বায়োফিলিক আসবাবের ধারা কেন জনপ্রিয় হচ্ছে
Published: 8th, October 2025 GMT
একসময় প্রকৃতির সঙ্গে সবচেয়ে বেশি সময় কাটত মানুষের। এরপর ধীরে ধীরে এল বোকাবাক্স, মুঠোফোনসহ নানা প্রযুক্তি। আর মানবজীবন হয়ে উঠতে থাকল প্রযুক্তিনির্ভর। মানুষ প্রকৃতির অংশ হওয়া সত্ত্বেও আজকাল শহুরে জীবনে প্রকৃতির ছোঁয়া পাওয়া কঠিন।
আর তাই নানাভাবে নাগরিক জীবনে প্রকৃতিকে যুক্ত করার চেষ্টা চলছে। এই চাওয়ার জায়গা থেকেই অন্দরসজ্জায় বায়োফিলিক ডিজাইনের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে। এ বছর বিশ্বজুড়ে আসবাবে বায়োফিলিক ডিজাইন রয়েছে ট্রেন্ডে। এ ধারার প্রধান উদ্দেশ্য প্রকৃতি ও মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করা।
বায়োফিলিক ধারাবায়োফিলিক ডিজাইনের অন্দরসজ্জায় মানুষ ঘরে থেকেও প্রকৃতির সঙ্গে এক দৃঢ় বন্ধন অনুভব করতে পারে। এ ধারার নকশায় ঘরে আলো, কাঠ, পাথর, বাঁশ, বেত, মাটিসহ যথাসম্ভব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। প্রকৃতির মতোই সবুজ রঙের প্রাধান্য দেখা যায় এ ধারার অন্দরসজ্জায়। ঘরে থাকতে পারে উলম্বভাবে নানা ধরনের
সবুজ গাছের স্তর দিয়ে সাজানো সবুজ দেয়াল। থাকে ছোট জলাধার বা পানির প্রবাহ। এ ছাড়া থাকে আলো-বাতাস আসা-যাওয়ার জন্য যথাযথ খোলা স্থান। অন্দরের প্রতিটি জায়গায় যেন প্রকৃতির ছোঁয়া থাকে, তা নিশ্চিত করাই এই ধারার মুখ্য বিষয়। বায়োফিলিক ডিজাইনের আসবাব এ ধারার অন্দরসজ্জায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই ডিজাইনের আসবাব আজকাল শোভা পাচ্ছে পরিবেশসচেতন মানুষের অন্দরে। নিজেদের প্রকৃতির কাছাকাছি নিয়ে আসার ইচ্ছা থেকেই এ ধরনের আসবাব ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে।
প্রকৃতির অনুপ্রেরণায় নকশাআসবাবের ব্র্যান্ড হাতিলের পরিচালক শফিকুর রহমান বলেন, বায়োফিলিক ডিজাইন এমন একটি ধারণা, যেখানে মানুষের বাসস্থান বা কর্মস্থলে প্রকৃতির উপস্থিতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ঘরের ভেতরেও যেন প্রকৃতির প্রশান্তি অনুভব করা যায়, সেই লক্ষ্যে তৈরি করা হয় আসবাব।
প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে দূষণমুক্ত প্রক্রিয়ায় তৈরি করার কারণে বায়োফিলিক আসবাব ঘরের বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখে, যা মনোযোগ ও মানসিক স্বস্তি দেয়।
প্রকুতি ও আসবাবের সহাবস্থান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য় ফ ল ক ড জ ইন র প রক ত র আসব ব
এছাড়াও পড়ুন:
দাপুটে জয়ে ক্যাম্প ন্যুতে বার্সেলোনার প্রত্যাবর্তন
ফেরান তোরেসের দুর্দান্ত জোড়া গোল আর শুরুর দিকেই রবার্ট লেভানদোভস্কির আঘাত; সব মিলিয়ে দুই বছর পর ন্যু ক্যাম্পে ফিরে এসে একেবারে রাজকীয় ভঙ্গিতেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিল বার্সেলোনা। ১০ জনের বিলবাওকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লা লিগায় টানা তিন জয়ের আনন্দে ভাসল কাতালানরা।
নবায়ন কাজের কারণে দীর্ঘ বিরতির পর ন্যু ক্যাম্পে এটি ছিল বার্সার প্রথম ম্যাচ। শুরুতেই যেন সেই অপেক্ষার সব ক্ষত মুছে দিলেন লেভানদোভস্কি। ম্যাচের মাত্র চার মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে বল কাড়ার পর নিচু শটে উনাই সিমোনকে পরাস্ত করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
দ্রুততম ৪৪ গোলে রোনালদোর রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে
মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে বার্সেলোনাকে হারাল রিয়াল
এরপর দানি ওলমোর প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেয় বিলবাওয়ের রক্ষণ দেয়াল। লামিন ইয়ামালের শটও রুখে দেন সিমোন। অন্যদিকে আক্রমণে উঠেও সুযোগ নষ্ট করেন উনাই গোমেজ ও নিকো উইলিয়ামস। আয়েরিক লাপোর্তের হেডও পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
এরপর ফেরান তোরেস ও ফিরমিন লোপেজও গোলের খোঁজে সক্রিয় হন। গার্সিয়া চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেই বিলবাওয়ের নিশ্চিত গোল ঠেকান।
হাফটাইমের ঠিক আগে ইয়ামালের দারুণ বাঁকানো পাসে সুযোগ পান তোরেস। নিচু শটে সিমোনকে পরাস্ত করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। সিমোন ছুঁয়ে দিলেও গোল ঠেকাতে পারেননি।
বিরতির পর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় লোপেজ দারুণ এক প্রচেষ্টায় সোজা শটে তৃতীয় গোলটি করেন। ৫৪ মিনিটে লোপেজের ওপর বিপজ্জনক ট্যাকল করে ওইহান সানসেট লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে বিলবাওয়ের দুর্ভাগ্য আরও ঘনীভূত হয়।
এরপর ডানি ভিভিয়ান হুমকি তৈরি করলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। পাল্টা আক্রমণে ওলমোর শটও অল্পের জন্য বাইরে যায়। ভিভিয়ান পরে আরেকবার হেডে গোল করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তবে গার্সিয়ার গ্লাভসে আটকে যায় বল।
অবশেষে ৯০ মিনিটে ইয়ামালের সূক্ষ্ম পাস ধরে ঠান্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ম্যাচের শেষ শব্দটি লিখে দেন ফেরান তোরেস।
দুই বছর পর ঘরের মাঠে ফিরল বার্সেলোনা। আর তোরেস-ইয়ামালরা যেন সেই আনন্দকে ফুটিয়ে তুললেন মাঠজুড়ে গোলের আতশবাজিতেই।
ঢাকা/আমিনুল