্রজননের জন্য সরকার নির্ধারিত ২২ দিন সফলভাবে কার্যকর করার মধ্য দিয়ে মা ইলিশ রক্ষা করতে পারলে আগামী মৌসুমে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকার সাভার উপজেলার কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। 

আরো পড়ুন:

মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানিক দলের ওপর হামলা

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে মৎস্যকর্মীর ইলিশ শিকার: তদন্ত কমিটি গঠন

ইলিশের ডিম ছাড়া ও প্রজনন বৃদ্ধির জন্য মা ইলিশ রক্ষায় ৪ অক্টোবর থেকে ২২ দিন দেশের নদী-সমুদ্রে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এ সময় ইলিশ ধরা, বিক্রয়, পরিবহন বন্ধ থাকবে। 

সাভারে ল্যাবরেটরি পরিদর্শন শেষে সন্তোষ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমাদের যে সুযোগ-সুবিধা আছে, তা যদি কাজে লাগানো যায়, দেশের খামারিরা তাদের গো-প্রজননের ক্ষেত্রে বড় সেবা পাবে। এর মাধ্যমে উন্নত ও সংকর প্রজাতির প্রজনন এবং গো-মাংস ও দুগ্ধ উৎপাদন বাড়বে।’’ 

এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বছর ইলিশের আকাল হওয়ার পেছনে অন্যান্য আরো কারণ আছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘নদীতে নাব্যতার অভাব, দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি ঠিকমতো না হওয়া এছাড়াও এখন বড় দুটি সমস্যা আছে, একটি হচ্ছে অবৈধ জালের ব্যবহার, আরেকটি হচ্ছে জাটকা ধরা।’’ 

ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘এই জাটকা নিধন বন্ধে আমরা যদিও এপ্রিল মাসে ৫৮ দিনের (মাছ ধরার ওপর) নিষেধাজ্ঞা দেই, সেসময় কোস্ট গার্ড, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ এবং আমাদের কর্মকর্তারা অনেক কাজ করেন, কিন্তু তারপরও এটা দুঃখজনক, অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা স্বল্পমেয়াদী মুনাফা চান, তারা জেলেদের বাধ্য করেন এগুলো (জাটকা) ধরতে। এটার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, আগামী মৌসুমে আপনারা ভালো রেজাল্ট পাবেন।’’ 
 

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ