জাপানিদের দীর্ঘায়ুর রহস্য: কেন তারা খাওয়ার সময় পেটের ২০ শতাংশ খালি রাখে
Published: 20th, November 2025 GMT
আমরা প্রতিনিয়ত ডায়েট, শরীরচর্চা ও নতুন নতুন স্বাস্থ্যকর কৌশলের খোঁজ করি। কারণ, দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা সবার। অথচ দীর্ঘজীবী হওয়ার রহস্য লুকিয়ে আছে খুব সহজ ও প্রাচীন এক অভ্যাসে, যা জাপানের শতবর্ষী মানুষেরা মেনে চলেন।
এই অভ্যাসে কোনো কঠোর রুটিন নেই। আছে শুধু একটি সাধারণ নিয়ম। ভরপেট খাওয়া যাবে না। বরং খাওয়ার সময় পেটকে কেবল ৮০ শতাংশ ভর্তি হওয়া পর্যন্ত খাবার দিতে হবে, ফাঁকা রাখতে হবে ২০ শতাংশ জায়গা।
শুনতে কেমন লাগছে, তাই না? হয়তো মনে হচ্ছে, সামান্য ২০ শতাংশ খাবার কম খেলে কী আর হবে? তবে বিশ্বের সবচেয়ে সুস্থ ও দীর্ঘজীবী জাপানিরা এই নিয়মই মেনে চলেন। তাঁদের জীবনযাপনের এই বিশেষ পদ্ধতিকে বলা হয় ‘হারা হাচি বু’।
হারা হাচি বু কীহারা হাচি বু জাপানের কনফুসীয় শিক্ষা থেকে আসা এক অভ্যাস, যার মূল কথা পরিমিত বা অল্প খাওয়া। অর্থাৎ পেট কেবল ৮০ ভাগ ভর্তি হওয়া পর্যন্ত খাওয়া এবং বাকি ২০ ভাগ অংশ ফাঁকা রাখা। মনে করা হয়, এই ধারণা জাপানে প্রায় তিন শ বছর ধরে প্রচলিত।
এখনকার ডায়েটের নিয়মগুলো বেশির ভাগই ক্যালরি কমিয়ে খাদ্যতালিকা তৈরির ওপর জোর দেয়। তবে হারা হাচি বুর মতো সহজ নিয়ম আমাদের সচেতনভাবে ও পরিমিত পরিমাণ খাওয়ার কথা বলে।
হারা হাচি বু জাপানের কনফুসীয় শিক্ষা থেকে আসা এক অভ্যাস, যার মূল কথা পরিমিত বা অল্প খাওয়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি যুবরাজের সমালোচক জামাল খাশোগি যেভাবে মারা হয়েছিলো
জামাল খাশোগি ছিলেন একজন বিশিষ্ট সৌদি সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং লেখক। একসময়ের রাজপরিবারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন। পরে রাজপরিবারের একজন সমালোচক হিসেবে পরিচিতি পান। সৌদি রাজপরিবারের বৃত্তি নিয়ে জামাল খাশোগি যুক্তরাষ্ট্রে সাংবাদিকতা বিষয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। তিনি আল-আরাব নিউজ চ্যানেল-এর মহাব্যবস্থাপক ছিলেন এবং ওয়াশিংটন পোস্ট-এর একজন নিয়মিত কলামিস্ট ছিলেন। কিন্তু খাশোগির লেখায় ক্রমাগত স্থান পাচ্ছিলো সৌদি রাজতন্ত্রের নানা নেতিবাচক দিক। বিশেষ করে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের।
২০১৭ সালের জুনে যুবরাজ মোহাম্মদ ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর কড়া সমালোচক হিসেবে খাশোগি তার রোষানলে পড়েন। অবস্থা বুঝতে পেরে নিজেকে বাঁচাতে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরব ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছানির্বাসনে চলে যান। এরপর যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে যান তুরস্কে।
আরো পড়ুন:
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের কিছুই জানতেন না সৌদি যুবরাজ: ট্রাম্প
সৌদি আরবকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দিতে রাজি ট্রাম্প
২০১৮ সালে সৌদি আরব থেকে ১৫ সদস্যদের দল উড়ে গিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেট ভবনের ভেতরে গত ২ অক্টোবর তাকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে। সে সময় আন্তর্জাতিক পত্রিকাগুলোতে স্থান পায় খাশোগির মৃত্যুর খবর। সমালোচনায় বলা হয়, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এমন উচ্চ নিরাপত্তার স্থানে হত্যাকাণ্ড ঘটানো অসম্ভব।
তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর দেওয়া বিবৃতির ভিত্তিতে স্পষ্ট হয়, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক মূলত সৌদি আরবের ক্ষমতাধর ব্যক্তি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
খাশোগিকে হত্যার পর আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলে প্রথমে এ হত্যাকাণ্ডের কথা অস্বীকার করে সৌদি আরব। কিন্তু সমালোচনা আরও বাড়তে থাকে। পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে কনস্যুলেট ভবনে হত্যার কথা স্বীকার করে সৌদি আরব। তবে এ হত্যার পেছনে যুবরাজ মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতা জোরের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব।
ঢাকা/লিপি