Prothomalo:
2025-10-17@10:40:53 GMT

ডিমের দাম ডজনে বাড়ল ১০ টাকা

Published: 17th, October 2025 GMT

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম ডজনে ১০ টাকা বেড়েছে। এ ছাড়া আগের মতোই চড়া রয়েছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। আর ব্যবসায়ীদের ঘোষিত বাড়তি দামের ভোজ্যতেল বাজারে বিক্রি হতে দেখা যায়নি।

খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সব ধরনের সবজি ও মাছের দাম তুলনামূলক বেশি। এ কারণে ডিমের চাহিদা বেড়েছে। তাই দাম কিছুটা বাড়তি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার ও কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, গতকাল ঢাকার বাজারে ফার্মের মুরগির এক ডজন (১২টি) বাদামি ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এই দাম সপ্তাহখানেক আগে ১০ টাকা কম ছিল; অর্থাৎ ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অবশ্য ফার্মের মুরগির সাদা ডিমের দাম ডজনে ৫ টাকা কম রয়েছে। অবশ্য বাজারে মুরগি আগের দরেই রয়েছে। গতকাল বাজারে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা ও সোনালি মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

গতকাল বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীদের ঘোষিত নতুন দরের সয়াবিন বাজারে আসেনি। প্রতি লিটার ১৮৯ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী আমানত উল্লাহ বলেন, গত দু-তিন সপ্তাহে বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। এ কারণে ডিমের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে দাম কিছুটা বেড়েছে। তিন-চার দিনের মধ্যে দাম ঠিক হয়ে আসবে।

গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ছয় টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো। তাতে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হতো ১৯৫ টাকা। কিন্তু দাম বাড়ার বিষয়ে এখনো অনুমোদন দেয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীদের ঘোষিত নতুন দরের সয়াবিন বাজারে আসেনি। প্রতি লিটার ১৮৯ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মাছের দাম আগের কয়েক সপ্তাহের মতোই চড়া রয়েছে। চালের দামেও কোনো পরিবর্তন নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের মধ্যে ডায়মন্ড, মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৮০ টাকা, রসিদ ৭২ টাকা ও মোজাম্মেল মিনিকেট ৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

কমেনি সবজির দাম

দুই সপ্তাহ আগে বৃষ্টির কারণে হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম অনেকটা বেড়েছিল। তখন খুচরা দোকানে এক কেজি মরিচের দাম ৪০০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এখন সেই দাম কমেছে। গতকাল বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ১৮০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় এ দাম আরও কিছুটা বেশি।

মরিচের দাম কমলেও চড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। এখন মূলত সবজি নিয়েই সাধারণ ক্রেতাদের উদ্বেগ বেশি। কারণ, বেশির ভাগ সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। কিছু সবজির দাম শতক ছাড়িয়েছে। সাধারণত বছরের এ সময়ে শীতের আগাম কিছু সবজি বাজারে আসে। কিন্তু এ বছর সেটি হয়নি। এর কারণও অবশ্য বৃষ্টি।

বাজারে মাছের দাম আগের কয়েক সপ্তাহের মতোই চড়া রয়েছে। চালের দামেও কোনো পরিবর্তন নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মিনিকেট চালের মধ্যে ডায়মন্ড, মঞ্জুর ও সাগর ব্র্যান্ডের মিনিকেট চাল ৮০ টাকা, রসিদ ৭২ টাকা ও মোজাম্মেল মিনিকেট ৮৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।

সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেগুন ও টমেটোর। এর মধ্যে ১০০ টাকার নিচে কোনো বেগুন কেনা যায় না। আকার ও ধরনভেদে প্রতি কেজি বেগুন ১০০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশে এখন টমেটো উৎপাদন হয় না; ভারত থেকে আমদানি করা টমেটো বাজারে পাওয়া যায়। এগুলোর দাম বেশি; কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।

করলা, কাঁকরোল, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, লতি—এই সবজিগুলোর দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আর পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, লাউয়ের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। তবে সবজির মান খুব ভালো অর্থাৎ টাটকা হলে অনেক বিক্রেতা আরও বেশি দাম রাখেন। অবশ্য ৪০ টাকায় এক কেজি মিষ্টিকুমড়া ও ৩০ টাকায় পেঁপে কিনে কেউ কেউ সান্ত্বনা নিতে পারেন। কারণ, এগুলোর দামই একটু কম রয়েছে। কম রয়েছে আলুর দামও। এক কেজি কেনা যায় ২০-২২ টাকায়। পেঁয়াজের ৭৫-৮০ টাকায় স্থিতিশীল আছে।

গতকাল মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে সবজির দোকানে কথা হয় ক্রেতা মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সবজির দাম তো অনেক বেশি। তার থেকেও বড় বিষয়, সবজি যেন একদরের পণ্য হয়ে গেছে। বাজারের সব দোকানেই অনেকটা একই দাম। দরাদরির তেমন সুযোগ নেই। আগে এমনটা ছিল না।

করলা, কাঁকরোল, বরবটি, ঢ্যাঁড়স, লতি—এই সবজিগুলোর দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা। আর পটোল, ঝিঙে, চিচিঙ্গা, ধুন্দুল, লাউয়ের কেজি ৬০ থেকে ৮০ টাকা। তবে সবজির মান খুব ভালো অর্থাৎ টাটকা হলে অনেক বিক্রেতা আরও বেশি দাম রাখেন।.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গতক ল ব জ র সবজ র দ ম ৮০ ট ক এক ক জ ৮০ থ ক র ম রগ ব যবস অবশ য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু

জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান মঞ্চে এসেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

উপস্থিত হয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা। যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা।

বিস্তারিত আসছে..

ঢাকা/আসাদ/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ