‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে অর্ধশত গাছ কাটার জায়গায় ৬০টি বকুল চারা রোপণ
Published: 18th, November 2025 GMT
‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে এক ব্যক্তি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকে থাকা অর্ধশত গাছ কেটে ফেলার পর সেখানে নতুন করে ৬০টি বকুল চারা রোপণ করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। আজ মঙ্গলবার সকালে বেতলতী এলাকায় গিয়ে সড়ক বিভাজকে এসব গাছ দেখা গেছে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, গতকাল সোমবার সওজের লোকজন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকের ওই ফাঁকা স্থানে গাছগুলো রোপণ করেন। গাছগুলোর ভেঙে পড়া রোধে সেখানে বাঁশের কঞ্চি গেড়ে বেঁধেও দেওয়া হয়েছে। এর আগে একই স্থানের প্রায় ৫০০ মিটার এলাকায় অন্তত ৫২টি বকুলগাছ কেটে ফেলা হয়। এগুলো অবৈধভাবে কাটার অভিযোগে আজমির হোসেন (৩৭) নামের এক ব্যক্তিকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। আজমির কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলী গ্রামের শাহজাহান মজুমদারের ছেলে। তবে তিনি বেলতলী এলাকায় উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শিশু হাসপাতালের ফটকের পাশে একটি দোচালা টিনের ঘরের একাংশে থাকেন, অন্য অংশে চা-বিস্কুট বিক্রি করতেন।
১২ নভেম্বর সরেজমিনে গাছ কাটার প্রমাণ পায় প্রথম আলো। তখন বিষয়টি সওজ বিভাগের নজরে আনা হয়। এ নিয়ে গত শুক্রবার প্রথম আলোর ছাপা পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরদিন শনিবার প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘আবর্জনার মতো লাগে’, তাই বিভাজকের অর্ধশত বকুলগাছ কাটলেন তিনি’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে গত শনিবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এ ঘটনায় মামলা করেন কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের কার্যসহকারী রুহুল আমিন। ওই রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত আজমির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বেলতলী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভাজকে থাকা বকুল গাছগুলো হত্যা করা হয়। কোথাও আগুনে পোড়া গাছগুলো দাঁড়িয়ে ছিল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মায় নৌকা ডুবে দুজনের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদী পার হওয়ার সময় নৌকা ডুবে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। দুজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৯টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন—ভেড়ামারা উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে আব্দুর রশিদ (৬০) এবং একই গ্রামের মৃত শরাফত হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন (২৭)। আহতরা হলেন— ইসলামপুর গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪০) ও মৃত পলানের ছেলে মো. ইউসুফ (৩৬)।
শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার সকালে আব্দুর রশিদ ও মামুনের জমিতে আখ লাগানোর জন্য রওনা হই। জমি নদীর অপর প্রান্তে হওয়ায় নৌকায় করে চারজন নদী পার হচ্ছিলাম। কিছু দূর যাওয়ার পর হঠাৎ ডোঙ্গা সামান্য কাত হয়ে পানি উঠতে থাকে। তারপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই ডুবে যায়। সবাই সাঁতরে বাঁচার চেষ্টা করতে থাকি। হঠাৎ আমি পায়ের নিচে মাটির স্পর্শ অনুভব করি এবং কোনোরকমে কিনারায় উঠে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
প্রত্যক্ষদর্শী ইমরান হোসেন বলেছেন, আমরাও নদী পার হওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলাম। ওদের পরেই আমরা যাব। কিন্তু, ওরা কিছুদূর যেতেই ছোট নৌকাটা হঠাৎ দুলতে দুলতে কাত হয়ে ডুবে যায়। আমিসহ কয়েকজন দ্রুত ঝাঁপ দিয়ে মামুন ও রশিদ চাচাকে উদ্ধার করি। মামুন ও রশিদ চাচাসহ দুজনের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম রনি বলেছেন, দুর্ঘটনার খবর শোনার সাথে সাথে সেখানে উপস্থিত হই। খুব মর্মান্তিক ঘটনা। একইসঙ্গে একই গ্রামের দুজনের মৃত্যুতে এলাকায় গভীর শোক বিরাজ করছে।
ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুর রব তালুকদার বলেন, পদ্মা নদী থেকে আব্দুর রশিদ ও মামুন হোসেনকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক