পাঁচ সপ্তাহ আগে দলে ফেরা সাইফই এখন র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সেরা
Published: 8th, October 2025 GMT
ছন্দে আছেন সাইফ হাসান। এশিয়া কাপের আগে নেদারল্যান্ডস সিরিজে দলে ফেরার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন সাইফ। এশিয়া কাপে ভারত ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি করার পর আফগানিস্তান সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতেও পেয়েছেন ফিফটি। এর প্রভাব পড়েছে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়েও।
ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ২০–এ ঢুকেছেন সাইফ। ১৭ ধাপ এগিয়ে সাইফ উঠে এসেছেন ১৮ নম্বরে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টি–টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে সাইফই এখন সবার ওপরে।
শুধু সাইফ নন, টপ অর্ডারের অন্য দুই ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান ও পারভেজ হোসেনেরও র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে। তানজিদ ৪৩তম স্থান থেকে উঠে এসেছেন ৩৭ নম্বরে, আর পারভেজ হোসেন ৭১তম থেকে ৫৩তম স্থানে উঠেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা টিম রবিনসন ৫৮ ধাপ এগিয়েছেন, তিনি আছেন ২২ নম্বরে। টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে অভিষেক শর্মাই আছেন।
বাংলাদেশ সিরিজে ৩ ম্যাচে ৬ উইকেট নিয়ে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ৬ ধাপ এগিয়েছেন রশিদ খান। আফগান এই লেগ স্পিনারের অবস্থান দুই নম্বরে। গত বছরের জুনের পর এটাই তাঁর সর্বোচ্চ অবস্থান। বোলিং র্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানের আরও দুই বোলার উন্নতি করেছেন।
স্পিনার নুর আহমেদ আট ধাপ এগিয়ে এখন ১৭তম, মুজিব উর রেহমান ছয় ধাপ এগিয়ে ২৩তম স্থানে আছেন। বাংলাদেশের পেসার তানজিম হাসান নয় ধাপ এগিয়ে ৩৩তম, শরীফুল ইসলাম ২১ ধাপ এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোস্টন চেজের সঙ্গে যৌথভাবে ৪৯তম স্থানে আছেন।
আফগানিস্তান সিরিজের সেরা খেলোয়াড় নাসুম আহমেদ ১৩১তম থেকে লাফিয়ে ৪৪তম স্থানে উঠে এসেছেন। মোস্তাফিজুর রহমান আছেন ১২ নম্বরে, এই বাঁহাতি পেসারই বাংলাদেশের শীর্ষ বোলার। বোলিংয়ে শীর্ষে আছেন ভারতীয় স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী।
এশিয়া কাপ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট খেলছে ভারত। ভারতের অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মাধ্যমে ক্যারিয়ারের সেরা ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ে উঠেছেন। সেঞ্চুরি করে আহমেদাবাদ টেস্টে আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ২৫তম স্থানে উঠে এসেছেন, যা তাঁর ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অবস্থান।
৩৬ বছর বয়সী জাদেজা ভারতের একমাত্র ইনিংসে অপরাজিত ১০৪ রান করেন। এর আগে তাঁর সেরা অবস্থান ছিল ২৯তম, যা তিনি এ বছরের জুলাইয়ে অর্জন করেছিলেন। এখন তাঁর রেটিং পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ক্যারিয়ারসেরা ৬৪৪।
দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট নেওয়ার ফলে অলরাউন্ডারদের তালিকায়ও নিজের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছেন জাদেজা। বাংলাদেশের মেহেদী হাসান মিরাজের চেয়ে ১২৫ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন।
ইংল্যান্ড সফরের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভালো পারফরম্যান্স করেছেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজও।
আহমেদাবাদ টেস্টে তাঁর বোলিং পরিসংখ্যান—প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটের বিপরীতে ৪০ রান ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ উইকেটের বিপরীতে ৩১ রান। এর ফলে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগিয়ে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ১২তম স্থানে উঠেছেন তিনি। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো তাঁর রেটিং ৭০০ পয়েন্টের ঘর ছুঁয়েছে। ভারতের ইনিংস ও ১৪০ রানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সিরাজ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন অবস থ ন এস ছ ন কর ছ ন উইক ট আহম দ আইস স আফগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ দশকের রেকর্ড ভেঙে ‘আফ্রিকার বর্ষসেরার’ মুকুট হাকিমির মাথায়
আফ্রিকান ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মঞ্চে এবারের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু এক নাম- আশরাফ হাকিমি। লিভারপুলের তারকা মোহাম্মদ সালাহ কিংবা গালাতাসারাইয়ের গোলমেশিন ভিক্টর ওসিমেনকে পেছনে ফেলে প্রথমবারের মতো মহাদেশের বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি ছিনিয়ে নিয়েছেন পিএসজির মরোক্কান এই ডিফেন্ডার। ৫২ বছর ধরে অক্ষুণ্ণ থাকা ইতিহাস ভেঙে নতুন অধ্যায় রচনা করলেন তিনি।
অর্ধশতক পর ডিফেন্ডারের জয়:
১৯৭৩ সালে জাইরের (বর্তমান ডিআর কঙ্গো) সেন্টারব্যাক বোয়াঙ্গা শিমেন ছিলেন শেষ ডিফেন্ডার, যিনি এই সম্মান পেয়েছিলেন। এর পর পাঁচ দশকেও কোনো রক্ষণভাগের খেলোয়াড় এই মঞ্চে উঠতে পারেননি। ২৭ বছর বয়সী হাকিমি সেই শূন্যস্থান পূরণ করলেন এক দুর্দান্ত বছর পেরিয়ে।
আরো পড়ুন:
৫২ বছর পর প্রথমবার বিশ্বকাপে হাইতি
ফুটবলে নতুন ইতিহাস: সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে কুরাসাও
পুরস্কার হাতে নিয়ে আবেগঘন কণ্ঠে হাকিমি বলেন, “এটি শুধু আমার নয়- আফ্রিকা থেকে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখা প্রতিটি মানুষের প্রাপ্য। যারা আমার ছোটবেলা থেকে আমাকে বিশ্বাস করেছেন, তাদের সবার প্রতি এটি আমার কৃতজ্ঞতা।”
মাঠে নেতৃত্ব, পরিসংখ্যানে আধিপত্য:
২০২৫ মৌসুমে পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ, লিগ ওয়ান, কোপা দে ফ্রান্স ও উয়েফা সুপার কাপ; সবকটি শিরোপাই জয় করেছেন হাকিমি। ইনজুরির কারণে কিছু ম্যাচ মিস করলেও বছরের সার্বিক পারফরম্যান্স ছিল চোখ ধাঁধানো।
আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে? সেখানে তিনি যেন আরেক রূপে। তার নেতৃত্বে মরক্কো ইতিহাস গড়ে ধারাবাহিকভাবে ১৮টি ম্যাচ জিতে ২০২৬ বিশ্বকাপের মূলপর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে এবং আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে। এই ধারাবাহিকতার কারণেই সালাহ ও ওসিমেনকে পেছনে ফেলা ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সবচেয়ে বেশি বার বর্ষসেরা জয়ের রেকর্ড এখনো সমানভাবে যৌথভাবে ধরে রেখেছেন স্যামুয়েল ইতো ও ইয়াইয়া তুরে। তাদের পথ ধরেই এগোতে চান হাকিমি। যার সামনে এখন নতুন পথ, নতুন ইতিহাস গড়ার সুযোগ।
পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মরক্কোর নেতৃত্বে আফ্রিকার সেরা হওয়ার লড়াই:
২১ ডিসেম্বর থেকে মরক্কোর মাটিতে শুরু হতে যাওয়া আফ্রিকা কাপ অব নেশন্সে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন হাকিমি। ঘরের মাঠে শিরোপার স্বপ্ন আরও বড় হয়ে উঠেছে এই স্বীকৃতির পর।
মরক্কোর পুরস্কার ঝুলিতে আরও সাফল্য:
বর্ষসেরার মঞ্চে একা নন হাকিমি। তার সতীর্থরাও পেয়েছে আরও কয়েকটি মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি-
ইয়াসিন বুনো- বর্ষসেরা গোলরক্ষক,
ওসমানে মাম্মা- সেরা তরুণ খেলোয়াড়,
বুবিস্তা (কেপ ভার্দে)- সেরা কোচ (২০২৬ বিশ্বকাপে তোলার কৃতিত্বে)।
নারী ফুটবলে আলো ছড়িয়েছেন নাইজেরিয়ার চিয়ামাকা নাদোজি, যিনি টানা তৃতীয়বারের মতো বর্ষসেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছেন এবং ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের উইমেন্স সুপার লিগে ব্রাইটনের হয়ে দারুণ পারফর্ম করছেন।
ঢাকা/আমিনুল