বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
Published: 16th, October 2025 GMT
ম্যাচটা জেতার যে খুব বেশি সুযোগ নেই, তা হয়তো অনুমান করেছিল বাংলাদেশ নারী দলও। বিশাখাপট্টনমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে আজ দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার মারুফা আক্তার ও নাহিদা আক্তারকে তারা রেখেছিল বিশ্রামে। বিশ্বকাপে আরও দুটি ম্যাচ বাকি, তার আগে চোট–আঘাত এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত।
অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের সঙ্গে বাংলাদেশ নারী দলের তফাতটা স্পষ্ট হয়েছে ম্যাচের ফলেও। পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১৯৮ রান করে বাংলাদেশ নারী দল ২৪.
বড় হারেও সান্ত্বনা বলতে যদি কিছু থেকে থাকে, সেটি ব্যাটিংয়েই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডেতে আজই সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল, ব্যাট হাতে ফিফটি পেয়েছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ফিফটি (৬০) করা সোবহানা মোস্তারি। তবে দুই প্রাপ্তির পেছনেই অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডারদের একের পর এক ক্যাচ ছাড়ার ভূমিকা অনেক।
পরপর দুই বলে দুবার জীবন পাওয়া সোবহানা ৮০ বলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করে অপরাজিত থেকেছেন। তিনি ছাড়া আর একজন ব্যাটারই ২০–এর বেশি রান করতে পেরেছেন। তবে ৫৯ বলে ৪৪ রান করা ওপেনার রুবাইয়া হায়দারও জীবন পেয়েছেন দুবার। অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতায়, বলা ভালো ‘জীবন’ না পাওয়ায় দলের রানটা আর বেশি দূর এগোয়নি।
এই সংগ্রহ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করাটা কঠিনই হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের জন্য। এর মধ্যে আবার নেই নাহিদা ও মারুফা। তাঁদের ছাড়া বাংলাদেশ লড়াইটা করতেও পারেনি। অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছেন তাদের দুই ওপেনারই।
ভারতের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে রেকর্ড রান তাড়া করেছিলেন এলিসা হিলি। বাংলাদেশের বিপক্ষেও তিনি ছুঁয়েছেন তিন অঙ্ক। একবার অবশ্য তাঁকে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ নারী দল। কিন্তু স্বর্ণা আক্তারের বলে তাঁর সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন ফারজানা হক।
৭৭ বলের ইনিংসে ২০ চারে অপরাজিত ১১৩ রান করে হিলি আর ৭২ বলে অপরাজিত ৮৪ রান করে ফিবি লিচফিল্ড অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। ম্যাচটা জিতে সেমিফাইনালে খেলাও নিশ্চিত হয়ে গেছে অজি মেয়েদের।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
আগারকারের ওপর শামি কেন ক্ষুব্ধ
ভারতের জার্সিতে মোহাম্মদ শামির অধ্যায় কি শেষ? ৩৫ বছর বয়সী এই পেসার অনেক দিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে। অস্ট্রেলিয়া সফরের স্কোয়াডেও তাঁকে রাখেননি ভারতীয় নির্বাচকেরা।
ঠিক কী কারণে শামিকে দলে নেওয়া হচ্ছে না, এর জুতসই ব্যাখ্যা দিতে পারেননি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকার। শামি চোটে ভুগছেন কি না, এ নিয়েও ‘কোনো আপডেট নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন আগারকার। এরপর আগারকারকে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন শামি।
চোট শামিকে লম্বা সময় ভুগিয়েছে। ২০২৩ সালের নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের পর এক বছরের বেশি সময় ভারতের হয়ে খেলতে পারেননি। বিশ্বকাপের পর অ্যাঙ্কেলের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন। ভুগেছেন হাঁটুর সমস্যাতেও।
শামি দলে ফিরেছিলেন এ বছরের জানুয়ারিতে, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড সিরিজে। এরপর ভারতের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দলেও ছিলেন। সেখানে ৫ ম্যাচে নেন ৯ উইকেট, যা যৌথভাবে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর পর থেকে শামিকে আর বিবেচনা করছেন না নির্বাচকেরা।
তাহলে কি শামি আবারও চোটে ভুগছেন? না, সেটাও না। শামি এরপর আইপিএল খেলেছেন। আগস্টে দুলীপ ট্রফিতে চার দিনের ম্যাচে খেলেছেন। এখন খেলছেন রঞ্জি ট্রফিতেও।
দলে সুযোগ পাচ্ছেন না ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি