‘সৃজনশীল কিছু জিনিস বাইবর্ন হয়ে থাকে, আমার ছোট্ট বাচ্চাটাও তাই’
Published: 9th, October 2025 GMT
ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি। অভিনয়ের পাশাপাশি ব্যবসাও শুরু করেছেন এই অভিনেত্রী। ‘বডি’ নামে তার একটি পোশাকের ব্র্যান্ড রয়েছে। তার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করেছেন পুত্র শাহীম মুহাম্মদ পূণ্যকে। পুত্রকে পদ্ম নামেও ডাকেন ‘মা’ পরীমণি।
মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা থেকেই ‘বডি’ ব্র্যান্ডের জন্ম বলে জানিয়েছেন পরীমণি। সন্তান জন্মের পর একজন মা যেসব শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তার বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে ‘বডি’ এর পণ্যসম্ভার।
আরো পড়ুন:
আমার ১২টা বিয়ে করার ইচ্ছা: পরীমণি
আমি আরো ৯৮টি বাচ্চার মা হতে চাই: পরীমণি
পরীমণির প্রতিষ্ঠানের তৈরি পোশাকের ফটোশুটে অংশ নিয়েছে ছোট্ট পদ্ম। তার কিছু ছবিও নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি শুটিংয়ে ছোট্ট পদ্ম কেমন পারফর্ম করে, সেই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
পরীমণি বলেন, “সৃজনশীল কিছু জিনিস বাইবর্ন হয়ে থাকে। আমার এই ছোট্ট বাচ্চাটাও তাই। ক্যামেরা ওর জন্য নতুন কিছু না। খুব ছোট থেকেই তো মায়ের শুটিং দেখে বড় হয়েছে সে। ও মনোযোগ দিয়ে ডিরেকশন শোনে, বোঝার চেষ্টা করে এবং সে তার সেরাটা করে দেখায়। মাশআল্লাহ।”
পুত্রের জন্য দোয়া চেয়ে পরীমণি লেখেন, “আমার পদ্মফুলকে আপনাদের ভালোবাসায় রাখবেন।”
গ্ল্যামারকন্যা পরীমণি ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেতা শরিফুল রাজকে। এ সংসার আলো করে জন্ম নেয় পুত্র পদ্ম। যদিও এ সংসার বেশিদিন টেকেনি। পরবর্তীতে একটি কন্যাসন্তান দত্তক নেন পরীমণি; কন্যার নাম রেখেছেন প্রিয়ম। বিচ্ছেদের পর পুত্র-কন্যাকে নিয়ে নিজের মতো জীবনযাপন করছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর মন চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষণ মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলার আলামত নষ্টের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধু বালার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তিনি ওই মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা ও ধুনট থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)।
পুলিশ কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধু বালা ও মামলার প্রধান আসামি মুরাদুজ্জামান ওরফে মুকুলের (৫৪) বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
আসামি মুরাদুজ্জামান ধুনট উপজেলার একটি কলেজের শিক্ষক। অন্যদিকে সাবেক ওসি কৃপাসিন্ধু বর্তমানে গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত।
বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মোজাম্মেল হক প্রথম আলোকে বলেন, মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের আলামত গায়েব করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আদালত সেটি আমলে নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। মামলার প্রধান আসামি মুরাদুজ্জামান বর্তমানে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে আছেন।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর মা গতকাল বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, মূল আসামিকে ধর্ষণের শাস্তি থেকে বাঁচাতে কৃপাসিন্ধু বালা আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে আলামত নষ্ট করেন। থানা ও ডিবি পুলিশ হয়ে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তখন কৃপাসিন্ধু বালার নাম বাদ দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ২৪ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সবুজ আলী।
ওই অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে এক মাসের মধ্যে আদালতে পুনঃতদন্ত চেয়ে আবেদন করেন ভুক্তভোগীর মা। আদালত গত বছরের ১৫ আগস্ট মামলাটি পুনঃতদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য পিবিআইকে আদেশ দেন। পিবিআইয়ের তিন তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলের পর গত মঙ্গলবার পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, শিক্ষক মুরাদুজ্জামান ২০২১ সালের অক্টোবরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ থাকতেন। দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীকে একা পেয়ে তিনি জড়িয়ে ধরে ছবি তোলেন এবং তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল আবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটির চিৎকার করলে পালিয়ে যান মুরাদুজ্জামান। পরে অশালীন ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিলে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ওই বছরের ১২ মে মামলা করেন।