সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের বড় উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে।
তবে, কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক পতনের ফলে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪ হাজার ৮০০ পয়েন্টের ঘরে নেমেছে।
আরো পড়ুন:
‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত আফতাব অটোমোবাইলস
সাফকো স্পিনিংয়ের এজিএমের তারিখ পরিবর্তন
আগের কার্যদিবসের চেয়ে মঙ্গলবার ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও সিএসইতে কমেছে। তবে পুঁজিবাজারে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, অনেক দিন ধরে পুঁজিবাজারে লেনদেনের শুরুতে সূচকের উত্থান দেখা গেলেও লেনদেন শেষে তা পতনে রূপ নেয়। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ডিএসইএক্স সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। লেনদেন হওয়ার আগ পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে জানা গেছে, দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৭১.
এদিন ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১৭.২৪ পয়েন্ট বেড়ে ১০১৭ পয়েন্টে এবং ডিএস৩০ সূচক ১৯.৮৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে মোট ৩৭৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ৩২০টি কোম্পানির, কমেছে ৩৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯টির।
এদিন ডিএসইতে মোট ৪৭৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৪৮ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮৪.৯৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৩৭২ পয়েন্টে। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৫৭.৯৫ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ৫২৬ পয়েন্টে, শরিয়াহ সূচক ৯.১৬ পয়েন্ট বেড়ে ৮৫৪ পয়েন্টে এবং সিএসই ৩০ সূচক ৯০.৪০ পয়েন্ট বেড়ে ১২ হাজার ২১০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সিএসইতে মোট ১৭০টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে ১৪০টি কোম্পানির, কমেছে ১৬টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪টির।
সিএসইতে ১১ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ১৪ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট।
ঢাকা/এনটি/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল খ ট ক র শ য় র ও ইউন ট স এসই ড এসই
এছাড়াও পড়ুন:
প্রথম প্রান্তিকে ইউনিক হোটেল ও ইফাদ অটোসের মুনাফায় বড় উত্থান
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস পিএলসি ও ইফাদ অটোস পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচ্য প্রান্তিকে আগের হিসাববছরের তুলনায় কোম্পানি দুটির শেয়ারপ্রতি মুনাফায় (ইপিএস) বড় উত্থান হয়েছে।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের উত্থান, সিএসইতে পতন
বেক্সিমকো সিকিউরিটিজের সনদ নবায়ন বাতিল
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) কোম্পানি দুটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ বছরের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
ইউনিক হোটেল: ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১.৩৬ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা ছিল ০.৪৪ টাকা। সে হিসেবে আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ১.৮০ টাকা বা ৪০৯ শতাংশ।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ইউনিক হোটেলের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৯৪.৯৭ টাকায়।
ইফাদ অটোস: ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রথম প্রান্তিকে এ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ০.০৯ টাকা। আগের হিসাববছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান ছিল (০.২১) টাকা। সে হিসেবে কোম্পানিটি আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান থেকে মুনাফায় ফিরেছে।
২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে ইফাদ অটোসের শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৫.৬৬ টাকায়।
ঢাকা/এনটি/রফিক