এইচএসসি ও সমমানে অকৃতকার্য ৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী
Published: 16th, October 2025 GMT
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় পাসের হার কমেছে। ১১টি শিক্ষা বোর্ডের সম্মিলিত ফলাফলে দেখা গেছে, এবার পাস করেছেন মাত্র ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে সব শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল একযোগে প্রকাশ করা হয়। পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন।
এছাড়া, বকশিবাজারে ঢাকায় আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড.
এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন। পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন। গত বছর এই পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। তুলনামূলকভাবে এবার পাসের হার কমেছে প্রায় ১৯ শতাংশ।
বোর্ডভিত্তিক পাসের হার
ঢাকা বোর্ডে পাসের হার সবচেয়ে বেশি ৬৪.৬২ শতাংশ। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৭৫.৬১ শতাংশ হলেও কুমিল্লা বোর্ডে তা সবচেয়ে কম—মাত্র ৪৮.৮৬ শতাংশ।
অন্যান্য বোর্ডের মধ্যে রাজশাহীতে পাসের হার ৫৯.৪০, যশোরে ৫০.২০, চট্টগ্রামে ৫২.৫৭, বরিশালে ৬২.৫৭, সিলেটে ৫১.৮৬, দিনাজপুরে ৫৭.৪৯ এবং ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫১.৫৪ শতাংশ।
কমেছে জিপিএ–৫ প্রাপ্তির হারও
এবার জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। ঢাকা বোর্ডের শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এই বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৬ হাজার ৬৩ জান। এছাড়া, রাজশাহী বোর্ডে ১০ হাজার ১৩৭ জন, দিনাজপুর বোর্ডে ৬ হাজার ২৬০ জন, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৬ হাজার ৯৭ জন, যশোর বোর্ডে ৫ হাজার ৯৯৫ জন, মাদ্রাসা বোর্ডে ৪ হাজার ২৬৮ জনম, কুমিল্লা ২ হাজার ৭০৭ জন, ময়মনসিংহ বোর্ডে ২ হাজার ৬৮৪ জন, বরিশাল বোর্ডে ১ হাজার ৬৭৪ জন, কারিগরি বোর্ডে ১ হাজার ৬১০ জন ও সিলেট বোর্ডে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন।
এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত ২৬ জুনে। গত ১৯ অগাস্ট এইচএসসি ও সমমানের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়। ২১ থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
সারা দেশে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নেয়নি।
ঢাকা/এএএম/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ও সমম ন পর ক ষ ফল ফল
এছাড়াও পড়ুন:
যশোর বোর্ডে পাসের হার কমে ৫০.২০ শতাংশ
যশোর শিক্ষা বোর্ডে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৫০.২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৫ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার ও জিপিএ-৫ দুই-ই কমেছে। একইসঙ্গে শূন্য পাসের কলেজের সংখ্যাও বেড়েছে।
বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুলাই আন্দোলনের প্রভাবের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি খাতা মূল্যায়নে কঠোরতা ও যথার্থতা বজায় রাখায় ফলাফলে এই পরিবর্তন এসেছে।
আরো পড়ুন:
দিনাজপুরের ৪৩ কলেজের সবাই ফেল
চট্টগ্রাম বোর্ডে জিপিএ-৫ কমে অর্ধেক
বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। তাই, পাসের হার কিছুটা কমেছে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১২ হাজার ৫৭৪ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৫৬ হাজার ৫০৯ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাস করেছেন ১৫ হাজার ৯৩১ জন, মানবিক বিভাগে ৩৪ হাজার ৩ জন এবং বাণিজ্য বিভাগে ৬ হাজার ৬৭৫ জন।
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ছেলে ১ হাজার ৭৭২ ও মেয়ে ১ হাজার ৬০৯, মানবিক বিভাগে ছেলে ৫৪৪ ও মেয়ে ১ হাজার ৬৩৫ এবং বাণিজ্য বিভাগে ছেলে ১৬৪ ও মেয়ে ২৭১ জন।
গত বছর যশোর বোর্ডে পাসের হার ছিল ৬৪.২৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯ হাজার ৭৪৯ জন। এ বছর শূন্য পাশের কলেজের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০টিতে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক আব্দুল মতিন বলেছেন, “জুলাই আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কিছুটা ঘাটতি ছিল। আমরা খাতার যথার্থ মূল্যায়ন করেছি এবং অসুস্থ প্রতিযোগিতা পরিহার করেছি। তাই, পাসের হার কমেছে।”
তিনি জানান, শূন্য পাসের কলেজগুলোর বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আসমা বেগম বলেছেন, “এ বছরের ফল নিয়ে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। তবে, শিক্ষার মান উন্নয়নে আমরা অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মেধাবীদের খুঁজে বের করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
ঢাকা/রিটন/রফিক