জয়পুরহাটে মেকানিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা
Published: 16th, October 2025 GMT
জয়পুরহাটে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর আরিফ হাসনাত সেলিম (২২) নামের এক মোটরসাইকেল মেকানিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকালে পাঁচবিবি উপজেলার ভূতগাড়ী বাজারে তাঁর গ্যারেজের পাশের একটি পরিত্যক্ত দোকানঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরিফ হাসনাত জয়পুরহাট সদর উপজেলার আমদই ইউনিয়নের মুরারীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভূতগাড়ী বাজারে আনিছুর রহমানের গ্যারেজে কাজ করতেন। প্রায় তিন মাস আগে গ্যারেজটি কিনে নিয়ে নিজেই ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। তিনি গ্যারেজের ওপরের তলায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে নিয়ে থাকতেন।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় বাজারের একটি পরিত্যক্ত হোটেলের চুলায় স্থানীয় কয়েকজন পিকনিকের রান্না করছিলেন। সে সময় আরিফের গ্যারেজ ও পাশের বিকাশের একটি দোকান বন্ধ ছিল। রাত আটটার পর ওই দোকানমালিক আসাদুন্নবী দোকান খুলে দেখেন, তাঁর ক্যাশ বাক্সে রেখে যাওয়া ১৮ হাজার টাকা নেই। কিছুক্ষণ পর আরিফ হাসনাত তাঁকে জানান, তাঁর গ্যারেজ থেকেও ২০ হাজার টাকা চুরি হয়েছে। এ ঘটনায় আরিফকে সন্দেহ করেন আসাদুন্নবী এবং মঙ্গলবার তাঁদের মধ্যে এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। গতকাল বুধবার সকালে আরিফ গ্যারেজ খুলতে আসেন। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। গতকাল দুপুরে আসাদুন্নবী তাঁর দোকানের টাকা চুরির ঘটনায় আরিফের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। আজ সকালে গ্যারেজের পাশের একটি দোকানঘরে আরিফের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্বজনেরা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরিফ হাসনাতের চাচা আবু সাঈদ বলেন, ‘দ্বন্দ্বের জের ধরে আমার ভাতিজাকে পরিকল্পিতভাবে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
দোকানমালিক আসাদুন্নবী বলেন, ‘টাকা চুরির ঘটনায় আরিফের কথাবার্তায় আমার সন্দেহ হয়। তাই বুধবার থানায় গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আজ সকালে গ্যারেজের পাশের দোকানে আরিফের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।’
পাঁচবিবি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর কবির বলেন, আরিফ হাসনাতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আসল ঘটনা জানা যাবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য় আর ফ আর ফ র উদ ধ র র একট
এছাড়াও পড়ুন:
বল এখন তালেবানের কোর্টে: পাকিস্তান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানিয়েছেন, কাবুল যদি ইসলামাবাদের ‘ন্যায্য’ শর্ত পূরণে সম্মত হয়, তাহলে পাকিস্তান আলোচনায় প্রস্তুত। বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে ডন অনলাইন।
সীমান্তে নতুন করে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর পাকিস্তান ও আফগানিস্তান বুধবার একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এফও) জানিয়েছে, তালেবানের অনুরোধে এবং পারস্পরিক সম্মতিতে কার্যকর হওয়া এই যুদ্ধবিরতি ১৫ অক্টোবর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে এবং ৪৮ ঘন্টা স্থায়ী হবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ জানিয়েছেন, আফগান পক্ষ যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেছে এবং একটি আনুষ্ঠানিক অনুরোধ করেছে।
তিনি বলেন, “গতকাল আমরা ৪৮ ঘন্টার অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছি (এবং) বার্তা পাঠানো হয়েছে যে তারা যদি আলোচনার মাধ্যমে আমাদের ন্যায্য শর্ত পূরণ করতে চায়, তাহলে আমরা প্রস্তুত। বল তাদের কোর্টে।”
পাকপ্রধানমন্ত্রী জানান, যদি আফগান পক্ষ আন্তরিক হয় এবং গুরুত্ব দেয়, তাহলে পাকিস্তান আলোচনার জন্য পদক্ষেপ নেবে। পাকিস্তানের মিত্র দেশগুলো, বিশেষ করে কাতারও পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশের মধ্যে সর্বশেষ পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে সমাধান করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে আফগান মাটি থেকে ফিতনা আল-খাওয়ারিজ নির্মূল করা যাতে প্রতিবেশী দেশের ভূখণ্ড আর সন্ত্রাসীদের দ্বারা ব্যবহৃত না হয়।
ফিতনা-আল-খাওয়ারিজ শব্দটি রাষ্ট্র নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সন্ত্রাসীদের জন্য ব্যবহার করে ইসলামাবাদ।
প্রসঙ্গত, বুধবার পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্তে আবারও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এতে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় অন্তত ১২ জন আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে কাবুলের তালেবান প্রশাসন। এর আগে গত রবিবার আফগানিস্তানের উত্তর সীমান্তের একাধিক পাহাড়ি স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের উপর আক্রমণ করেছিল তালেবান। এই হামলায় পাকিস্তানের ৫৮ সেনা নিহত হয়।
ঢাকা/শাহেদ