প্রথম যেকোনো কিছুই আনন্দের। যা গর্ব করায়। স্বস্তি এনে দেয়। পরিশ্রমের পর কাঙ্খিত ফল পেলে আনন্দের মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। রিশাদ হোসেনের ক্ষেত্রেও এমন কিছু হওয়ার কথা। 

৬ উইকেট নিয়ে রেকর্ডের পাতায় নিজের নাম তুলেছেন রিশাদ। বাংলাদেশের প্রথম স্পিনার হিসেবে পেয়েছেন ৬ উইকেট। শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর শের-ই-বাংলায় এই কীর্তি গড়েছেন। তার রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭৪ রানের বিশাল ব‌্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। 

এই জয় বাংলাদেশের জন‌্য অনেক আরাধ‌্য। আফগানিস্তানের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশের পর ওয়ানডে ক্রিকেটে এই জয় বেশ প্রয়োজন ছিল। বাংলাদেশের জয়ের নায়ক রিশাদের নিজের অর্জনের চেয়ে দলের জয়টাকেই বড় করে দেখছেন। তার স্বস্তি, আনন্দ সবটাই দলের সাফল‌্যকে ঘিরে। 

‘‘হ্যাঁ অবশ্যই (দলের জয়ে অবদান)। খেলোয়াড় হিসেবে তিন দিক থেকে চেষ্টা করাটাই ভালো আমার মনে হয়। আমি চেষ্টা করি তিন দিক থেকে যেকোনো এক দিক তো আল্লাহ দেবে ইনশাল্লাহ। আমি চেষ্টা করি নিজের ১০০% না, ১১০% দেওয়ার চেষ্টা করি।’’ 

তবে ২০৭ রান নিয়েও দলের ভেতরে জয়ের বিশ্বাস ছিল এমনটাই জানিয়েছেন রিশাদ, ‘‘আমাদের যে ১১ জন ছিলাম, সবার বিশ্বাস ছিল যে আমরা শেষ বল পর্যন্ত আমরা লড়াই করে যাব। ফলাফল নিয়ে আমরা কোনো চিন্তাই করছিলাম না। আমরা শুধু চেষ্টা করছি যে আমরা কীভাবে লড়াই করব এবং আমাদের প্রক্রিয়ায় থাকব।’’ 

শুরুতে রিশাদের একটু সমস‌্যা হচ্ছিল। কিন্তু ছন্দ এবং জায়গামতো বল ফেলার পর তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। নিয়মিত গুগলির সঙ্গে তার বলগুলো ছোবল দিচ্ছিল। যা ক‌্যারিবীয় ব‌্যাটসম‌্যানদের খেলতে প্রচন্ড সমস‌্যা হচ্ছিল। ফ্রন্টফুটে খেলতে এসে উইকেটের পেছনেই বেশিরভাগ সময় আটকে যাচ্ছিলেন তারা। বোলিং নিয়ে তার সহজ মূল‌্যায়ন, ‘‘এটা আমি বুঝি যে আমার জন্য দলের কী দরকার। আমি চেষ্টা করি যে আমি একটু ভালো করলে দলের এটা ভালো হবে।’’ 

নির্দিষ্ট কোনো উইকেট নয়, রিশাদের কাছে ৬টি উইকেটই স্পেশাল, ‘‘আমার কাছে মনে হয় ৬টাই (স্পেশাল)। কারণ ৬টা না হলে তো ৬টা হতো না। যেকোনো উইকেটে জেতানোটা আসল মনে হয় আমার কাছে।’’ 

বোলিংয়ে ৬ উইকেট নেওয়ার আগে রিশাদ ব‌্যাটিংয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ১৩ বলে ২৬ রান করেন ১ চার ও ২ ছক্কায়। তাতে স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশের পুঁজি কোনোমতে দুইশ ছাড়িয়ে যায়। ব‌্যাটিং নিয়ে রিশাদের ভাষ‌্য, ‘‘যে জায়গায় নেমেছি, আমার ভূমিকাটা হচ্ছে, কীভাবে একটু বাড়তি রান করা যায় যা টিমের জন্য ভালো হয়। যে জায়গায় ১৮০ সেখানে যদি ২১০-১৫ করা যায়, তা আমার জন্য ভালো। আমি এটাই চেষ্টা করেছি।’’ 

ঢাকা/ইয়াসিন

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৬ উইক ট আনন দ

এছাড়াও পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ৩০ জনকে ঠেলে পাঠল বিএসএফ

মেহেরপুরের গাংনী সীমান্ত দিয়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৩০ জনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ভোরে তাদের বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়। বর্ডার গার্ড বিজিবি তাদের আটক করেছে।

বিজিবি সূত্রে জানায়, তেঁতুলবাড়িয়া বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমানারেখার ১৪০/৬ এস পিলারের আনুমানিক ১০০ গজ ভেতরে ৩০ জন বাংলাদেশিকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। এসব ব্যক্তি দালালের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় ভারতে গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে, দেশটির পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাগারে ছিলেন  তারা। ঠেলে পাঠানোদের মধ্যে ১৬ জন পুরুষ, ১০ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে।

আরো পড়ুন:

ভারত গিয়ে নিখোঁজ ২ বাংলাদেশি

উখিয়ায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বনি ইসরাইল বলেন, “আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঠেলে পাঠানো বাংলাদেশি নাগরিকদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”

ঢাকা/ফারুক/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ