আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল ঘোষিত প্যানেলে মনোনয়ন না পাওয়া নেতাকর্মীরা ‘জাগ্রত জবিয়ান’ নামে নতুন প্যানেল ঘোষণা করেছেন। 

সোমবার (১৭ নভেম্বর) শহীদ সাজিদ ভবনে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

আরো পড়ুন:

জকসু: শিক্ষার্থী সংসদে ২৬৭ ও হল সংসদে ৪৫ মনোনয়ন সংগ্রহ

জকসু: ‘মওলানা ভাসানী ব্রিগেড’ নামে বামপন্থিদের প্যানেল ঘোষণা

‘জাগ্রত জবিয়ান’ প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে লড়বেন কাজী রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো.

তৌহিদ চৌধুরী এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন মেহেদী হাসান আখন। বুধবার (১৯ নভেম্বর) ১২ সদস্যদের আংশিক প্যানেল ঘোষণা করা হবে জানিয়েছে তারা।

ভিপি প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, ন্যায় প্রতিষ্ঠার পক্ষে। মূল প্যানেলে যেসব ত্যাগী ও নির্যাতিত ভাইদের রাখা হয়েছে, তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা সেই পদগুলোতে প্রার্থী দিচ্ছি না। কিন্তু বাইরে থেকে এনে যেভাবে অনেককে বসানো হয়েছে, তা সংগঠনের প্রতি অবিচার। এই অবিচার প্রতিকার করতেই আমরা বিকল্প প্যানেল ঘোষণা করেছি।”

জিএস প্রার্থী মো. তৌহিদ চৌধুরী বলেন, “জবি শিক্ষার্থীরা পরিবর্তন ও যোগ্য নেতৃত্ব চায়। বাইরে থেকে নেতৃত্ব চাপিয়ে দিলে ছাত্রসমাজ তা গ্রহণ করবে না। আমরা এমন একটি প্যানেল গঠন করেছি, যা প্রকৃত জবিয়ানদের ও সংগঠনের ভিতর থেকে উঠে আসা ছাত্রনেতাদের প্রতিনিধিত্ব করবে।”

এজিএস প্রার্থী মেহেদী হাসান আখন বলেন, “বিগত বছরগুলোতে আমাদের বহু কর্মী অন্যায়ের শিকার হয়েছেন। জকসু নির্বাচন তাদের আত্মমর্যাদা পুনরুদ্ধারের সুযোগ। আমরা চাই—আবাসন, নিরাপত্তা, লাইব্রেরি, ছাত্র অধিকারসহ শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যাগুলো সামনে আসুক। আমাদের প্যানেল সেই ইস্যুগুলোই অগ্রাধিকার দেবে।”

জকসুর তফসিল অনুযায়ী, ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৭ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র বিতরণের শেষ দিন, ১৮ নভেম্বর সংগ্রহ করা ফরম দাখিল করা যাবে।

আগামী ১৯–২০ নভেম্বর বাছাই শেষে ২৩ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা। ২৪–২৬ নভেম্বর আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তির পর ২৭ এবং ৩০ নভেম্বর ডোপ টেস্ট হবে। ৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে, ৯ ডিসেম্বর প্রকাশ হবে প্রত্যাহার তালিকা। ৯–১৯ ডিসেম্বর প্রচারণা শেষে ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ ও গণনা অনুষ্ঠিত হবে এবং ২২–২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জকস জকস ছ ত রদল ড স ম বর প রক শ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রার্থীদের লাগবে ডোপ টেস্ট, অনলাইনে ব্যক্তি আক্রমণ ও গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (শাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে ডোপ টেস্ট করাতে হবে। একই সঙ্গে ভোটার ও প্রার্থীদের নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণাত্মক ও গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং সেল।

গতকাল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত শাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আচরণবিধির ‘মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল ও প্রত্যাহার’ শীর্ষক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রার্থী নিজ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগে ডোপ টেস্টের স্যাম্পল দেওয়ার পর প্রাপ্ত রসিদটি মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেবেন। নির্বাচন কমিশন কার্যালয় সব প্রার্থীর ডোপ টেস্টের প্রতিবেদন সংগ্রহ করবে। ডোপ টেস্টের ফলাফল ‘পজিটিভ’ হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হবে। প্রয়োজনে ডোপ টেস্ট রিপোর্ট সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন গঠিত রিভিউ কমিটির চূড়ান্ত মতামত নেওয়া হবে।

অনলাইনে প্রচার-প্রচারণার নিয়ম ও তা লঙ্ঘনের বিষয়ে আচরণবিধির অনুচ্ছেদ-৫-এ বলা হয়েছে, অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো যাবে, তবে তা অবশ্যই আইনসিদ্ধ ইতিবাচক পদ্ধতিতে হতে হবে। দেশের প্রচলিত আইনে নিষিদ্ধ এমন কোনো কাজ অনলাইন বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে করা যাবে না।

এতে আরও বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারণা ও প্রচারপত্রে কিংবা প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত আক্রমণ, চরিত্র হনন, গুজব, মানহানিকর আচরণ, অশালীন উক্তি, উসকানিমূলক কোনো কথা কিংবা কারও বিরুদ্ধে কোনো অসত্য তথ্য ছড়ানো, কোনো ধর্ম, বর্ণ, রাজনৈতিক দল বা সংশ্লিষ্ট কারও অনুভূতিতে আঘাত হানে এমন কোনো কিছু করা যাবে না। নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো প্রচারণা করা যাবে না।

এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেলে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্বাচনের জন্য ক্ষতিকর যেকোনো অনলাইন সাইট বা গ্রুপ বন্ধ, কনটেন্ট ডিলিট এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কমিশনের মনিটরিং সেল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। আচরণবিধিতে এমনটাই উল্লেখ করা আছে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনে শাস্তি কী, সে বিষয়ে উল্লেখ আছে অনুচ্ছেদ-১৮ তে। এতে বলা হয়েছে, ‘কোনো প্রার্থী বা তাঁর পক্ষে কেউ বা কোনো ভোটার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিল অথবা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা অথবা রাষ্ট্রীয়/বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী অন্য যেকোনো দণ্ডে দণ্ডিত হবে। নির্বাচনসংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন কবি নিরব রায়হান
  • জকসু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন ২৬৭ জন, শেষ দিনে ২৩৬
  • জকসু: শিক্ষার্থী সংসদে ২৬৭ ও হল সংসদে ৪৫ মনোনয়ন সংগ্রহ
  • প্রার্থীদের লাগবে ডোপ টেস্ট, অনলাইনে ব্যক্তি আক্রমণ ও গুজব ছড়ালে ব্যবস্থা
  • জকসু নির্বাচন: ২ দিনে ৩৫ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ
  • জকসু নির্বাচন: স্বতন্ত্র থেকে ভিপি পদে মনোনয়ন নিলেন ছাত্রদল নেতা 
  • পঞ্চগড়-২: এনসিপির মনোনয়ন ফরম নিলেন শিশির আসাদ