গরম বেড়েছে, এমন অবস্থা কত দিন, জানাল আবহাওয়া অফিস
Published: 19th, October 2025 GMT
দিনে গরম, রাতে তাপমাত্রা কমে ঠান্ডা আবহাওয়া। হেমন্তের শুরুতে এমন অবস্থা, বিশেষ করে দেশের উত্তর প্রান্তে। রাজধানীতেও সপ্তাহখানেক আগে তাপমাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছিল, কিন্তু বৃষ্টি কমে আসার পর তাপ বাড়তে শুরু করেছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীতে তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সিলেটে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, তাপমাত্রা এভাবে আরও বাড়তে পারে সপ্তাহজুড়ে। তবে এরই মধ্যে সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানা গেছে। এটি নিম্নচাপেও পরিণত হতে পারে। তাতে বৃষ্টি বাড়তে পারে, কমতে পারে তাপমাত্রা। তবে এর জন্য অন্তত সপ্তাহখানেকের অপেক্ষা করতে হবে।
চলতি অক্টোবর শুরু হয় বৃষ্টি দিয়ে। ওই সময় সৃষ্ট নিম্নচাপে দেশজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টি হয়। আশ্বিনের গুমোট ভাব তাতে কমে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়জুড়ে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। তবে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় দিন বৃষ্টি কমে গেছে। বৃষ্টি হলেও এর পরিমাণ অনেক কম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিদিন ৫১টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। দেখা গেছে, এর মধ্যে গতকাল মাত্র চারটি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয় চট্টগ্রামে, ৬ মিলিমিটার। আজও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলেছে আবহাওয়া অফিস। আর এই কম বৃষ্টির জন্যই গরম বেড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক আজ রোববার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। একে বৃষ্টি নেই, এর মধ্যে আবার লঘুচাপের এই পরিস্থিতির জন্য তাপমাত্রা বেড়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আগামী মঙ্গলবার লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা এখন কম। সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর প্রভাব বাংলাদেশের উপকূলে খুব বেশি পড়বে, তার সম্ভাবনা কম। তবে দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তাতে তাপমাত্রা কমতে পারে। আগামী শুক্র ও শনিবারের পর থেকে তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হরিণ শিকারের ফাঁদে আটকা পড়ল বানর
বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সুন্দরবনে হরিণ ধরার জন্য পাতা শিকারিদের ফাঁদে আটকে পড়া একটি বানর উদ্ধার করেছে বন বিভাগের কর্মীরা। চিকিৎসা শেষে প্রাণীটিকে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) পূর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী স্টেশনের ঘাগড়ামারী এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আরো পড়ুন:
সমুদ্র থেকে ভেসে আসা প্লাস্টিকে দূষিত সুন্দরবন
সুন্দরবনে দস্যুদের আস্তানা থেকে ৪ জেলে উদ্ধার
বন বিভাগ জানায়, বনকর্মীরা প্যারালাল লাইন সার্চিং পদ্ধতিতে ফুট প্যাট্রোল পরিচালনা করে বনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। ঢাংমারী স্টেশনের ঘাগড়ামারীতে শিকারিদের পাতা ফাঁদে আটকা পড়া একটি বানর দেখতে পান বন কর্মীরা। তারা আহত বানরটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিয়ে আবার বনে ছেড়ে দেন। পরে ওই এলাকায় পাতা হরিণ ধরার আরো ১০টি সিটকা ফাঁদ অপসারণ করা হয়।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “শিকারিদের পাতা ফাঁদে শুরু হরিণই না অন্য প্রাণীও মারা যায়। গত পাঁচ মাসে আমাদের সহকর্মীরা বন থেকে প্রচুর পরিমাণ ফাঁদ অপসারণ করেছেন। ফাঁদ অপসারণ করতে না পারলে শত শত হরিণ ও অন্যান্য প্রাণী শিকার হতো। এটাই বাস্তব সত্য।”
তিনি সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আমরা প্রাণ বাঁচানোর কাজ করছি। তাই অনুরোধ করব, এইসব প্রাণি হত্যাকারীদের সহায়তা করবেন না, তাদের কাছ থেকে মাংস কিনবেন না। তাদের আমাদের কাছে সোপর্দ করুন। আপনার সামান্য সহযোগিতাতেই আমাদের প্রাণের সুন্দরবন বাঁচবে, ইনশাল্লাহ।”
ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ