গার্ডিয়ান লাইফ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকের সঙ্গে সকল ধরনের নগদ লেনদেন চিরস্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রিমিয়াম সংগ্রহ ও দাবি নিষ্পত্তি শতভাগ ক্যাশলেস পদ্ধতিতে সম্পন্ন হচ্ছে। আর এই পদক্ষেপের মাধ্যমে গার্ডিয়ান লাইফ নিজেদের দেশের প্রথম ও একমাত্র সম্পূর্ণ ক্যাশলেস ইন্স্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

গার্ডিয়ানের প্রিমিয়াম শুধু মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে জমা করতে হয়। আর দাবি নিষ্পত্তির ব্যাপার হলে সেটিও শুধুমাত্র ব্যাংকের মাধ্যমেই গ্রাহককে পরিশোধ করা হয়। এই ক্যাশলেস সেবা দেওয়ার মাধ্যমে গ্রাহক, গার্ডিয়ান লাইফ এবং যে মাধ্যমে পেমেন্ট করা হয়েছে; অর্থাৎ লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সকল পক্ষ প্রতিটি লেনদেনের স্পষ্ট ডিজিটাল রেকর্ড সংরক্ষণ করতে পারবে, যা পরবর্তীতে যেকোনো প্রয়োজনে আর্থিক লেনদেন শনাক্তকরণে সহায়তা করবে।

এটা শুধু একটি প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে কোম্পানির উন্নয়ন নয়, এটি প্রকৃতপক্ষে গ্রাহকের আস্থার উন্নয়ন। সকল গ্রাহক আর্থিক কার্যক্রমে আরো বেশি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং মানসিক শান্তি উপভোগ করতে পারেন। কারণ, তাদের অর্থ আর কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতার ভিড়ে হারিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

গ্রাহক এখন ঘরে বসে প্রিমিয়াম জমা দিতে পারবেন, দাবি (ক্লেইম)—এর বর্তমান অবস্থা দেখতে পারবেন এবং তাদের প্রতিটি লেনদেন শেষ হবে মাত্র কয়েক ক্লিকে।

ঢাকা/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গ র হক ল নদ ন

এছাড়াও পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গার সুগন্ধি নলেন গুড় যাচ্ছে দেশের বাইরে

“শিমুল তুলো ধুনতে ভালো, ঠাণ্ডা জলে নাইতে ভালো কিন্তু সবার চাইতে ভালো, পাউরুটি আর ঝোলাগুড়’’

প্রখ্যাত ছড়াকার সুকুমার রায় তার আবোল-তাবোল গ্রন্থের ‘ভালোরে ভালো’ ছড়ায় খেজুর গুড়ের গুণকীর্তন করেছেন ঠিক এভাবেই। চুয়াডাঙ্গার সুস্বাদু ও সুগন্ধি খেজুর গুড় ও পাটালি দেখলেই এই ছড়ার কথা মনে পড়ে যায়। 

খেতে সুস্বাদু হওয়ায় চুয়াডাঙ্গার খেজুর গুড়ের দেশের বিভিন্ন স্থানে চাহিদা হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে এ গুড়ের উৎপাদন বাড়ালে প্রচুর আয় করা সম্ভব। জেলায় চলতি মৌসুমে প্রায় প্রতি বছরের মতো চলতি মৌসুমের শুরুতেই এ জেলার মাঠে মাঠে গাছিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বছর তিন হাজার মেট্রিকটন খেজুর গুড় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে যার বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকার উপরে। 

চুয়াডাঙ্গার সুস্বাধু সুগন্ধি খেজুর গুড়ের স্থানীয়ভাবে ‘নলি’ বা নলেন গুড় নামে পরিচিত। নলেন এই খেজুর গুড়ের সর্ববৃহৎ হাট বসে জেলার সরজগঞ্জে। এছাড়াও এ জেলার অন্যান্য সাপ্তাহিক হাট এবং বাজারগুলোতেও খেজুর গুড়ের আমদানি হয়। সরোজগঞ্জসহ বিভিন্ন হাট থেকে ভরা মৌসুমে প্রতি সপ্তাহে ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক গুড় সারা দেশ ও দেশের বাইরে রপ্তানি হয়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার জানান, শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। এই শীতের সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলায় মানসম্পন্ন খেজুর গুড় উৎপাদনকারী গাছি ভায়েরা গাছের পরিচর্যা শেষে এখন খেজুর গুড় উৎপাদনে নিয়োজিত হয়ে পড়েছেন। তারা ব্যস্তসময় পার করছেন খেজুর উৎপাদনের জন্য। কখনো রস সংগ্রহ করছেন, রস সংগ্রহের পর তা প্রক্রিয়া করে গুড় তৈরি করছেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে গুড় উৎপাদনে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। 

তিনি বলেন, “জেলায় ২ লাখ ৭২ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে। চলতি মৌসুমে গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকার উপরে।”

চুয়াডাঙ্গা জেলায় গুড়ের বাজার বসে সরজগঞ্জ, বদরগঞ্জ, জয়রামপুর, হিজোলগাড়ী, দিন্নাতপুর, দোস্তের হাট, জীবননগর ও হাসাদ বাজারে।

গাছিরা জানান, ক্রমেই খেজুর গাছ যেমন কমছে নতুন করে গাছি পেশায় কেউ আসছে না। তাই আগামীতে বাংলার এ ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে পারে। তবে, বাণিজ্যিকভাবে খেজুর গুড় উৎপাদন প্রচুর আয় করা সম্ভব। 

উল্লেখ্য, এ জেলার খেজুর গাছ ক্রমেই বিলুপ্ত হচ্ছে। গাছিদের অভিযোগ, বাংলার ঐতিহ্য খেজুর গাছ এক শ্রেণির পরিবেশ ধ্বংসকারী ইটভাটা মালিকরা ইট পোড়াতে কাঠ হিসেবে খেজুর গাছ ব্যবহার করছেন। ফলে খেজুর গাছ ক্রমেই উজাড় হচ্ছে। তাই আগের মতো আর খেজুর গুড় উৎপাদন হচ্ছে না।

ঢাকা/মামুন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ