রস টেইলরেকে চিনেন না এমন ক্রিকেটপ্রেমী সম্ভবত কমই আছেন। তাকে সবাই চিনেন নিউ জিল্যান্ডের জার্সিতে। যিনি কিউইদের হয়ে ২০০৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১১২টি টেস্ট, ২৩৬টি ওয়ানডে ও ১০৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। মোট রান করেছেন ১৮ হাজার ২২১টি। তিনি ২০২২ সালে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এরপর মায়ের চাওয়াতে তার মায়ের দেশ সামোয়ার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন।

আজ বুধবার (০৮ অক্টোবর) আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়া ও ইস্ট এশিয়া প্যাসিফিক (ইএপি) অঞ্চলের বাছাইপর্বের ম্যাচে ওমানের বিপক্ষে তার অভিষেক হয়। তবে অভিষেক ম্যাচটি রাঙাতে পারেননি জয় দিয়ে। যদিও ব্যাট হাতে সামোয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ২২ রানের ইনিংস খেলেন। কিন্তু তার দল হেরে যায় ৫ উইকেটের ব্যবধানে।

আরো পড়ুন:

অ্যাশেজ সিরিজে অনিশ্চিত কামিন্স

১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৬২/৩

সামোয়া আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তোলে। টেইলর ২৮ বলে ১ চারে ২২ ও ফেরেতি সুলুওতো ১৬ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন সর্বোচ্চ ২২ রান। এছাড়া সলোমোন নাশ করেন ১০ রান। বাকিদের কেউ ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা।

বল হাতে ওমানের শাহ ফয়সাল ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১২ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। মোহাম্মদ নাদিম ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট। এছাড়া আমির কলিম ৩ ওভারে ১৮ রানে নেন আরও ২টি উইকেট।

জবাব দিতে নেমে ১৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ওমান। ওমানের নাদিম অপরাজিত ২১ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। এছাড়া হাম্মাদ মির্জা ১৮, আশিষ ওদেদারা ১৫ ও আরিয়ান বিস্ট ১৪ রান করেন। সামোয়ার সাউমানি তিয়াউ ৪ ওভারে ১৩ রানে ২টি উইকেট নেন।

পরের ম্যাচে আগামীকাল রাতে পাপুয়া নিউ গিনির মুখোমুখি হবে সামোয়া।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

ভোট গণনা শেষ, কে পাচ্ছেন সাহিত্যে নোবেল?

নোবেল পুরস্কার নিয়ে ‘বাজি’ বা ‘পোলিং’ হয়ে আসছে দীর্ঘদিন থেকেই। মূলত সম্ভাব্য বিজয়ীদের নিয়ে জুয়া খেলা বা বাজি ধরা, যা বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রচারিত হয়। কে কী কারণে এ পুরস্কার পেতে পারেন, এসব নিয়ে চলে হিসাব–নিকাশ। এ বছরও সাহিত্যে কে নোবেল পুরস্কার পেতে পারেন, এ নিয়ে চলছে অঙ্ক কষাকষি। পোলিংও করছে অনেক ওয়েবসাইট। দেখা যায়, কোনো বছর কোনো প্রতিষ্ঠানের জরিপের ফলাফল মিলে যায়। কোনো বছর আবার মেলে না।

এ বছর এমন কয়েকটি ওয়েবসাইট সম্ভাব্য পুরস্কারপ্রাপ্তের ছোট তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে THE BERLINER একটি। এখানে ম্যাথিল্ড মন্টপেটিটের একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর লেখায় বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। তিনি জানান, চার বছর ধরে তাঁর বুক ক্লাব প্রতিবছর সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার কে জিতবেন, তা অনুমান করার জন্য একটি পুল পরিচালনা করছে। গত তিনবারই তাঁর অনুমান সত্য হয়েছে। ম্যাথিল্ড মন্টপেটিট বলেন, ‘আমরা সাধারণত সবাই পাঁচজন লেখকের নাম পাই এবং বিজয়ী হন একজনই। আমরা এটিকে গুরুত্বসহকারে নিই। তবে সাহিত্য এত গুরুত্বপূর্ণ যে কে সন্ত হচ্ছেন, তা নিয়ে মাথা ঘামানো কখনোই উচিত নয়।’

২০১৯ সালে পিটার হান্ডকে তো ২০২০ সালে লুইস গ্লুক। পরের বছর ২০২১ সালে আবদুলরাজাক গুরনাহ, ২০২২ সালে অ্যানি আর্নো। মানে একবার পুরুষ সাহিত্যিক তো অন্যবার নারী সাহিত্যিক। কোরিয়ার হান কাং গত বছর জিতেছিলেন, তাই এ বছরের বিজয়ী হবেন একজন পুরুষ।

সাত বছর ধরে, ধরেন ২০১৮ সালে, যখন পোলিশ ঔপন্যাসিক ওলগা টোকারচুক জিতেছিলেন, তখন থেকে দেখা যাচ্ছে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন এ বছর একজন পুরুষ লেখক তো পরের বছর নারী লেখক।

২০১৯ সালে পিটার হান্ডকে তো ২০২০ সালে লুইস গ্লুক। পরের বছর ২০২১ সালে আবদুলরাজাক গুরনাহ, ২০২২ সালে অ্যানি আর্নো। মানে একবার পুরুষ সাহিত্যিক তো অন্যবার নারী সাহিত্যিক। কোরিয়ার হান কাং গত বছর জিতেছিলেন, তাই এ বছরের বিজয়ী হবেন একজন পুরুষ। এদিক বিবেচনা করলে যেন নোবেল কমিটি সাহিত্যের ব্যাপারে বসেই আছে নারী-পুরুষের লিঙ্গবৈষম্য কমানোর জন্য। এবারের পুরুষ লেখক তবে কে? এ বিষয়ে ম্যাথিল্ড মন্টপেটিট প্রাথমিকভাবে অনুমান করছেন, বিজয়ী লেখক হতে পারেন ভারতীয় অমিতাভ ঘোষ। ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নোবেল বিজয়ী হওয়ার পর আর কোনো ভারতীয় এ পুরস্কার পাননি। তিনি মজা করে বলছেন, অরুন্ধতী রায় ও সালমান রুশদি হতে যাচ্ছেন না, দুঃখিত। কারণ, একজন অ্যাকটিভিস্ট, অন্যজন বেশি খ্যাত।

ম্যাথিল্ড মন্টপেটিট

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষ পরীক্ষা, আবার ফরম পূরণের সময় বৃদ্ধি
  • ভোট গণনা শেষ, কে পাচ্ছেন সাহিত্যে নোবেল?