পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন ফরাসি প্রধানমন্ত্রী
Published: 17th, October 2025 GMT
ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী সেবাস্তিয়ান লেকর্নু গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির পার্লামেন্টে হওয়া দুটি অনাস্থা ভোটে টিকে গেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁর নেওয়া বিতর্কিত পেনশন সংস্কার উদ্যোগ স্থগিত রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় সোশ্যালিস্ট পার্টির কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন।
লেকর্নুর বিরুদ্ধে কট্টর বামপন্থী দল ফ্রান্স আনবোড ও উগ্র ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালি (আরএন) আলাদা করে পার্লামেন্টে দুটি অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল। এ দুই প্রস্তাবের বিষয়ে গতকাল ভোটাভুটি হয়। ফ্রান্স আনবোড মাত্র ২৭১ ও ন্যাশনাল র্যালি মাত্র ১৪৪ ভোট পেয়েছে, যা লেকর্নুর সদ্য গঠিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভোটের চেয়ে কম। লেকর্নুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ২৮৯ ভোট প্রয়োজন ছিল।
লেকর্নু পেনশন সংস্কার কর্মসূচি ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পর্যন্ত স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন। আর এটাই পার্লামেন্টে সোশ্যালিস্টদের মত পরিবর্তনে সহায়ক হয়েছে এবং গভীরভাবে বিভক্ত পার্লামেন্টে তোলা অনাস্থা ভোটে লেকর্নু টিকে গেছেন।
পার্লামেন্টে বিভিন্ন দলের ২৬৫ জন আইনপ্রণেতা আগেই বলেছিলেন, তাঁরা লেকর্নুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য ভোট দেবেন।
আরও পড়ুনপদত্যাগের চার দিন পর আবার লেকর্নু ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী ১১ অক্টোবর ২০২৫লেকর্নু যদি অনাস্থা ভোটে হেরে যেতেন, তবে তাঁকে এবং তাঁর মন্ত্রিপরিষদকে সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করতে হতো। তখন আগাম নির্বাচনের ডাক দেওয়ার জন্য মাখোঁর ওপর বড় ধরনের চাপ তৈরি হতো এবং ফ্রান্স গভীর সংকটে পড়ে যেতো।
তবে বৃহস্পতিবারের ভোটের ফলাফলের পরও লেকর্নুর জন্য চ্যালেঞ্জ থেকে যাচ্ছে। ২০২৬ সালের জন্য বাজেট পাস করার বিষয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরে পার্লামেন্টে আলোচনা হবে। সে সময় যেকোনো মুহূর্তে তিনি উৎখাত হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন স থ ল কর ন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় ১১ রোহিঙ্গা আটক
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের রবিউল ইসলাম (২৪), রাজিয়া বেগম (২১) ও তাঁদের আড়াই বছর বয়সী শিশু, একই ক্যাম্পের শফিউল্লাহ (১৮), নুরনবী (১৫), বালুখালী ক্যাম্পের আমিনা বেগম (৩৫), আব্দুল আজিজ (১৫), ইমান আলী ওরফে ইসমাইল আজাদ (৪৮) এবং ৯, ৭ ও ৬ বছর বয়সী তিনটি শিশু।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সকাল ছয়টার দিকে সোনাহাট-কচাকাটা সড়কের পাশে ঘোরাঘুরি করার সময় তাঁদের আটক করা হয়। পরে সোনাহাট বিজিবি ক্যাম্পের টহল দল তাঁদের হেফাজতে নেয়।
বিজিবি সূত্র আরও জানায়, প্রায় আট বছর আগে তাঁরা কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী ক্যাম্প থেকে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানকার হায়দরাবাদের কাঞ্চনবাগ এলাকায় তাঁরা অবস্থান করছিলেন। তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যরা এখনো কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আছেন।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, ‘শুক্রবার সকালে বিজিবি ১১ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। তাঁরা কক্সবাজার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছিলেন। তথ্য যাচাই-বাছাই শেষ করে আবারও তাঁদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’