ওবামা ফাউন্ডেশন লিডার্স প্রোগ্রাম (২০২৬-২০২৭) একটি ছয় মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব উন্নয়ন প্রোগ্রাম। অংশগ্রহণকারীরা মূল্যবোধভিত্তিক নেতৃত্ব, সিস্টেম-লেভেলে কাজ করার দক্ষতা ও বৈশ্বিক সংযোগ তৈরি করার উপায় শিখতে পারবেন। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যের এই প্রোগ্রাম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী তরুণদের জন্য উন্মুক্ত।

ওবামা ফাউন্ডেশনের নেতৃত্বধারার অনুপ্রেরণায় তৈরি এই প্রোগ্রাম ২০১৮ সালে আফ্রিকায় শুরু হয়। পরবর্তী বছরগুলোয় এশিয়া-প্যাসিফিক, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে বিস্তৃত হয়েছে প্রোগ্রামটি। এখন এটি এক বিশাল বৈশ্বিক নেটওয়ার্কে রূপ নিয়েছে, যেখানে ইতিমধ্যে দেড় হাজারের বেশি সক্রিয় পরিবর্তনকামী যুক্ত আছেন।

আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস ফেলোশিপ, ৬ খাতে বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ১৭ নভেম্বর ২০২৫

কী রয়েছে প্রোগ্রামে—

এই হাইব্রিড নেতৃত্ব উন্নয়ন প্রোগ্রাম ছয় মাস চলবে। অংশগ্রহণকারীরা পাবেন—

—সাপ্তাহিক ভার্চ্যুয়াল গ্রুপ সেশন

—ছোট দলভিত্তিক আলোচনা ও শেখার সুযোগ

—একজন পেশাদার কোচ, যিনি লক্ষ্য নির্ধারণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সম্ভাবনা উন্মোচনে সাহায্য করবেন

—বৈচিত্র্যময় সহ-অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার সুযোগ

—ওবামা লিডারশিপ নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করার সুযোগ

সম্পূর্ণ বিনা মূল্যের এই প্রোগ্রামটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের ২৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী তরুণদের জন্য উন্মুক্ত.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সশস্ত্র বাহিনীর সমর্থনে দ্রুত সংকট উত্তরণ ও জাতিকে স্থিতিশীল করা সম্ভব হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা

দেশের একতা এবং সশস্ত্র বাহিনীর সমর্থনের কারণে দ্রুত সংকট উত্তরণ এবং জাতিকে স্থিতিশীল করা সম্ভব হয়েছে বলে ডিএসসিএসসি কোর্সে অংশগ্রহণকারী বিদেশি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘এই একতার কারণে আমরা দেশের সব আশা ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে এগিয়ে যেতে পেরেছি। কারণ, সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে।’

সংস্কারমূলক কর্মসূচির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের অঙ্গীকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি আমরা অতীতে ফিরে যেতাম, সব ত্যাগ বৃথা যেত। আমাদের স্বপ্নের দেশ গড়ে তুলতে হবে। এই ছিল সংস্কারের সংকল্প। সংস্কার একটি বিষয়, কিন্তু তা ঠিকমতো সম্পন্ন করতে হবে, যাতে আমরা আর কোনো ভুল না করি—এটিও জানা জরুরি।’

গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের বিচার প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে এ ভয়াবহ অপরাধ করেছেন, তাঁদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’

ডিএসসিএসসি কোর্সে অংশগ্রহণকারী বিদেশি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, ‘আপনাদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের শক্তিশালী বৈশ্বিক প্রতিরক্ষা সম্পর্কের উজ্জ্বল প্রতিফলন। আশা করি, ভবিষ্যতেও স্টাফ কলেজ ও বাংলাদেশের সঙ্গে আপনাদের সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে।’

আইএসপিআরের তথ্যমতে, ডিএসসিএসসি কোর্স–২০২৫-এ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৭০ জন, নৌবাহিনীর ৪৫ জন এবং বিমানবাহিনীর ৩৬ জন কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের ৩ জন কর্মকর্তা এবং চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, জর্ডান, কেনিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার, লাইবেরিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, নেপাল, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, ফিলিস্তিন, সিয়েরা লিওন, শ্রীলঙ্কা, তানজানিয়া, তুরস্ক ও উগান্ডা থেকে আগত ৫৮ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। সব মিলিয়ে এ বছর মোট ৩১১ জন প্রশিক্ষণার্থী গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। এতে বাংলাদেশ পুলিশের একজন নারী কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জন নারী কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েশন অর্জন করেন, যা নারীর অন্তর্ভুক্তি ও ক্ষমতায়নে প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যা মধ্যম পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উচ্চতর দায়িত্ব ও নেতৃত্ব প্রদানের জন্য প্রস্তুত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ৫ হাজার ৩২৯ জন কর্মকর্তা, ২০ জন পুলিশ কর্মকর্তা এবং বন্ধুপ্রতিম ৪৫ দেশের ১ হাজার ৪৬৫ জন বিদেশি সামরিক কর্মকর্তা—মোট ৬ হাজার ৮১৪ জন অফিসার এখানে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সশস্ত্র বাহিনীর সমর্থনে দ্রুত সংকট উত্তরণ ও জাতিকে স্থিতিশীল করা সম্ভব হয়েছে: প্রধান উপদেষ্টা