লম্বা দৌড় শেষে ব্যাটসম্যানের দিকে তেড়েফুঁড়ে বল ছুড়ে মারা—এই ছিল মাঠের শোয়েব আখতারের চেনা চেহারা। ১৯৯৭ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে দলে অভিষেক, খেলেছেন ২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’কে অনেক কারণেই ক্রিকেট মনে রাখবে, যার মধ্যে একটা—তিনিই ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম বোলার এবং অফিশিয়ালি ১০০ মাইলের বেশি গতিতে বল করা একমাত্র বোলারও। আত্মজীবনী ‘কন্ট্রোভার্শিয়ালি ইয়োরস’-এ শোয়েব লিখেছেন সেই রেকর্ডের জন্য তাঁর প্রস্তুতি এবং শেষ পর্যন্ত সেই বলটা করার গল্প।কী লিখেছেন শোয়েব আখতার

২০০০ সাল। আমি তখন অস্ট্রেলিয়ায়। আমার এক সাংবাদিক বন্ধু আমার বহুদিনের একটা ইচ্ছা পূরণ করে দিলেন। তিনি জেফ টমসনের (কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার) সঙ্গে আমার একটা সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিলেন।

তাঁকে আমি সব সময় বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন মনে করি। ১৯৭৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক টেস্টে তাঁর ঘণ্টায় ৯৯.

৭ মাইল গতিতে বলের রেকর্ডটাই আমি ভাঙতে চেয়েছিলাম।

টমসন তখন ব্রিসবেনে পরিবারসহ থাকতেন। তিনি আমাকে চায়ের দাওয়াত দিলেন। দেখা করতে গেলাম। আমাকে দারুণ আন্তরিকভাবে বরণ করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আলাপ চলে গেল ক্রিকেটে। কিংবদন্তি সেই বোলার মুচকি হেসে বললেন, ‘তাহলে কি আমার রেকর্ড ভাঙার চিন্তা করছ?’
আমি হেসে বললাম, ‘ওটা ভাঙতেই হবে, এই ভেবে চাপ নিচ্ছি না। তবে যেদিন শরীর একদম ফুরফুরে লাগবে, সেদিন ভেঙে দেব!’

আরও পড়ুনপাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে মারামারি, রাজনীতি এবং রক্ত দিয়ে লেখা প্রেমপত্র১৩ এপ্রিল ২০২৫

ওটা ভাঙার আসলে খুব চাপ ছিল না। তবে বিশ্বের দ্রুততম বোলার হিসেবে পরিচিত হতে আমি মরিয়া ছিলাম। ক্যারিয়ারের শুরুতেই মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলাম—এই পরিচয়টাই চাই। পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচ জেতানোর মতো বোলার আমি তত দিনে হয়ে গেছি, কিন্তু আমি আরও বেশি কিছু চাচ্ছিলাম।

১৯৯৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে শোয়েব

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

ঘণ্টায় ১০০ মাইল—শোয়েব আখতারের রেকর্ড গড়া সেই দ্রুততম বলের গল্প

লম্বা দৌড় শেষে ব্যাটসম্যানের দিকে তেড়েফুঁড়ে বল ছুড়ে মারা—এই ছিল মাঠের শোয়েব আখতারের চেনা চেহারা। ১৯৯৭ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে দলে অভিষেক, খেলেছেন ২০১১ বিশ্বকাপ পর্যন্ত। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’কে অনেক কারণেই ক্রিকেট মনে রাখবে, যার মধ্যে একটা—তিনিই ক্রিকেট ইতিহাসের দ্রুততম বোলার এবং অফিশিয়ালি ১০০ মাইলের বেশি গতিতে বল করা একমাত্র বোলারও। আত্মজীবনী ‘কন্ট্রোভার্শিয়ালি ইয়োরস’-এ শোয়েব লিখেছেন সেই রেকর্ডের জন্য তাঁর প্রস্তুতি এবং শেষ পর্যন্ত সেই বলটা করার গল্প।কী লিখেছেন শোয়েব আখতার

২০০০ সাল। আমি তখন অস্ট্রেলিয়ায়। আমার এক সাংবাদিক বন্ধু আমার বহুদিনের একটা ইচ্ছা পূরণ করে দিলেন। তিনি জেফ টমসনের (কিংবদন্তি অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার) সঙ্গে আমার একটা সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দিলেন।

তাঁকে আমি সব সময় বিশ্বের সেরা ফাস্ট বোলারদের একজন মনে করি। ১৯৭৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক টেস্টে তাঁর ঘণ্টায় ৯৯.৭ মাইল গতিতে বলের রেকর্ডটাই আমি ভাঙতে চেয়েছিলাম।

টমসন তখন ব্রিসবেনে পরিবারসহ থাকতেন। তিনি আমাকে চায়ের দাওয়াত দিলেন। দেখা করতে গেলাম। আমাকে দারুণ আন্তরিকভাবে বরণ করলেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আলাপ চলে গেল ক্রিকেটে। কিংবদন্তি সেই বোলার মুচকি হেসে বললেন, ‘তাহলে কি আমার রেকর্ড ভাঙার চিন্তা করছ?’
আমি হেসে বললাম, ‘ওটা ভাঙতেই হবে, এই ভেবে চাপ নিচ্ছি না। তবে যেদিন শরীর একদম ফুরফুরে লাগবে, সেদিন ভেঙে দেব!’

আরও পড়ুনপাকিস্তানের ড্রেসিংরুমে মারামারি, রাজনীতি এবং রক্ত দিয়ে লেখা প্রেমপত্র১৩ এপ্রিল ২০২৫

ওটা ভাঙার আসলে খুব চাপ ছিল না। তবে বিশ্বের দ্রুততম বোলার হিসেবে পরিচিত হতে আমি মরিয়া ছিলাম। ক্যারিয়ারের শুরুতেই মনে মনে ঠিক করে নিয়েছিলাম—এই পরিচয়টাই চাই। পাকিস্তানের হয়ে ম্যাচ জেতানোর মতো বোলার আমি তত দিনে হয়ে গেছি, কিন্তু আমি আরও বেশি কিছু চাচ্ছিলাম।

১৯৯৯ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে শোয়েব

সম্পর্কিত নিবন্ধ