ঘণ্টায় ১০০ মাইল—শোয়েব আখতারের রেকর্ড গড়া সেই দ্রুততম বলের গল্প
Published: 19th, October 2025 GMT
লম্বা দৌড় শেষে ব্যাটসম্যানের দিকে তেড়েফুঁড়ে বল ছুড়ে মারা—এই ছিল মাঠের শোয়েব আখতারের চেনা চেহারা। ১৯৯৭ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে দলে অভিষেক, খেলেছেন ২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’কে অনেক কারণেই ক্রিকেট মনে রাখবে, যার মধ্যে একটা—তিনিই ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম বোলার এবং অফিশিয়ালি ১০০ মাইলের বেশি গতিতে বল করা একমাত্র বোলারও। আত্মজীবনী ‘কন্ট্রোভার্শিয়ালি ইয়োরস’-এ শোয়েব লিখেছেন সেই রেকর্ডের জন্য তাঁর প্রস্তুতি এবং শেষ পর্যন্ত সেই বলটা করার গল্প।কী লিখেছেন শোয়েব আখতার
২০০০ সাল। আমি তখন অস্ট্রেলিয়ায়। আমার এক সাংবাদিক বন্ধু আমার বহুদিনের একটা ইচ্ছা পূরণ করে দিলেন। তিনি জেফ টমসনের (কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার) সঙ্গে আমার একটা সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিলেন।
তাঁকে আমি সব সময় বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন মনে করি। ১৯৭৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক টেস্টে তাঁর ঘণ্টায় ৯৯.
টমসন তখন ব্রিসবেনে পরিবারসহ থাকতেন। তিনি আমাকে চায়ের দাওয়াত দিলেন। দেখা করতে গেলাম। আমাকে দারুণ আন্তরিকভাবে বরণ করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আলাপ চলে গেল ক্রিকেটে। কিংবদন্তি সেই বোলার মুচকি হেসে বললেন, ‘তাহলে কি আমার রেকর্ড ভাঙার চিন্তা করছ?’
আমি হেসে বললাম, ‘ওটা ভাঙতেই হবে, এই ভেবে চাপ নিচ্ছি না। তবে যেদিন শরীর একদম ফুরফুরে লাগবে, সেদিন ভেঙে দেব!’
ওটা ভাঙার আসলে খুব চাপ ছিল না। তবে বিশ্বের দ্রুততম বোলার হিসেবে পরিচিত হতে আমি মরিয়া ছিলাম। ক্যারিয়ারের শুরুতেই মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলাম—এই পরিচয়টাই চাই। পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচ জেতানোর মতো বোলার আমি তত দিনে হয়ে গেছি, কিন্তু আমি আরও বেশি কিছু চাচ্ছিলাম।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে শোয়েবউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
সখীপুরে স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
টাঙ্গাইলের সখীপুরে জিহাদ (১০) নামের এক স্কুলছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, তুচ্ছ ঘটনায় মায়ের বকুনি খেয়ে অভিমানে সে আত্মহত্যা করেছে।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সখীপুর উপজেলার বেতুয়া গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে জিহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
জিহাদ ওই এলাকার প্রবাসী আনিস মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত।
জিহাদের চাচাত ভাই জনি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর বাড়িতে একই বয়সের চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে জিহাদের ঝগড়া হয়। এতে রাগ করে জিহাদের মা তাকে বকাঝকা করেন। এরপর সে দৌড়ে নিজের ঘরে যায়। রাত ৮টার দিকে ওই ঘরে ঢুকে জিহাদকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, জিহাদের মা বিলাপ করছেন। স্বজনরা তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
আরিফুর রহমান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি আক্ষেপ করে বলেন, “ঘটনাটি মর্মান্তিক। এটি বর্তমান সময়ে যারা বাবা-মা আছেন, তাদের জন্য শিক্ষণীয়। শিশুর প্রতি কেমন আচরণ করতে হবে, এ বিষয়ে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।”
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশকে তা জানানো হয়েছে।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা বলেছেন, মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরিবারের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা/কাওছার/রফিক