মৌলভীবাজারের জুড়ী-বড়লেখা সড়কের বড়লেখা উপজেলার পশ্চিম হাতলিয়া এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি বড় বটগাছের মরা ডাল ভেঙে সড়কের ওপর পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হননি; কিছু সময়ের জন্য ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গাছ কেটে সড়ক থেকে সরিয়ে নেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, জুড়ী উপজেলা সদর থেকে বড়লেখার দক্ষিণভাগ বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটার এলাকায় সড়কের দুই পাশে অন্তত ৪০টি মরা গাছ দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বন বিভাগের অনুমোদন প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতার কারণে এসব গাছ অপসারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ বিষয়ে গত ৬ জুন প্রথম আলোর ছাপা সংস্করণে ‘রাস্তার পাশে ৪০টি মরা গাছ যেন মৃত্যুফাঁদ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পশ্চিম হাতলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বড় আকারের বটগাছটির উপরিভাগ বেশ আগে থেকেই পচে মরে গিয়েছিল। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে গাছটির মরা ডাল সড়কের ওপর পড়ে যায়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে এলাকার ১০-১৫ জন যুবক দা ও কুড়াল নিয়ে গিয়ে গাছ কাটার কাজ শুরু করেন। একপর্যায়ে বড়লেখা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। প্রায় ২০ মিনিট পর সড়ক পরিষ্কার হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

গতকাল রাত আটটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় বাসিন্দা ভাস্কর নাথ, আবদুল মজিদসহ আরও কয়েকজন যুবক সেখানে উপস্থিত। তাঁরা বলেন, পশ্চিম হাতলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় সড়কের পাশে বেশ কয়েকটি মরা গাছ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত এগুলো অপসারণ না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তাঁরা আরও জানান, দুই-তিন বছর আগেও একইভাবে একটি মরা গাছ ভেঙে চলন্ত যাত্রীবাহী অটোরিকশার ওপর পড়ে। তখন যাত্রীরা অল্পের জন্য রক্ষা পেলেও গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের এই অংশ দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয় ও দূরপাল্লার বাসসহ নানা ধরনের যানবাহন চলাচল করে। এ সড়ক দিয়েই বড়লেখার মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকেরা যাতায়াত করেন।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কুলাউড়া সড়ক উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আল আমিন বলেন, ‘দু-তিন মাস আগে আমরা জরিপ চালিয়ে ওই সড়কসহ জেলার বিভিন্ন সড়কের পাশে থাকা ৬০০টি মরা গাছ ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। গাছগুলো কর্তনের অনুমতি চেয়ে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু অনুমোদন প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার কারণে এখনো তা সম্ভব হয়নি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর আজ শুক্রবার বলেন, একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ জানুয়ারি হাইকোর্টে গাছ কর্তনের বিষয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের বন অধিশাখা থেকে এসব কমিটি গঠনের কথা থাকলেও এখনো তা হয়নি। ফলে গাছ কর্তনের অনুমোদন বিষয়টি ঝুলে আছে। আপত্কালীন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ কোনো গাছ কেটে আপাতত কারও জিম্মায় রাখতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র অন ম সড়ক র বড়ল খ

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাপ্তবয়স্কদের এই নতুন বাংলা সিনেমায় আসলে কী আছে

চলচ্চিত্র পরিচালকেরা বরাবরই বলে থাকেন, ‘সপরিবার ছবিটি দেখতে আসুন।’ তবে ‘দ্য একাডেমি অব ফাইন আর্টস’ নির্মাতা জয়ব্রত দাশ বলছেন, ‘ছবিটি সপরিবার দেখবেন না’; সিনেমার পোস্টারেও বিধিসম্মত সতর্কীকরণটি জুড়ে দিয়েছেন তিনি।

৫টি কিংবা ১০টি নয়, ৫৪টি দৃশ্য বদলের পর সিনেমাটিকে ‘অ্যাডাল্ট’ সনদ দিয়েছে সার্টিফেকেশন বোর্ড। সাম্প্রতিককালে এতগুলো দৃশ্য বদলের পরও ‘অ্যাডাল্ট’ সনদ পাওয়ার ঘটনা কলকাতার সিনেমায় দেখা যায়নি।

সিনেমার পোস্টার

সম্পর্কিত নিবন্ধ