৭৬ রানে নেই ৭ উইকেট, ১১৫ রানে ৮। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ কী বিপদেই না ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দলটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে এরপরই। ২২তম ওভারে সপ্তম উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে করেছে ২২১ রান।

বেথ মুনি ও অ্যালানা কিংয়ের রেকর্ডময় এক জুটিতেই প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত গল্প লিখেছে অস্ট্রেলিয়া। যে প্রত্যাবর্তনের গল্প শেষ পর্যন্ত দলটিকে এনে দিয়েছে বড় জয়। রানতাড়ায় নামা পাকিস্তানকে ১১৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ১০৭ রানে।

টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি ও ফিবি লিচফিল্ড তুলে ফেলেছিলেন ৩০ রান। সাদিয়া ইকবাল অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক হিলিকে ফেরানোর পরই শুরু হয় ধস। ৩ বল পর দলকে ৩০ রানে রেখেই ফেরেন আরেক ওপেনার লিচফিল্ড। মুনি ব্যাটিংয়ে নামেন এ সময়েই।

অস্ট্রেলিয়া ৭৬ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর কিম গার্থকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৩৯ রান যোগ করেন মুনি। ১১ রান করে গার্থ যখন বিদায় নেন, তখনো ইনিংস শেষ হতে ১৬ ওভারের বেশি বাকি। এরপরই কিংকে নিয়ে ১০৬ রানের জুটি গড়েন মুনি।

জুটি ভাঙে ইনিংসের শেষ বলে মুনির বিদায়ে। ১১ চারে ১১৪ বলে ১১৯ রান করেন মুনি, যা মেয়েদের ওয়ানডেতে তাঁর পঞ্চম সেঞ্চুরি। অপরপ্রান্তে কিং অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৫১ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে এটাই তাঁর প্রথম ফিফটি।

মুনি–কিংয়ের নবম উইকেট জুটি থেকে অস্ট্রেলিয়া পায় ১০৬ রান। যা মেয়েদের ওয়ানডেতে নবম বা এর নিচের দিকে সর্বোচ্চ। এর আগে নবম বা তার নিচের দিকের জুটিতে সর্বোচ্চ ছিল ৭৭, যা গত বছর নর্থ সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিন অ্যাশলি গার্ডনার ও গার্থ। আজ অস্ট্রেলিয়া সপ্তম উইকেট হারানোর পর যোগ করেছে ১৪৫ রান। এটিও মেয়েদের ওয়ানডেতে সপ্তম বা তার নিচের দিকের জুটিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে চলতি বছর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের মেয়েরা ১৩২ রান যোগ করেছিলেন।

এ ছাড়া দশ নম্বরে নেমে কিং ৫১ রানের যে ইনিংসটি খেলেছেন, তা মেয়েদের ওয়ানডে দশম ও এগারতম ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

অস্ট্রেলিয়ার এত সব রেকর্ডের মুখোমুখি হওয়া পাকিস্তান রান তাড়ায় কখনোই স্বস্তিতেই ছিল না। ১৩ ওভারের মধ্যেই ৩১ রানে ৬ উইকেট হারায় দলটি। এরপর শেষ দিকের ব্যাটারদের সৌজন্যে দলটির ইনিংস ৩৭তম ওভার পর্যন্ত গড়ায়, রানও পৌঁছায় তিন অঙ্কে। আটে নামা রামিন শামীমের ৬৪ বলে ১৫ আর দশে নামা নাসরা সানধুর ৪১ বলে ১১ রানই এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখে।

এবারের বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলে এখনও পর্যন্ত জয়হীন থাকল পাকিস্তান। আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে হেরেছিল দলটি। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ার এটি তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয়। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২২১/৯ (মুনি ১০৯, কিং ৫১*, হিলি ২০; সানধু ৩/৩৭, শামীম ২/২৯)।

পাকিস্তান: ৩৬,৩ ওভারে ১১৪ (সিদরা ৩৫, শামীম ১৫, সানা ১১; গার্থ ৩/১৪, সাদারল্যান্ড ২/১৫)।

ফল: অস্ট্রেলিয়া ১০৭ রানে জয়ী।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উইক ট হ র

এছাড়াও পড়ুন:

মুনি-কিংয়ের রেকর্ড, পাকিস্তানের বড় হার

৭৬ রানে নেই ৭ উইকেট, ১১৫ রানে ৮। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ কী বিপদেই না ছিল অস্ট্রেলিয়া। তবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দলটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে এরপরই। ২২তম ওভারে সপ্তম উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে করেছে ২২১ রান।

বেথ মুনি ও অ্যালানা কিংয়ের রেকর্ডময় এক জুটিতেই প্রত্যাবর্তনের দুর্দান্ত গল্প লিখেছে অস্ট্রেলিয়া। যে প্রত্যাবর্তনের গল্প শেষ পর্যন্ত দলটিকে এনে দিয়েছে বড় জয়। রানতাড়ায় নামা পাকিস্তানকে ১১৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ১০৭ রানে।

টসে হেরে ব্যাটিং পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি ও ফিবি লিচফিল্ড তুলে ফেলেছিলেন ৩০ রান। সাদিয়া ইকবাল অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক হিলিকে ফেরানোর পরই শুরু হয় ধস। ৩ বল পর দলকে ৩০ রানে রেখেই ফেরেন আরেক ওপেনার লিচফিল্ড। মুনি ব্যাটিংয়ে নামেন এ সময়েই।

অস্ট্রেলিয়া ৭৬ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর কিম গার্থকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৩৯ রান যোগ করেন মুনি। ১১ রান করে গার্থ যখন বিদায় নেন, তখনো ইনিংস শেষ হতে ১৬ ওভারের বেশি বাকি। এরপরই কিংকে নিয়ে ১০৬ রানের জুটি গড়েন মুনি।

জুটি ভাঙে ইনিংসের শেষ বলে মুনির বিদায়ে। ১১ চারে ১১৪ বলে ১১৯ রান করেন মুনি, যা মেয়েদের ওয়ানডেতে তাঁর পঞ্চম সেঞ্চুরি। অপরপ্রান্তে কিং অপরাজিত থাকেন ৪৯ বলে ৫১ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে এটাই তাঁর প্রথম ফিফটি।

মুনি–কিংয়ের নবম উইকেট জুটি থেকে অস্ট্রেলিয়া পায় ১০৬ রান। যা মেয়েদের ওয়ানডেতে নবম বা এর নিচের দিকে সর্বোচ্চ। এর আগে নবম বা তার নিচের দিকের জুটিতে সর্বোচ্চ ছিল ৭৭, যা গত বছর নর্থ সিডনিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছিন অ্যাশলি গার্ডনার ও গার্থ। আজ অস্ট্রেলিয়া সপ্তম উইকেট হারানোর পর যোগ করেছে ১৪৫ রান। এটিও মেয়েদের ওয়ানডেতে সপ্তম বা তার নিচের দিকের জুটিগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে চলতি বছর বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে স্কটল্যান্ডের মেয়েরা ১৩২ রান যোগ করেছিলেন।

এ ছাড়া দশ নম্বরে নেমে কিং ৫১ রানের যে ইনিংসটি খেলেছেন, তা মেয়েদের ওয়ানডে দশম ও এগারতম ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।

অস্ট্রেলিয়ার এত সব রেকর্ডের মুখোমুখি হওয়া পাকিস্তান রান তাড়ায় কখনোই স্বস্তিতেই ছিল না। ১৩ ওভারের মধ্যেই ৩১ রানে ৬ উইকেট হারায় দলটি। এরপর শেষ দিকের ব্যাটারদের সৌজন্যে দলটির ইনিংস ৩৭তম ওভার পর্যন্ত গড়ায়, রানও পৌঁছায় তিন অঙ্কে। আটে নামা রামিন শামীমের ৬৪ বলে ১৫ আর দশে নামা নাসরা সানধুর ৪১ বলে ১১ রানই এ ক্ষেত্রে মূল ভূমিকা রাখে।

এবারের বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ খেলে এখনও পর্যন্ত জয়হীন থাকল পাকিস্তান। আগের দুই ম্যাচে বাংলাদেশ ও ভারতের কাছে হেরেছিল দলটি। অপরদিকে অস্ট্রেলিয়ার এটি তিন ম্যাচে দ্বিতীয় জয়। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

অস্ট্রেলিয়া: ৫০ ওভারে ২২১/৯ (মুনি ১০৯, কিং ৫১*, হিলি ২০; সানধু ৩/৩৭, শামীম ২/২৯)।

পাকিস্তান: ৩৬,৩ ওভারে ১১৪ (সিদরা ৩৫, শামীম ১৫, সানা ১১; গার্থ ৩/১৪, সাদারল্যান্ড ২/১৫)।

ফল: অস্ট্রেলিয়া ১০৭ রানে জয়ী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ