আমি কোনো মিডিয়া যেহেতু বন্ধ করব না, আমি নতুন মিডিয়া দেব: তথ্য উপদেষ্টা
Published: 8th, October 2025 GMT
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের নীতি হলো কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করা হবে না। আর যেহেতু বন্ধ করা হবে না, তাই নতুন গণমাধ্যমের অনুমোদন দেওয়া হবে, যাতে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হয়।
আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তথ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘গত ১৫ বছরে যতগুলো টিভির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, অবশ্যই রাজনৈতিকভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীকালে সেগুলো কী ভূমিকা পালন করেছে, আপনারা জানেন। এখানে অবশ্যই পক্ষপাত ছিল।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, এই সরকারের নীতি হচ্ছে কোনো গণমাধ্যম বন্ধ হবে না। ফলে প্রক্রিয়াটি কী? নতুন যে প্রজন্ম, যারা এই গণ-অভ্যুত্থান করেছে বা যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী, তাদের স্পেস (জায়গা) তৈরি করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নতুন গণমাধ্যম দেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো মিডিয়া যেহেতু বন্ধ করব না, আমি নতুন মিডিয়া দেব।’
প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা আরও বলেন, নতুন আইনে দিতে পারলে সবচেয়ে সুখবর হতো। কিন্তু নতুন আইন করতে হলে এই সরকারের আমলে বা এই পুরো ব্যবস্থার ভেতর কখনো নতুন গণমাধ্যম আসতে পারবে না। নতুন গণমাধ্যম এলে বাজার প্রতিযোগিতামূলক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অ্যাটকোর প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মতবিনিময় সভার বিষয়বস্তু জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলোর নিজস্ব আচরণবিধি (কোড অব কনডাক্ট) প্রণয়ন করে তা জনসমক্ষে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
আরও পড়ুনপুরোনো প্রক্রিয়ায় নতুন দুটি টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স, কারা পেল ০৭ অক্টোবর ২০২৫এ বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো তাদের আচরণবিধি জনসমক্ষে প্রকাশ করলে সাধারণ মানুষ বুঝতে পারবে, তারা সেটি মেনে চলছে কি না। এতে চ্যানেলগুলোর জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বাড়বে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, কেবল টিভি ডিজিটালাইজ করার জন্য ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যে আবার সভা করা হবে। সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে কেবল টিভি ডিজিটালাইজেশনের বিষয়ে সরকার একটি নীতিমালা প্রণয়ন করবে।
মাহফুজ আলম বলেন, টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট (টিআরপি) বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে দ্রুত একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুনটিভির লাইসেন্স নিয়ে সারজিস ও আজাদ মজুমদারের বক্তব্যে যে বিষয় নেই৬ ঘণ্টা আগেমতবিনিময় সভায় অ্যাটকোর প্রতিনিধিরা কেবল টিভি ডিজিটালাইজেশনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁরা কেবল টিভিকে ডিজিটালে রূপান্তরের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জন্য কোনো আইন বা নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অংশীজনের মতামত নেওয়ার জন্য অ্যাটকোর পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সভায় অ্যাটকোর নেতারা বলেন, বর্তমানে বেসরকারি চ্যানেলের ওপর সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ বা চাপ নেই।
মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, অ্যাটকোর কোষাধ্যক্ষ জহির উদ্দীন মাহমুদ, পরিচালক মোস্তফা কামাল, পরিচালক আবদুস সালাম, পরিচালক নাভিদুল হক ও পরিচালক টিপু আলম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনবেসরকারি টেলিভিশনের রাজনৈতিক লাইসেন্স১৯ অক্টোবর ২০১৩.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স শ ল ষ ট অ শ জন র ক বল ট ভ অ য টক র ব সরক র সরক র র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
আমেরিকার ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রাম, ইংরেজিতে দক্ষতায় করুন আবেদন
বিশ্বের শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের বৃত্তি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এসব বৃত্তিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও আবেদনের সুযোগ পান। এবার সুযোগ এসেছে আমেরিকার ‘ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রামে’ আবেদনের। গত ৫০ বছরে প্রায় দুই শতাধিক বেশি বাংলাদেশি এ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার সাবেক শিক্ষার্থীদের মধ্যে আছেন শিক্ষাবিদ, গবেষক, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, উন্নয়ন পেশাজীবীরা। ২০২৬-২৭ সেশনের জন্য ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রামের আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে পূর্ণ অর্থায়নে অধ্যয়নের জন্য অনুদান প্রদানের আবেদন গ্রহণ চলছে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত এক পোস্টে বলা হয়েছে, এক শিক্ষাবর্ষ মেয়াদে গবেষণা ও যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানে এক শিক্ষাবর্ষে শিক্ষকতার জন্য এ অনুদান দেওয়া হবে। অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাংলাদেশি সরকারি-বেসরকারি পেশাজীবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট সরকারি-বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত গবেষকদের (১০ বছর বা ততধিক সময়ের পেশাগত অভিজ্ঞতাসম্পন্ন) গবেষণা বা শিক্ষকতার কাজ পরিচালনার জন্য এ অনুদান দেওয়া হবে। এ ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশিরাও।
ফুলব্রাইট ভিজিটিং স্কলারের উদ্দেশ্য হলো উচ্চতর ডিগ্রি (পিএইচডি) বা সমমানের পেশাগত ডিগ্রিসম্পন্ন, গভীরভাবে অনুপ্রাণিত এবং নিজ নিজ বিশেষায়িত ক্ষেত্রে গবেষণা পরিচালনা ও শিক্ষকতার প্রস্তাবনা পেশকারী শিক্ষকদের অনুদান প্রদান করা। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশাগতভাবে কাজ করার জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে শুরু হবে এ এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, দূরশিক্ষণ, শিক্ষাপ্রযুক্তি, জনস্বাস্থ্য, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, আরবান প্ল্যানিং ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষা–সম্পর্কিত সব শাখার বিস্তৃত বিষয়ে প্রস্তাবনা আহ্বান করা হচ্ছে। সব শাখায় প্রতিষ্ঠান বা কার্যক্রম উন্নয়ন–সম্পর্কিত চাহিদা নিরূপণ ও গবেষণা পরিচালনা, মাধ্যমিক–পরবর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের উন্নয়ন বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক বা প্রশিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং একাডেমিক পাঠ্যক্রম বা শিক্ষা উপকরণ প্রণয়ন ও মূল্যায়নে আগ্রহী শিক্ষকদের জন্য কিছু স্বল্পমেয়াদি অনুদানও প্রদান করা হবে। পেশাদারি দক্ষতার জন্য প্রার্থীদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ১৭ নভেম্বর ২০২৫প্রথম আলো ফাইল ছবি